নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ পর্যন্ত বইয়ের বাজারও ভারতের দখলে

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

ভারতীয় অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবেই এদেশের বইয়ের তুলনায় ভারতীয়দের বইয়ের দামও কম রাখা হচ্ছে। এতে করে নতুনপ্রজন্ম ভারতীয় বই পড়ে বিকৃত পর্নো সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠছে। বর্তমান সরকার যে সম্পূর্ণরূপে ভারতমুখী প্রকাশনা জগতেও সরকারের পৃষ্ঠপোষতায় ভারতের চরম আগ্রাসন তার নিকৃষ্ট প্রমাণ। অথচ দেশের সাতানব্বইভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। তারা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে প্রকাশনা শিল্পে ভারতের এই আগ্রাসনের নিরসন কামনা করছে। তাদের হৃদয়ে ক্ষোভের অনল জ্বলন্ত। সরকারকে তার উত্তাপ অনুভব করতে হবে।প্রতি বছর ভারতীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাচ্ছে দেশের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। গত চার (৪) বছরে ভারতকে মোট ১১ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ দেয়া হয়েছে। এ বছর মিলিয়ে পাঁচ (৫) বছরে মোট ১৪ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ পেল ভারত। উল্লেখ্য, শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক দরপত্রের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে দেশীয় মুদ্রণ শিল্প মালিকেরা। কিন্তু তাদের সব দাবি উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক দরপত্রের ছদ্মাবরণে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে দেশের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ। নিজের দেশকে উপেক্ষা করে এভাবে প্রতি বছর ভারতে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ তুলে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে দেশের প্রেস মালিকদের মধ্যে। দেশের বিকাশমান মুদ্রণ শিল্প রক্ষায় প্রেস মালিকেরা বিদেশে পাঠ্যবই ছাপার অবসান চাচ্ছে। এ জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বরাবর লিখিত চিঠিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি। কিন্তু তারপরও এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি তারা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভারতের দোষটা কোথায়, সরকারের কিছু আমলা ঘুষ খেয়ে ভারতীয় প্রকাশক মুদ্রনকারীদের বই ছাপাতে দিয়েছে, ওরা জোর করে নেয়নি। সো?

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অদ্বিত বলেছেন: পর্ণো সংস্কৃতি ? what is this ? শব্দটা প্রথম শুনলাম। পর্ণোগ্রাফী কবে থেকে সংস্কৃতির মধ্যে পড়ল ?
হ্যা, পর্ণো বই পড়া খবই বাজে জিনিস তা সেটা বাংলাদশী হোক আর ভারতীয় হোক, যে দেশেরই হোক না কেন। এমনিতে ভারতীয় সংস্কৃতি খারাপ কি ? বিদেশী সংস্কৃতির বেলাতেই কেন অপসংস্কৃতি শব্দটি ব্যবহার করা হয় ? দেশীয় সংস্কৃতির বেলায় অপসংস্কৃতি শব্দটি ব্যবহার করা হয় না কেন ? জবাব চাই।
আর এটা কোন কথা না যে, দেশের 97% মানুষ মুসলমান। ইসলাম ধর্মটা তো আরব দেশ থেকে আসছে। তো ? এটা কি বিদেশী সংস্কৃতি না ? এখন একথা বলে বইসেন না যে, ধর্ম সবকিছুর উর্ধ্বে। মুসলমানরা এই ভারতীয় উপমহাদেশে আসার আগে এখানকার সবাই এমনকি বাংলাদেশ নামে কথিত এই জায়গাটারও সব মানুষ হিন্দু ছিল। ঠিক আছে ? এখন কথা হল যে আপনি কি হলে খুশি হন ? আপনার পূর্বপুরুষ ভারতীয় উপমহাদেশের একজন হিন্দু হলে খুশি হন নাকি আরব দেশ থেকে আগত একজন মুসলমান হলে খুশি হন ?
আপনার হৃদয়ে যে ক্ষোভের আগুণ জ্বলছে তাতে জল ঢেলে দেন। আগুণ নিভিয়ে ফেলেন। এতেই সমাজের মঙ্গল। কে জানে আপনার হৃদয়ের আগুণের উত্তাপে আপনি নিজেই পুড়ে যান কিনা ? হেঃ হেঃ।
একটা কথা বলি, পৃথিবীর সকল ধর্মই কুসংস্কার ছাড়া কিছুই না। ধর্মগ্রন্থগুলো কস্মিনকালেও বিধাতার সৃষ্টি নয়, মানুষের সৃষ্টি। বিধাতা ফিধাতা বলে কিছু নাই। রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে। আর পৃথিবীর ঠিক কোন জায়গাটায় জীবন সৃষ্টিকারী রাসায়নিক বিক্রিয়াটা সংঘঠিত হয়েছিল কে জানে ? কাজেই, একটা দেশকে নিজের জন্মভূমি না ভেবে পুরা পৃথিবীটাকেই নিজের জন্মভূমি ভাবলে ভাল হয়। শুধু বাংলাদেশী আর মুসলমানদেরকে আপণ না ভেবে জগতের সমস্ত মানুষকে আপণ ভাবতে শেখেন। মনে করেন যে আমাদের সংস্কতিটা স্রেফ বিশ্ব সংস্কৃতির একটা অংশ ছাড়া কিছুই না। কেমন ? দৃষ্টিভঙ্গি বদলান।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: "এমনকি বাংলাদেশ নামে কথিত এই জায়গাটারও " তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আপনার এত সাহস কি ভাবে হয় একটা স্বাধীন দেশ কে "কথিত" বলার।

আমি জানি আপনার নিজের দেশে আপনারা পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা কেমন নিগৃহীত। আপনারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন বলেই কি আমাদের প্রতি এত হিংসা?

বাংলা ভাষা পশ্চিমবঙ্গে এখন I.C.U তে লাইফ সাপোর্ট এ আছে। তাই আপনাদের শেষ ভরসা আমাদের এই দেশ।

নিজের অবস্থানটা মাপেন পরে আসেন আমাদের সমালোচনা করতে।

নিজের দেশেই পাত্তা পান না আবার বিশ্ব নাগরিক। হাসালেন। @অদ্বিত

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: "এমনকি বাংলাদেশ নামে কথিত এই জায়গাটারও " তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আপনার এত সাহস কি ভাবে হয় একটা স্বাধীন দেশ কে "কথিত" বলার।

আমি জানি আপনার নিজের দেশে আপনারা পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা কেমন নিগৃহীত। আপনারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন বলেই কি আমাদের প্রতি এত হিংসা?

বাংলা ভাষা পশ্চিমবঙ্গে এখন I.C.U তে লাইফ সাপোর্ট এ আছে। তাই আপনাদের শেষ ভরসা আমাদের এই দেশ।

নিজের অবস্থানটা মাপেন পরে আসেন আমাদের সমালোচনা করতে।

নিজের দেশেই পাত্তা পান না আবার বিশ্ব নাগরিক। হাসালেন। @অদ্বিত

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

অদ্বিত বলেছেন: আপনি ভুল করছেন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নই। আমি বাংলাদেশের মানুষ।
বাংলাদশের মানুষ হয়েই আমি নিজের দেশকে কথিত বললাম ? কোন সমস্যা ?
আমি আলাদাভাবে বাংলাদেশকে জন্মভূমি ভাবি না, পুরো পৃথিবীকেই নিজর জন্মভূমি ভাবি। স্বাধীন দেশ কি শুধু বাংলাদেশই, ভারত স্বধীন দেশ না ? পাকিস্তান স্বাধীন দেশ না ? আমেরিকা স্বাধীন দেশ না ? রাশিয়া স্বাধীন দেশ না ? পৃথিবীতে আমার নিজের দেশ বাংলাদেশ সহ যত দেশ আছে, সবগুলাই কথিত। ঐসব পাগলামি বাদ দেন। ঠিক আছে ? স্বাধীন দেশ বলে কোন দেশ নাই, সব দেশই কথিত। আপনি কথিত শব্দটাকে এত অবমানা করছেন যে এখন আপনাকে রাগানোর জন্য আরো বেশী করে বলব - কথিত, কথিত, কথিত, কথিত। কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ।
খুশি ? যত্তোসব। এই দেশভিত্তিক ব্যবস্থাটাই ফালতু একটা ব্যবস্থা। পৃথিবীর সবগুলো দেশ মিলে যদি একটা বিশ্বরাষ্ট্র গঠন করা হত। কতই না ভাল হইত।
আইনস্টাইনও এই বিশ্বরাষ্ট্রের পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিল। তঁর মত মহান বিজ্ঞানী যদি কোন মত দিয়ে থাকে, তবে সেটা নিশ্চয়ই ফেলনা নয়। আমাদের বিশাল স্কেলে চিন্তা করা শিখতে হবে। দেশপ্রেমের সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে এসে বিশ্বপ্রেমের আদর্শ গ্রহণ করতে হবে।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪১

অদ্বিত বলেছেন: আপনি ভুল করছেন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নই। আমি বাংলাদেশের মানুষ।
বাংলাদশের মানুষ হয়েই আমি নিজের দেশকে কথিত বললাম ? কোন সমস্যা ?
আমি আলাদাভাবে বাংলাদেশকে জন্মভূমি ভাবি না, পুরো পৃথিবীকেই নিজর জন্মভূমি ভাবি। স্বাধীন দেশ কি শুধু বাংলাদেশই, ভারত স্বধীন দেশ না ? পাকিস্তান স্বাধীন দেশ না ? আমেরিকা স্বাধীন দেশ না ? রাশিয়া স্বাধীন দেশ না ? পৃথিবীতে আমার নিজের দেশ বাংলাদেশ সহ যত দেশ আছে, সবগুলাই কথিত। ঐসব পাগলামি বাদ দেন। ঠিক আছে ? স্বাধীন দেশ, পরাধীন দেশ এগুলো সব বোকা মানুষদের বানানো এবং অপ্রয়োজনীয়। কোন বুদ্ধিমান মানুষ কখনো দেশভিত্তিক ব্যবস্থা পছন্দ করবে না।
স্বাধীন-পরাধীন সব দেশই কথিত। আপনি কথিত শব্দটাকে এত অবমানা করছেন যে এখন আপনাকে রাগানোর জন্য আরো বেশী করে বলব - কথিত, কথিত, কথিত, কথিত। কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ, কথিত দেশ বাংলাদেশ।
খুশি ? যত্তোসব। এই দেশভিত্তিক ব্যবস্থাটাই ফালতু একটা ব্যবস্থা। পৃথিবীর সবগুলো দেশ মিলে যদি একটা বিশ্বরাষ্ট্র গঠন করা হত। কতই না ভাল হইত।
আইনস্টাইনও এই বিশ্বরাষ্ট্রের পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিল। তঁর মত মহান বিজ্ঞানী যদি কোন মত দিয়ে থাকে, তবে সেটা নিশ্চয়ই ফেলনা নয়। আমাদের বিশাল স্কেলে চিন্তা করা শিখতে হবে। দেশপ্রেমের সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে এসে বিশ্বপ্রেমের আদর্শ গ্রহণ করতে হবে।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩২

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: আস্তিক নাস্তিকের ব্যাপার নিয়ে পরে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ
অন্যের সংস্কৃতি যখন নিজের আত্মমর্যাদা বোধও আত্মপরিচয় কে গ্রাস করে তখন সাভাবিক ভাবেই তা অপসংস্কৃতি বৈ কিছুই নয় এবং তা সর্বদাই পরিত্যজ্য কিছু অসাধু অর্থ লোভী আমলা যারা সরকারের চাটুকার তাদের পরামর্শে সরকার নিজে এবং দেশের সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে আমাদের আত্মপরিচয় হীন করার ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই অপসংস্কৃতি রুখতে হবে।অন্যের

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.