নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
গাজা উপত্যকার পাশাপাশি জর্দান নদীর পশ্চিম তীরেও ইসরাইল বিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, পশ্চিম তীরে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরুর কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ জাযায়েরি আজ তেহরানে একথা জানান। এক সেনা সমাবেশে তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইল বিরোধী সংঘর্ষের রূপ পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ দীর্ঘ হচ্ছে এবং নয়া পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে তাদের যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছেন। জেনারেল জাযায়েরি বলেন, ইসরাইলি পত্রিকা হারেতজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেট থেকে জীবন বাঁচাতে অন্তত ৫০ লাখ ইহুদিবাদী ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গিয়েছিল। গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীর থেকেও হামলা শুরু হলে ইসরাইলিরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার মতো পশ্চিম তীর অবরুদ্ধ নয় এবং আয়তনে এটি গাজার চেয়ে অনেক বড়। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরের খোতবায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছিলেন, প্রতিরোধ সংগ্রামের মাধ্যমেই ফিলিস্তিনি জাতি মুক্তি পেতে পারে। তিনি চলমান যুদ্ধে গাজার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদেরও উচিত সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু করা। এ সম্পর্কে জেনারেল জাযায়েরি আরো বলেন, দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও কৌশল রপ্ত করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামীরা। স্থল যুদ্ধে ইহুদিবাদীরা পরাজিত হয়ে গাজা উপত্যকা থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন গোটা দখলীকৃত ভূখণ্ড (ইসরাইল) ভূখণ্ড ছেড়ে ইসরাইলি অভিবাসীরা যার যার মূল দেশে ফিরে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব শাসকদের তীব্র সমালোচনা করে জেনারেল জাযায়েরি বলেন, আজ যেসব রাজা-বাদশা গাজাবাসীর ওপর ইহুদিবাদীদের পাশবিকতা নৈরাজ্যের ব্যাপারে নীরব রয়েছে তাদের কারণেই ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান হচ্ছে না। এসব রাজা-বাদশা না থাকলে ইহুদিবাদী ইসরাইল বহু আগে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
©somewhere in net ltd.