নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলিদের টানেল ভীতি

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪২

গাজায় হামাসের কত টানেল আছে সে সর্ম্পকে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর কোনো সুস্পষ্ট ধারনা নেই। ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র পিটাল লার্নার বলছেন হামাস যোদ্ধারা এসব টানেল নির্মানে অন্তত ১শ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।কিন্তু এসব টানেল তো এক দিনে তৈরি হয়নি। ইসরাইলের দুধর্ষ আর চৌকস গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে কী এসব তথ্য ছিলো না? ইসরাইলের ভেতরে এখন এ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে গাজায় কী ইসরাইলের গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যর্থ হয়েছে? বাস্তব পরিস্থিতি এমনটাই বলছে। গাজায় হামাস শুধু জনপ্রিয় নয় তারা গোপনীয়তা বজায় রেখে বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মানের কাজ করতেও সক্ষম।হামাসের এই সক্ষমতা ইসরাইলের এখন সবচেয়ে ভয়ের কারন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ভয় শুধু ইসরাইলের যুদ্ধবাজ শাসকদের নয় সাধারন মানুষের মধ্যেও ঢুকেছে।হামাস অস্ত্রশস্ত্র আনা নেয়া ও গেরিলা যুদ্ধের কৌশল হিসাবে এসব টানেল নির্মান করেছে। কনক্রিটের শক্ত গাথুনি দিয়ে যেভাবে বৃত্তাকারে এসব টাসনল নির্মান করা হয়েছে তাতে অতিসহজে ভারী অস্ত্রশস্ত্র পরিবহন করা সম্ভব। মাটি থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার গভীরে এসব টানেল লম্বায় তিন থেকে চার কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। ইসরাইলি বোমায় এসব টানেলের কোনো ক্ষতি করা সম্ভব নয়। বরং বোমা হামলা থেকে রক্ষার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হচ্ছে এই টানেলগুলো। যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হামাসের নেতারা আশ্রয় শুধু নিতে পারবেন না কমান্ড সেন্টার হিসাবে কাজ করবে।একটি টানেলের সাথে যোগ হয়েছে একাধিক টানেল। ফলে একটি থেকে আরেকটিতে সহজে যাতায়াত করা সম্ভব। এ ধরনের একেকটি টানেল নির্মানে সময় লেগেছে তিন থেকে চার বছর।গাজার ভেতরের এসব টানেলের চেয়ে ইসরাইলিদের ভয় ক্রসবর্ডার টানেল নিয়ে। অর্থাৎ যেসব টানেল গাজার সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলে প্রবেশ করেছে। কারন এসব টানেল দিয়ে সহজে ইসরাইলের ভেতরে প্রবেশ করে  হামলা চালানো সম্ভব।গাজায় অভিযান শুরু হওয়ার পর এরকম একটি টানেল দিয়ে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে ৬জন সৈন্যকে হত্যা করে। আবার গত শুক্রবার রাফায় একটি ট্যানেলে ইসরাইলি সৈন্যরা প্রবেশ করলে সেখানে তিন জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়। এদের একজন হাদার গোলদিন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চাচাতো ভাই। ইসরাইল প্রথমে গোলদিনকে হামাস যোদ্ধারা আটক করেছে বলে দাবি করলেও পরে জানায় সে হামাস যোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়ছে।ইসরাইল সেনাবাহিনীর দক্ষিনাঞ্চলীয় কমান্ড চিফ সামি তুগারমেন বলেন হামাসের অত্যাধুনিক আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কে আমরা বিস্মিত। মাত্র কয়েকদিন যাবত এগুলো আমরা ধ্বংস করতে শুরু করছি। আমাদের লক্ষ্য পুরন করতে পারবো। বেনায়মিন নেতানিয়াহুর চোখে এগুলো টেরর টানেল। তিনি ঘোষনা দিয়েছেন ইসরাইলি বাহিনী এসব টানেল ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কিন্তু কাজটা এতো সহজ নয়।ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইদো হাগত এর মতে গাজায় অনেক ধরনের টানেল রয়েছে কিছু টানেল নির্মান করা হয়েছে মাটির নীচ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য, কিছু টানেল আছে মিশর থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে পন্য আনা নেয়ার জন্য। আর কিছু আছে ইসরাইলে হামলার জন্য। ইসরাইলে সেনাবাহিনীর দাবি তারা এ পর্যন্ত ৩২ থেকে ৩৫টি টানেল ধ্বংস করেছে। কিন্তু আরো কত টানেল আছে তা নিশ্চিত নয়। এছাড়া টানেল ধ্বংস করাও ঝুকি পূর্ন কাজ। কারন একটি টানেল কোথা থেকে কোন দিকে গেছে বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। কোনো সৈন্য যদি ধ্বংসের জন্য এসব টানেলে ঢোকে সেটাও তার জন্য ঝুকি পূর্ন হয়ে পড়তে পারে। কারন এক টানেলের শাখা থেকে হামাস যোদ্ধারা হামলা চালাতে পারে। আবার কখনও কখনও এসব টানেলকে  সৈন্যদের জন্য ফাদ হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।গাজা সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে ইসরাইলে বাস করেন আদলে রামের। তার ভয় এই টানেল নিয়ে। তিনি বলেন অনেক মানুষ জানিয়েছে তাদের বাসার ফ্লোরের নীচে শব্দ শুনতে পান। সেনাবাহিনীকে খবর দেয়া হলে তারা ডিভাইস দিয়ে পরীক্ষা করে জানায় আসলে পানির পাইপের শব্দ। কিন্তু সীমান্তে বাস করা ইসরাইলিরা আতঙ্কে আছেন তাদের ঘরের নীচে হয়তো রয়েছে হামাসের টানেল। রামের বলেন আমার ৩২ বছরের কন্যা যখন ছোট ছিলো সে সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকত না জানি কখন তাকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা হত্যা করে। আমি সব সময় তাকে আশ্বস্ত করতাম সে নিরাপদ। তিনি বলেন গোটা জাতি এখন ভয়ের মধ্যে রয়েছে। রকেট হামলার সাইরেন বাজলে আমরা দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাই। কিন্তু টানেল থেকে মুক্তি পাবো কীভাবে?ইসরাইল সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ব্রিগেডিয়ার শিমন ড্যানিয়েল বলেন আমরা জানি এসব টানেল ইসরাইলের জন্য কৌশলগত হুমকি। এগুলো আমরা সহজে ধ্বংস  করতে পারবো না। এগুলো খুব বড় সমস্যা এবং সহজে সমাধানযোগ্য নয়।  এখন যতই ধ্বংসের ঘোষনা দেয়া হোক না কেন আবার টানেল যে গড়ে উঠবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ধ্বংস করা টানেল হামাস আবারও তৈরি করবে। টানেল ইসরাইলের নিরাপত্তা ঝুকি হিসাবে থেকেই যাবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আয়রন ডোমের বাজারজাত করনে হামাস এবং ইসরায়েলের একটি আপোষ যুদ্ধ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ। টানেলের সব খবরই ইসরায়েলের মত আধুনিক সমরাস্ত্র বিজ্ঞান ও একাধিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সম্পন্ন রাষ্ট্রের কাছে আছে। পাক-ভারতের যেমন একটি কারগিল দরকার , ইরাকের সুন্নিদের দরকার শিয়া, ইরানের দরকার আমেরিকার মত বন্ধু। ঠিক তেমনি ইসরায়েলের দরকার একটি হামাস। ফাতাহ আগেই ভেগেছে। একটু ঘুরিয়ে না দেখলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে না ।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: সব কিছুর পরও মানুষ মুক্তি কামি স্বাধীনতা কামি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.