নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজায় নিজের ফাঁদে আটকে গেছে ইসরাইল

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২

ইসরাইলের মন্ত্রিসভা শনিবার রাতে গাজার যুদ্ধের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের অনুরোধে মন্ত্রিসভা মানবিক যুদ্ধবিরতি আগামীকাল (রোববার) মধ্য রাত পর্যন্ত বৃদ্ধিকে অনুমোদন করে। তবে ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধবিরতির যেকোনো লংঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি চলাকালেও ইসরাইলি বাহিনী হামাসের টানেলগুলো ধ্বংস করার কাজ অব্যাহত রাখবে।এর আগে হামাস যুদ্ধবিরতি চার ঘণ্টা সম্প্রসারণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং আরো একদিন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবও তারা প্রত্যাখ্যান করে। ইসরাইল দাবি করেছে শনিবার সন্ধ্যায় ইসরাইলে হামাসের নিক্ষিপ্ত রকেটে দুই ইহুদি আহত হয়েছে। তবে শনিবার রাতে কোনো পাল্টা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে ইসরাইল ফের হামলা শুরু করে। এতে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। পরে হামাস যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টা সম্প্রসারণ প্রস্তাব মেনে নেয়। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ২টা থেকে তা কার্যকর হয়।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অধিকতর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে দিন ভর আলোচনা করার পর এ প্রস্তাব দেয়া হয়। ইসরাইল এ ধরনের যুদ্ধবিরতির বিষয় রুঢ়ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুগপৎভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। একজন সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে।’  হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুহাম্মাদ নাজ্জাল আল জাজিরাকে বলেন, হামাসও কেরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।ইসরাইলের জননিরাপত্তা মন্ত্রি আইজ্যাক আহরোনোভিচ আভাস দিয়েছেন যে, কেরির ইচ্ছেমতো দ্রুত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তারা রাজি হবেন না। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল বড় ধরনের হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ স্থায়ী কোনো চুক্তিতে আমরা রাজি হবো না। আমরা কেরির প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি কিন্তু আমরা আমাদের হুমকির সম্মুখীন জনগণের নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ বন্ধের লক্ষ্যে ৮ জুলাই ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করে উপত্যকার জনগণের বিরুদ্ধে। এরপর হামাসের টানেল ধ্বংসের লক্ষ্যস্থলে হামলা শুরু করে ১১ দিন আগে। এ অভিযানে ইসরাইলের পক্ষে এ পর্যন্ত ৪০ সৈন্য ও তিন অসামরিক লোক নিহত হয়েছে।ইসরাইল মনে করছে, গাজায় ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি ও প্রবল চাপ হামাসকে গাজার ওপর থেকে ইসরাইল ও মিসরের অবরোধ প্রত্যাহারের তার দাবি মানা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য করবে। আট বছরের এ অবরোধে গাজার অর্থনীতি প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছে। ইসরাইলি বিশ্লেষক ও আল মানিটর ওয়েবসাইটের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একিভা এল্ডার বলেছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রয়োজনে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করে সামরিক হামলা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘টানেলগুলোকে ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি বলে নিজ প্রচারণার জালে আটকা পড়েছে ইসরাইল সরকার। সেগুলো যদি অস্তিত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে তা হলে সেগুলো ধ্বংস করা ছাড়া সরকার কিভাবে যুদ্ধ শেষ করতে পারে?’ একিভা এল্ডার বলেন, ইসরাইল সরকারের জন্য এ যুদ্ধে কোনটাই হতে পারবে না। কে জয়ী হয়েছে তা সুস্পষ্ট হতে হবে। এর অর্থ হবে সেনাপ্রধানকে ঘোষণা দিতে হবে যে, সব টানেল ধ্বংস করা হয়েছে।’শনিবার প্যারিসে গাজায় ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা ও হামাসের রকেট নিক্ষেপ বন্ধের লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত  রাখেন কেরি। তিনি ইসরাইলের মিত্র ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি এবং হামাসের মিত্র কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেন। উভয়পক্ষ মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়াতে সম্মত হয়।ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ইসরাইল গাজার অসামরিকীকরণের দাবি জানাচ্ছে আর হামাস ইসরাইলি ও মিসরীয় অবরোধ অবসানের দাবি জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘ ও ইইউ যুদ্ধবিরতির জামিন হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

বিজন শররমা বলেছেন: একটি মন সুখ সুখ করা পোষ্টিং ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ইসরায়েল এবং হামাস যা করছে তা এক ধরনের খেলা। এই খেলায় প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলার অধিকার কারো নাই।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

মুহাই বলেছেন: শিরোনামের সাথে পোস্টের কিঞ্চিত মিল খুঁজে পেলাম।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

ইমরান হক সজীব বলেছেন: ইসরাইল যা করছে তা নিঃসন্দেহে অপরাধ । নির্বিচারে শিশুরাও মরছে, সন্ত্রাসী মারতে যেয়ে শিশুদের সুরক্ষার জন্য কোন ব্যাবস্থা না নেয়া মেনে নেয়া যাই না ।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে সবচেয়ে বড় অপরাধি হামাস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.