নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
একবিংশ শতাব্দীতেও মানুষ কতো পৈশাচিক হতে পারে তা বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্য স্ট্রিম-এ প্রকাশিত ছবিটি না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব হতো না।সারা বিশ্বের মানুষ যখন ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেছেন তখন এমন ছবি আমাদের মনুষত্ত্বের অনুভূতিগুলোকে ভোঁতা করে দেয়।আল জাজিরার দ্য স্ট্রিম-এ প্রকাশিত ছবিটিতে ইসরায়েলের এসডেরট এলাকার একটি পাহাড়ের ওপর বসে দল বেঁধে থাকা কিছু মানুষকে সন্ধ্যাযাপন করতে দেখা যাচ্ছিলো। প্রথমে স্বাভাবিক সন্ধ্যাযাপন মনে হলেও ছবির নিচের মন্তব্যগুলি পড়লেই তাদের বসে থাকার হেতু স্পষ্ট হয়ে আসে।পাহাড়ের ওপর বসে থাকা এই ইসরায়েলিরা গরম সন্ধ্যায় হাওয়া খাওয়া নয়, বরং এই পাহাড় থেকে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী কর্তৃক আকাশপথে বোমা ফেলার দৃশ্য দেখছেন! শুধুমাত্র পৈশাচিক আনন্দ পেতে এই ইসরায়েলিরা পাহাড়ের ওপর চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। উপভোগ করছেন তাদের বিমান বাহিনীর নিক্ষিপ্ত বোমায় গাজা সিটির ছেলে-শিশু-বৃদ্ধদের আর্তনাদ।ছবিতে প্রথম টুইটারে পোস্ট করেন সাংবাদিক এ্যালান সরেন্সন। তিনি ক্যাপশন লেখেন 'এসডেরট সিনেমা : ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গাজায় দুঃস্বপ্ন জাগানিয়া হামলা দেখতে ভিড় জমিয়েছে ইসলায়েলিরা।'আলজাজিরায় ছবির বর্ণনায় বলা হয়, গাজা সিটিতে নিক্ষিপ্ত বোমায় মানুষের মরণ আর্তনাদ ভেসে আসলেই পাহাড়ে বসে থাকা মানুষগুলি হাততালি আর আনন্দে মেতে উঠছিলেন।সাংবাদিক এ্যালান সরেন্সন জানান, ছবিটি গত ৯ জুলাই তোলা হয়েছে এসড্যারট শহরের একটি পাহাড়ের ওপর থেকে।
©somewhere in net ltd.