নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামাসের পক্ষে আরব জনগন,শাসকরা বিপক্ষে

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতিরোধ আন্দোলন নিয়ে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো বেশ চাপের মুখে পড়েছে। কাতার ও তুরস্ক হামাসের পক্ষে দাড়ালেও নীরব রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলো। বেশ কিছু গনমাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্র করতে ইসরাইলের সাথে মিশর ও সৌদি আরবের যোগাযোগের খবর প্রকাশ হয়ে পড়লে দেশের ভেতরে ও মুসলিম বিশ্বে বেশ নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে সৌদি আরব। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরব শাসকদের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি সৌদি একটি জনমত জরিপ সংস্থা রাকিন ফাউন্ডেশন গাজায় ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে সৌদি নাগরিকদের মতামত জানার চেষ্টা করেছে। এই জরিপে সৌদি আরবের ৯৫ শতাংশ মানুষ হামাসের যুদ্ধকে সমর্থন করেছেন। ধারনা করা যায় অন্য আরব দেশগুলোর চিত্র একই রকম।



হামাসের ব্যাপারে সৌদি আরবের মনোভাব যে নেতিবাচক তা অস্পষ্ট কোনো বিষয় নয়। হামাসের সাথে মুসলিম ব্রাদারহুডের ঘনিষ্ট সর্ম্পক রয়েছে। মিশরে মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই সর্ম্পক আরো ঘনিষ্ট হয়। গাজার মানুষ নতুন করে আশার আলো দেখেছিলো। ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইলের অবরোধ আরোপের পর থেকে গাজার মানুষের জীবন যাপন যখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো সে সময় মুরসি ক্ষমতাসীন হয়ে এই দুর্ভোগ অনেকটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। গাজার সাথে মিশরের যোগাযোগের পথ রাফাহ ক্রসিং অনেকটা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সৌদি সমর্থনের জেনারেল সিসি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যোগাযোগ ও পন্য পরিবহন সীমিত করে দেয়া হয়। গাজার সাথে সিনাইয়ের মধ্যে যোগাযোগের টানেলগুলো গুড়িয়ে দেয় মিশরের সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেনারেল সিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থসহায়তা দেয়া হযেছে মিশরকে। মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে মুসলিমব্রাদারহুড সমর্থকদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়। অনেককে আবার ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। সৌদি আরব ও মিশরের জেনারেল সিসি হামাসকে নিরস্ত্র করার ইসরাইলি প্রচেষ্টায় যোগ দিলেও সাধারন আরবরা হামাসের লড়াইকে সমর্থন করছে। সৌদি আরবে জনমত জরিপ করে এমন একটি সংস্থার জরিপে দেখা যায় দেশটির ৯৫ শতাংশ নাগরিক ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যুদ্ধকে সমর্থন করেন। ৩ শতাংশ মাত্র দ্বিমত পোষন করেছেন। ২০০০ সৌদি নাগরিকের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়েছিলো। ৮২ শতাংশ মানুষ হামাসের রকেট নিক্ষেপ সমর্থন করেছেন। ১৪ শতাংশ এর বিরুদ্ধে মত দেন। দুই তৃতীয়াংশ লোক ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পক্ষে মত দেন। ৮৬ শতাংশ সৌদি নাগরিক হামাসের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। ৪ শতাংশ লোক মনে করেন মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সর্ম্পকিত এই সংগঠনের ভিন্ন এজেন্ডা আছে। আর ১ শতাংশ মনে করেন হামাস ইসরাইলের পক্ষের একটি শক্তি। এই জরিপে এক তৃতীয়াংশ সৌদি নাগরিক ইসরাইলের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যুদ্ধে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। এক পঞ্চমাংশ লোক কোনো মত দেননি। এসব জনমত জরিপ থেকে স্পষ্ট যে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর হামাস বিরোধী অবস্থানে সাধারন মানুষ সন্তুুষ্ট নয়। এসব দেশের শাসকরা শুধু বাইরে ইমেজ সঙ্কটে পড়ছে না দেশের ভেতরে এক ধরনের চাপ রয়েছে। যদিও এসব দেশে সাধারন মানুষের মতামতের তেমন কোনো মূল্য নেই। কিন্তু সাধারন মানুষের এই সমর্থন থেকে স্পষ্ট হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডকে বাদ দিয়ে আরব বিশ্বে কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

যে শহর চোরাবালি বলেছেন: এই জরিপে এক তৃতীয়াংশ সৌদি নাগরিক ইসরাইলের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যুদ্ধে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।

ভাই এই লাইনটা কি ঠিক আছে??

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ঈসরাইলের বর্বর বাহিনী পরাশক্তিদের সমর্থন নিয়ে গাজার ভিতর অবরুদ্ধ সাধারন মানুষদেরকে হত্যা করছে। পরিসংখ্যনে দেখুন কয়জন হামাস নেতা মারা গেছে।

বিশ্ববিবেক কখনো কোনো হত্যকান্ডকে সমর্থন করে না, অবস্থাদৃস্টেতো মনে হচ্ছে আরব বিশ্ব ঈসরাইলের তাবেদারি করে তাদের অবৈধ ক্ষমতাগুলো দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়।

আমারতো মনে হয় যতদিন আরব বিশ্বে রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও সৈরতন্ত্র থাকবে ততদিন ফিলিস্থিনের সমস্যা জীবিত থাকবে।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

নীলতিমি বলেছেন: আররের কুকুররূপী শাসকেরা নিজের ক্ষমতারক্ষার জন্য ইসরাইল/আমেরিকা তোষণে মত্ত! X( X(

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

ইনফা_অল বলেছেন: শিয়া প্রপগান্ডা...

আমার মতঃ Click This Link

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

ইনফা_অল বলেছেন: শিয়া প্রপগান্ডা...

আমার মতঃ Click This Link

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

ইলি বিডি বলেছেন: আমারতো মনে হয় যতদিন আরব বিশ্বে রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও সৈরতন্ত্র থাকবে ততদিন ফিলিস্থিনের সমস্যা জীবিত থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.