নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতিতে মরিয়া

২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

যে ইসরাইল নির্বিচারে বোমা মেরে হামাস দমনের নামে নারী-শিশু হত্যা করতে বিশ্ব বিবেকের পরোয়া করে না, সে হঠাৎ করে যুদ্ধ বিরতি চাইবে কেন? এই যুদ্ধবিরতীর পেছনে আছে তাদের অসহনীয় যুদ্ধ ব্যয় এবং প্যালেস্টাইনীদের ছোঁড়া কাশেম-৪ রকেট প্রতিরোধে ব্যবহৃত আয়রন ডোম ক্ষেপনাস্ত্রের স্টক প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া।২০০১ সালে প্যালেস্টাইনীরা প্রথম তাদের ঘরে তৈরী কাশেম-১ রকেট ব্যবহার করে ইসরাইলে হামলা করতে শুরু করে। কাশেম রকেটগুলো যতটা না ক্ষতিকর তারচেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক আতংকজনক। প্রাথমিকভাবে এটি মোকাবেলায় ইসরাইল তাদের কাছে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী প্যাট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করে। কিন্তু ২০০৬ নাগাদ তারা আর খরচে কুলিয়ে উঠতে পারছিলো না। কারন একটি কাশেম রকেটের পেছনে খরচ হয় মাত্র ৫০০ ডলার আর একটি প্যাট্রিয়টের দাম ২০-৩০ লক্ষ ডলার। কাজেই গাজা থেকে ইসরাইলের উদ্দেশ্যে ছোড়া শত শত কাশেম মোকাবেলা করতে তাদের দেউলিয়া অবস্থা হয়েছিলো।বিকল্প হিসেবে তারা নিজেদের দেশে কম খরচে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল 'আয়রন ডোম' তৈরী করলো এবং ২০১১ সালে তা ব্যবহার করতে শুরু করলো। এটির কার্যকারিতাও মোটামুটি ভালো। একশটি কাশেমের মধ্যে ৯০টিকেই এটি আকাশে ধ্বংশ করে দিতে পারে।কিন্তু তারপরও সমস্যা আছে। বর্তমানে কাশেম-৪ ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করতে খরচ আরো কমেছে। এখন এই রকেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক নাইট্রেট সার আর চিনি। সেই সাথে এর পাল্লাও বেড়েছে। এখন এটা ১৬ কিলোমিটার যেতে পারে। ওয়ারহেডে নিয়ে যেতে পারে ১০ কেজি বিষ্ফোরক। আরো আশংকার বিষয় হচ্ছে এটি এখন ব্যপকভাবে উৎপাদন হচ্ছে।অন্যদিকে দাম কমার পরও আয়রন ডোমের প্রতিটি ক্ষেপনাস্ত্রের দাম এখনো ৪০ হাজার ডলার; সাথে প্রতিটি আয়রন ডোম ব্যাটারীর পেছনে ৫ কোটি ডলারের খরচ তো রয়েছেই। চলমান ইসরালী হামলার সময় প্যালেস্টাইনীরাপ্রচুর কাশেম-৪ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং সেগুলো ধ্বংশ করতে গিয়ে ইসরাইলের আয়রন ডোমের মজুত প্রায় শেষ। এমতাবস্থায় যুদ্ধবিরতী ছাড়া উপায় আছে?

কাশেম বনাম আয়রন ডোমের বিবরণ এই ভিডিওতে আছ-

https://www.youtube.com/watch?v=9-DT7Pq0264

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

পিস মিসাইল বলেছেন: ভালো লাগল

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

বীরেনদ্র বলেছেন: যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব এসেছিল মিশরের কাছ থেকে যা ইজরায়েল গ্রহন করতে রাজী হলেও হামাস রাজী হয় নি। এখন ইজরায়েলের পদাতিক বাহিনী গাজায় অভিযান চালাচ্ছে । ২০১০ সালে একইভাবে তাড়া গাজায় হামলা চালায়। এর পরিনতি হল ইতিমধ্যেই তিনশের ও বেশী ব্যাক্তি নিহত যার অধিকাংশই বেসামরিক্ ব্যাক্তি শিশু এবং মহিলা। প্রশ্ন হল এই তিনশ ব্যাক্তির জন্য ইজরায়েল দায়ী কিন্তু এই হতাহতের ক্ষতিকি পুরন হবে? হামাস কি পারবে ইজরায়েলের সামান্য ক্ষতিও করতে?

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: লাভ ক্ষতির হিসাব আসলে গৌণ। ইসরায়েল অতীতে ও কোন না কোন উছিলায় গাজায় আক্রমণ করেছে এখনো করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যেই হল ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করা। সুতারাং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে আসল কথা হচ্ছে এতো বিশাল এক শক্তির বিরুদ্ধে কোন প্রকার সামরিক সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া এভাবে টিকে থাকাই হামাস প্রসংশার দাবি রাখে।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

বীরেনদ্র বলেছেন: @ওয়েলকামজুয়েল অস্তিত্বের প্রশ্ন যদি তোলেন তাহলে আমি বলব এটা ইজরায়েলের জন্য আরো বড় প্রশ্ন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে গাজা এলাকা মিশর থেকে দখল করে নেয়। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে সিনাই পেনিনসুলা দখল করে নেয় ইজরায়েল। ১৯৭৯ সালের ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে মিশর সিনাই উপদ্বীপ ফেরত পায়। সলোর শান্তি চুক্তির পর ২০০৫ সালে গাজা এলাকা প্যালেস্টাইনীদের ফেরত দেয়। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই এলাকা মিশরের দখলে থাকলেও তা কিন্তু প্যালেস্টাইনীদের ফেরত দেয় নি মিশর। ২০০৭ সাল থেকে হামাস গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় আছে। গাজার ১৭ লক্ষ মানুষ আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং ইজ্রায়েলের উপর নির্ভিরশীল। গাজার আকাশ এবং জলপথ ইজরায়েলের নিয়নত্রনে। ইজরায়েলে কাজ করে গাজার অধিবাসীরা জীবিক নির্বাহ করত যা এখন বন্ধ। গাজার চার পাশে উচু প্রাচীর। মিশরের সাথের ১১ কিলোমিটার সীয়াম্নতও বন্ধ করে দিয়েছে মিশর। এই অসম যুদ্ধে আরো প্যালেস্টাইনী মারা যাবে। গাজা ধ্বংশ স্তুপে পরিনত হবে, সে তুলনায় ইজরায়েলের প্রায় কিছুই হবে না। হামাসের প্রসংশা করুন কোন সমস্যা নেই, ইজ্রায়েলের নিন্দা করুন তাও সঠিক, কিন্তু এই মানব বিপর্যয়ের কি কোন মানে আছে?

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

আলম 1 বলেছেন: ফিলিস্তিন / ইস্রায়েল মধ্যে শান্তির লক্ষ্য যেটা দরকারী , সেটা করার কি কেউ নাই।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ @বিরেনদ্র মন্তব্য করার জন্য। কিন্তু কথা হচ্ছে তারা কি শুধুই বসে বসে মৃত্যুর প্রতিক্ষা করবে? নাকি লড়াই করে মরবে আর মানবাধিকারের ভুলি আওড়ানো সেই সব মানবাধিকার কর্মীরা কোথায়? ।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩১

রাজিব বলেছেন: ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতিতে মরিয়া নয় বরং এটি একটি চাল। সারা বিশ্ব যুদ্ধ বিরতির ডাক দিচ্ছে এবং ইসরায়েল দেখাচ্ছে যে সে শান্তি চায় কিন্তু হামাস চায়না। সুতরাং হামাস খারাপ এবং হামাস মারার নাম করে ইসরায়েল এখন গাজার নিরীহ মানুষকে মনের আনন্দে হত্যা করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.