নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
আজ দেশীয় কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব
দূর্নাম থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফেনীবাসী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে আসল খুনি ও হুকুমের আসামীরা। ফলে ফেনীতে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪২ বছরে অন্তত ১৫৬ জন নেতাকর্মী হত্যার বিচার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।ভয়ঙ্কর আলোচিত ঘটনাগুলোর কারণে ফেনী দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ও পরিচিতি পেয়েছে সন্ত্রাসের ভয়াল জনপদ হিসেবে। সেসব ঘটনায়ও নেপথ্যের মূল খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। সরকার পরিবর্তন হয়েছে যুগে যুগে অথচ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দোহাই দিয়ে বিচার হয়নি, ফলে বিচারের বাণী নিরবে কাঁদছে।ভুক্তভোগী পরিবারের মতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অতীতে মামলা করলেও সুবিচার পায়নি, বর্তমানেও পাচ্ছে না প্রমাণের অভাবে। খুনিরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে গেছে। এতে করে এই জেলায় সুস্থ রাজনৈতিক নেতার অভাবে হিংস অসুস্থ নেতার জন্ম হচ্ছে।“পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর একরামকে বহনকারী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় সরকারি দলের এ প্রভাবশালী নেতা। বীভৎস এই ঘটনার সাথে সাথেই সন্দেহের আঙুল যায় ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর দিকে।দলীয় আধিপত্য নিয়ে চলা ঠাণ্ডা লড়াইয়ের জেরে তার এ করুণ পরিণতি বলে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিদ্বন্ধী সাবেক নেতা জয়নাল হাজারীর দিকেই ঠেলে দেন।এনিয়ে দুই হাজারী পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে ঘটনার আদ্যোপান্ত উদঘাটন করেছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৩১ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও অভিজ্ঞ আইনজীবীরা মর্মন্তুদ এ হত্যা মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মামলায় রাঘববোয়ালেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যাহত হবে। বিশেষ করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষী পাওয়া দুরূহ হতে পারে। এছাড়া শুরু থেকেই গণমাধ্যমে মামলার বাদী এজাহার নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছেন।প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, ফেনীর অতীতে ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনাগুলোর মতো একরাম হত্যা মামলাও কেবল আলোচনায় বন্দী থাকবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কাজী নাসিরকে প্রকাশ্যে ট্রাংক রোডে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে খুন করে তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে জয়নাল হাজারীর নাম উঠলেও কিছুই হয়নি। এছাড়া জেলার আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে ‘চন্দ্রপুর ট্র্যাজেডি’ হিসেবে পরিচিত ২০০১ সালে দাগনভূঞার চন্দ্রপুরে ট্রিপল মার্ডার ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলা হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজহারুল হক আরজু, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতনসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৩০০-৪০০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। পরে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন এসব মামলায় খালাস পেয়ে যান জড়িতরা।একই ভাবে ২০০১ সালে সোনাগাজীর চরইঞ্জিমানে বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ‘চরইঞ্জিমান ট্র্যাজেডি’ হিসেবে পরিচিত ওই মর্মন্তুদ ঘটনায় দায়ের করা এসব মামলা থেকেও খালাস পেয়ে যান আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা।এর আগে ১৯৯৭ সালে তুষার নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদের পর দিন আহূত হরতাল চলাকালে শহরে বের হওয়া বিএনপির মিছিলে প্রকাশ্য ব্রাশফায়ার করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা।এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন জেলা যুবদলের তৎকালীন যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম নাসির। তুষার-নাসির হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হয়। কিন্তু এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাও একপর্যায়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়।১৯৯৭ সালে বিএনপি নেতা ভিপি জয়নালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও যুবদল নেতা নুর নবীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলাও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে ধলিয়ায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন ভেন্ডু হাজারীকে। সেই ঘটনায় বিএনপি-জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায়ও সুবিচার পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা।২০০০ সালে শহরের একাডেমি সড়কে যুবলীগ নেতা আবুল বশর ওরফে বৈশ্যাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন যুবলীগ নেতা একরাম ও ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ চৌধুরী জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও ওই মামলায়ও তারাসহ অভিযুক্তরা বেঁচে যান।২০০১ সালে মহিপালে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন খুনের ঘটনায় জড়িতদের কিছুই হয়নি।সংশ্লিষ্ট সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কেবল ১৯৯৬-২০০১ সালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫০ নেতাকর্মী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া বেশির ভাগ মামলায়ই জড়িতরা আইনের ফাঁকফোকরে রেহাই পেয়ে যান।ফেনী রামপুর সওদাগর বাড়ীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রুস্তম জানান, রাজনীতিকে গুড বাই জানিয়েছি অনেক আগে। ভোট দিতে যাই না কেন্দ্রে ভোট দেয়ার মতো যোগ্য লোকের নাকাল যাচ্ছে। হত্যা রাজনীতি বিশ্বাস করতেন না আমাদের ফেনীর প্রিয় নেতা মরহুম খাজা আহম্মেদ। তিনি নেই সুস্থ্য রাজনীতিও বিদায় নিয়েছে।স্টার লাইন অটো রাইচ মিল ম্যানেজার ও মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান জানান, যুদ্ধ করেছি দেশ মা মাটি ও মানুষের জন্য। অসুস্থ্য রাজনীতি জন্য নয়। বর্তমান রাজনীতি সুস্থ্যতার পরিচায়ক নয়। যে দেশে ভোট দেয়ার প্রয়োজনীতা নেই, সে দেশে গনতন্ত্র কি করে থাকে?এড. আবুল হোসেন বলেন, বিচার চলে প্রমাণ দিয়ে, বিচারক যদি যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ পায় তাহলে বিচার কাজ চালাতে পারে। প্রমানের অভাবে হত্যা মামলায় জড়িতরা রেহাই পেয়ে যান। এতে তারা পরে আরো বেশি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন।ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আলোচিত এসব হত্যা মামলা দ্রুত বিচার আদালতে প্রেরণ করা হলে দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পেতে পারে। অন্যথায় হত্যাকাণ্ডের পর সময় ক্ষেপণ হলে মোটিভ ভিন্ন দিকে ঘুরে যায়।”ফেনীর সাবেক ছাত্র নেতা বাহার উল্ল্যাহর মতে, অতীতে অগনিত ঘটে যাওয়া মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ড গুলোর বিচার না হওয়ায় একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে চলেছে। ন্যায় বিচারবঞ্চিত হয়ে বিচারপ্রার্থীরা যেমন মনোবল হারায় তেমনি অপরাধীরা দ্বিগুণ উৎসাহে সহিংসতায় মেতে ওঠে।
সংকলিত
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩০
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: তারপর ও নিজের দেশ জন্মভূমি
কিছু অসাধু রাজনীতিবিদদের কারনে দেশটা এভাবে ধংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভাবলেই মনটা বিদ্রোহ করে উঠে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ফেনী থেকা লক্ষীপুর নারায়নগঞ্জ এর অবস্তা তো আরো খারাপ মনে হয় আসলে বাদ দেন এই দেশে থাকলে এমনেই থাকতে হ়বে।