নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
যেভাবে বিরোধের শুরু
প্রতিবেশী এ দুটি দেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। দীর্ঘ সময়ে কয়েকটি বৈঠক হলেও সমাধান না পেয়ে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক আদালতে যায় বাংলাদেশ। সেখানেও সমঝোতা না হওয়ায় ২০১১ সালের মে মাসে বিষয়টি হেগের আদালতে গড়ায়। এর আগে ২০১২ সালে জার্মানির হামবুর্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের যে রায় দেয় তাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত জলসীমা পায় বাংলাদেশ।২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দ্য হেগের পিস প্যালেসে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলার মৌখিক শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন এজেন্ট ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উত্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধের প্রধান বিষয় হলো দুই দেশের জলসীমা শুরুর স্থান নির্ধারণ। এছাড়া ভূমিরেখার মূলবিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ দেখা দেয়। ভূমির মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রির সোজা রেখা দাবি করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের যুক্তি ছিল সমুদ্রতট বিবেচনায় এ রেখা হবে ১৬২ ডিগ্রি। সালিসি আদালতের রায়ে ভূমির মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৭৭.৩ ডিগ্রি রেখা টানা হয়েছে। দু’দেশের সমুদ্রসীমার বিষয়ে ভারতের যুক্তি ছিল সমদূরত্বের (ইকুইডিসট্যান্স) ভিত্তিতে রেখা টানতে হবে। বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করে ইকুইটি বা ন্যায্যতার ভিত্তিতে রেখা টানার পক্ষে অবস্থান নেয়। এর পাশাপাশি জ্যামিতিক ‘অ্যাঙ্গেল বাই সেক্টর’ পদ্ধতিতে দাবি জানায় বাংলাদেশ। তবে আদালত দু’দেশের কোন একটি যুক্তিতে না গিয়ে আদালতের নিজস্ব বিবেচনায় সমতার ভিত্তিতে এ রায় দেন।ট্রাইব্যুনালের পাঁচ বিচারকের মধ্যে পেমারাজু শ্রীনিবাস রাও ভিন্নমত পোষণ করলেও রুডিগার ভোলফ্রাম, টমাস এ মেনশাহ, আইভান শিয়েরার এবং জ্যঁ-পিয়ের কৎয়ের মতামত অনুসারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিরোধ মীমাংসা করেছে আদালত। শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষে কৌঁসুলী হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পল রাইখলার ও লরেন্স মার্টিন, যুক্তরাজ্যের অধ্যাপক জেমস ক্রাফোর্ড, ফিলিপ স্যান্ডস ও অ্যালান বয়েল এবং ক্যানাডার অধ্যাপক পায়াম আখাভান।তবে আদালত দুই দেশের কোনো একটি যুক্তিতে না গিয়ে আদালতের নিজস্ব বিবেচনায় সমতার ভিত্তিতে এ রায় দেন। যেখানে দেখা যায়, বাংলাদেশের সিংহভাগ দাবিই পূরণ হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। কারণ, এ ধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত আজ পর্যন্ত কোনো আদালত দেননি। নেদারল্যান্ডস থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে তালপট্টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতে কোনো আলোচনা হয়নি। দক্ষিণ তালপট্টির ইতিহাস ১৯৫৪ সালে প্রথম দ্বীপটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে অনেকেই দাবি করেন। তবে মূলত ১৯৭০ সালের নভেম্বরে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গাঙ্গেয় ব-দ্বীপাঞ্চলের দক্ষিণভাগে আঘাত হানার পর পরই দ্বীপটি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রথম দৃষ্টিগোচর হয়। তৎকালীন খুলনা জেলা প্রশাসন নৌবাহিনীর সহযোগিতায় প্রাথমিক জরিপ শেষে প্রশাসনিক দলিলপত্রে নথিভুক্ত করে দ্বীপটির নামকরণ করে ‘দক্ষিণ তালপট্টি’। ভারত তখন এ ব্যাপারে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। অথচ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বীপটি ‘নিউমুর দ্বীপ’ নামে অবহিত করে। এটি বাংলাদেশের গঙ্গার স্রোতধারা হিসেবে পরিচিত হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মুখ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার অফিসিয়ালি এ দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে এবং দ্বীপটির ওপর জরিপ কাজ পরিচালনা করেন। তখন এর আয়তন ছিলো ৩৫০ একর। ১৯৭৩ সালে এ নিয়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সাথে ভারত সরকারের পাঁচবার আলোচনা হয়। প্রত্যেকবারেই বাংলাদেশ তালপট্টি দ্বীপের ওপর জোরালোভাবে নিজেদের দাবি উত্থাপন করে এবং নিজেদের মালিকানা বজায় রাখে। ১৯৭৪ সালে আমেরিকান স্যাটেলাইটেও বঙ্গোসাগরে দাক্ষিণ তালপট্টির অস্তিত্ব দেখা যায়। তখন দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ৩.৫ কিলোমিটার ও তিন কিলোমিটার প্রস্থ ছিল। অবস্থান লেটিচুইড ২১ ডিগ্রিস ৩৬.০ উত্তর এবং লংটিচুইড ৮৯ ডিগ্রিস ০৯.১০ পূর্ব। এর উত্তর ও দক্ষিণের অবস্থা থেকে এটা ধারণা করা হচ্ছিল যে, আগামী কয়েক দশকের মাঝে এটি ২৫ থেকে ৩০ বর্গ কিমির একটি দ্বীপে পরিণত হতে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ভারতের সাথে এ ব্যাপারে যৌথ আলোচনার আহ্বান জানায়। কিন্তু সেবার কোন ফলাফল আসেনি। ১৯৭৫ সনের পরে জিয়াউর রহমান সার্ভে শুরু করলে ভারতীয় নৌবাহিনী কানাডিয়ান সার্ভে জাহাজকে তাড়া করে। পরে প্রেসিডেন্ট জিয়া দক্ষিণ তালপট্টির দিকে বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই’র সাথে জিয়াউর রহমানের এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন বাংলাদেশ সরকার তালপট্টির ব্যাপারে একটি যৌথ সমীক্ষার প্রস্তাব দেয়। তবে তালপট্টির মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম বিরোধ দেখা দেয় ১৯৮০ সালে। পরে ১৯৮০ সালে এক যৌথ বিবৃতি দেয় দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, `The question of the newly emerged island(s) (New Moore/South Talpatty/Purbasha) at the estuary of the border river Hariabhanga was also discussed. The two sides agreed that after study of the additional information exchanged between the two governments, further discussion would take place with a view to settling it peacefully at an early date.’ কিন্তু সেই বিবৃতি ভুলে ১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের রাজ্য সভায় ঘোষণা করেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ভারতের। এর জবাবে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বলেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ বাংলাদেশের। এরপর ১৯৮১ সালের ৯ মে ভারত দক্ষিণ তালপট্টিতে আইএনএস সন্ধ্যায়ক নামে নৌ-বাহিনীর এক জাহাজ পাঠিয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে। বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ করে। তার কিছু পরে ভারত সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে। তবে পরবর্তী সময়ে দু‘দেশের শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জাতিসংঘের ‘ল অব দ্যা সি অনুযায়ী’ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা মীমাংসিত হবে। এরপর ২৩ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির জাতীয় কমিটির বর্ধিত সভায় বলেছিলেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরপর ৩০ মে তিনি চট্টগ্রামে মর্মান্তিকভাবে শাহদাত বরণ করেন।জিয়াউর রহমান তার শাসনকালে রিয়ার এডমিরাল এম.এইচ. খানের নেতৃত্বে দক্ষিণ তালপট্টি ও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা ও সমুদ্র সম্পদ আহরণের নানা উদ্যোগ নেন। ঐ সময় NOAMI নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরের ওপর কয়েকটি গবেষণা কার্য পরিচালনা করা হয়। প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঁয়া, প্রফেসর ড. এম.আই. চৌধুরী, প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান এবং প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত এসব গবেষণা কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শহীদ কমোডর রাব্বানী এবং কমোডর খুরশেদ আলমও (বাংলাদেশ নৌবাহিনী) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত গবেষণা ও আইনী তৎপরতায় বিশেষ অবদান রাখেন। কিন্তু মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী এ সর্বশেষ আলোচনা ও উদ্যোগ নেয়া হয় বিগত ২০০৮ সনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তখন এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম মাহমুদকে (কায়েস) এ বিষয়ের সেলের প্রধান করে কমোডর (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলমকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। তখন থেকেই এ ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি শুরু হয়। ২০০৯ সনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ঐ মামলা অব্যাহত থাকে এবং জনাব মাহমুদের পরিবর্তে কমোডর (অব.) খুরশেদ আলমকে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত আনক্লস সেল-র নেতৃত্ব দেয়ার ভার অর্পণ করা হয়।বাংলাদেশ তালপট্টির ওপর তার দাবির পিছনে যে যুক্তি দিয়ে আসছে তা হলো, সীমান্তবর্তী হারিয়াভাঙ্গা নদীর মূল স্রোত তালপট্টিকে বামে রেখে পশ্চিমে বেঁকে গেছে। আর তাই আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তালপট্টি বাংলাদেশের সীমানার মাঝে পড়ে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের রায়মঙ্গল নদী ও হারিয়াভাঙ্গার মিলিত স্রোতকে তালপট্টির ডান দিকে প্রবাহিত এমন দাবি দিয়ে সেটিকে নিজের করতে মরিয়া। ভারতের যুক্তি, ১৯৮১ সালের আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী দক্ষিণ তালপট্টির পূর্ব অংশটির অবস্থান ভারতের দিকে, যা ১৯৯০ সালের বৃটিশ অ্যাডমিরালটি চার্টেও স্বীকৃত।সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) স্যাটেলাইট ইমেজভিত্তিক সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৯৮৪ সালে চরটির বাংলাদেশ অংশের পশ্চিম দিক জেগে উঠছে। ১৯৯০ সালে আরেকটি স্যাটেলাইট ইমেজে চরটিকে ক্ষয়ে যেতে দেখা যায়। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক থেকে দ্বীপটিকে আর দেখা যাচ্ছিল না বলে জানায় সিইজিআইএস।জানা গেছে, বাংলাদেশের এই নদীর স্রোতধারা পরিবর্তনে ভারত নিরলস কাজ করেছে। বাংলাদেশের পশ্চিমে, সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি সুকৌশলে ভারত ভেঙে দিয়েছে। বাংলাদেশের সীমানায় বৃহৎ এ দ্বীপটি যাতে আর গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ভারত উজানে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর স্রোত ও পলি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই নদীর উজানে ভারতীয় সীমান্তে বোল্ডার ফেলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। ফলে নতুন করে পলি জমতে না পেরে তালপট্টি দ্বীপ আর উঁচু না হয়ে বরং সেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে। সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বিরোধের ব্যাপারে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের (ইটলস) রায়ের পর ভারত তালপট্টি দ্বীপটি ভেঙে দেয়ার কৌশল গ্রহণ করে। বিশেষ করে যাতে তালপট্টির মালিকানা কোনোভাবেই বাংলাদেশ না পেতে পারে। এজন্য একদিকে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় ভারতীয় অংশে গ্রোয়েন নির্মাণ করে স্রোতের গতি বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। অপরদিকে নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করে পলি ভিন্ন খাতে সরিয়ে দেয় ভারত। এর মধ্যে ভারত একাধিকবার জরিপ করে দেখেছে, তালপট্টি পুরোপুরি জেগে উঠলে এবং আন্তর্জাতিক সীমারেখা অনুপাতে দীপটি বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমুদ্র সীমার ভিতর পড়ে যার কারনে ভারত নানান টালবাহানা করে নিজেদের আয়ত্মে নিয়ে নিয়েছ। অন্য দিকে বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক সার্থ রক্ষার জন্য ভারতের এই অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করে দেশের সার্থ বিসর্জন দিয়ে চিরতরে সমুদ্রের একটি বিশাল অংশ হারাল।
©somewhere in net ltd.