নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২১

অবরুদ্ধ গাজার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে দুর্বল করা যায় নি বরং সংগঠনটি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। হামাস-ইসরাইল চলমান অসম যুদ্ধের এক মাস পর সার্বিক বিশ্লেষণে এমন চিত্রই ফুটে উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন- হামাসের এ শক্তি বাড়ছে সামরিক ও রাজনৈতিক- দু দিক দিয়েই। যুদ্ধের মধ্যেই এবার হামাসের প্রতি খোদ গাজা উপত্যকায় জনসমর্থন আরো বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার হামাসের সমর্থনে যে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে তা থেকে সহজেই অনুমান করা গেছে সংগঠনটির জনপ্রিয়তা এখন সেখানে তুঙ্গে। এছাড়া, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়েছে- গাজার জনগণ ইসরাইলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসকেই সমর্থন করছে অন্তর দিয়ে। ইসরাইলি আগ্রাসন উপেক্ষা করে হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে যেমন এ সমর্থন ফুটে উঠেছে তেমনি অকুণ্ঠ সমর্থন ফুটে উঠেছে নানা সমাবেশ ও ইসরাইলি সেনা আটকের খবরে গাজাবাসীর উল্লাসে ফেটে পড়ার মাঝদিয়ে। যুদ্ধের সময় ইসরাইলের ভেতরেই যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে কিন্তু এমনটি ঘটেনি গাজায়। গাজাবাসী হামাসকেই মনে করছে মুক্তি আন্দোলনের যোগ্য সংগঠন।  অভ্যন্তরীণ জনসমর্থন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও হামাসের জনপ্রিয়তা সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এবারের আগ্রাসন মোকাবেলার সময় বিশ্বের যত দেশে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে হামাসের সমর্থনে মিছিল, সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে এর আগে তা হয় নি। এবারের যুদ্ধে হামাসের স্থাপনা ধ্বংসের নামে ইসরাইল কেবল বেসামরিক মানুষের  জীবনই নিয়েছে। হামাসের টানেল কতটা সফলভাবে ধ্বংস করা গেছে সে প্রশ্ন উঠছে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের রকেট ছোঁড়ার সক্ষমতা থেকে। আগেও যেমন রকেট ছোঁড়া হচ্ছিল ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির পর তার মাত্রা তেমনি আছে; একটুও কমেনি। এর পাশাপাশি হামাসকে একনিষ্ঠভাবে সমর্থনকারী দেশ ইরানের অন্যতম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সম্প্রতি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি দীর্ঘ স্থায়ী বিরতিতে না যায় তাহলে হামাস আরো ভয়াবহ অস্ত্র ব্যবহার করবে। আর ইসরাইলের সেনাবাহিনীই স্বীকার করেছে, এবার হামাস আগের চেয়েও বেশি রকেট ছুঁড়েছে এবং সব রকেট নিজেদের তৈরি। হামাসের হাতে এবার ইসরাইলের যত সেনা নিহত হয়েছে এত বেশি সেনা এর আগে হামাসের হাতে মারা যায় নি। এ সংখ্যা ইসরাইলের হিসাব মতে ৬৪ আর হামাস বলছে ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন। তেল আবিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আহত হয়েছে অন্তত ১,৬২০ জন সেনা। এছাড়া, যুদ্ধের ভেতরেই হামাস তার অন্যতম লক্ষ্য পূরণ করেছে জীবিত সেনা আটক করে।  অন্যদিকে, ইরানও এই প্রথমবারের মতো সুস্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা হামাসকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দিয়েছে এবং হামাসকে সব ধরনের সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে। সে কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পাথর দিয়ে প্রতিরোধকারী সংগঠন হামাস এখন সামরিক শক্তি অর্জন করেছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সময়ের পরিবর্তনে এই সংগঠনই হবে ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের প্রধান শক্তি। যে সংগঠনকে আট বছর অবরোধ দিয়ে দুর্বল করতে পারে নি ইসরাইল তাকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না কেউ- সে কথা এখন অনেকটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৩

শেখ সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ তাদের সহায় হোক এবং বাংলােদেশের মুসলমানেদর জ্ঞান দ্বীনি জ্ঞান দেক। আমিন।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

বিজন শররমা বলেছেন: মন সুখ সুখ করা পোষট ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.