নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলের বর্বরতা : আল কোরআনের সতর্কবাণী

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৫

ফিলিস্তিনের এ আগুন কতো দিন জ্বলবে! কতো লাশ পেলে ইহুদিদের রক্ত পিপাসা মিটবে! কতো মায়ের বুক খালি হলে তাদের এ বর্বরতা থামবে! তা নির্ধারণ করছে সামনের দিনগুলোর ওপর। অদূর ভবিষ্যতে এ স্রোত কোন দিকে গড়াবে সেটাও এখন অস্পষ্ট।  ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর নির্দেশনায় ‘স্থল যুদ্ধ আরও জোরদার করা হয়েছে। দীর্ঘ এই লোমহর্ষক নৈরাজ্যের পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের হয়ে আসছে গলিত লাশ। এরপরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। পবিত্র কোরআনে সূরা নাহলের ৬১নং আয়াতে বলা হয়েছে, “আল্লাহ যদি মানুষকে তাহাদিগের সীমা লংঘনের জন্য শাস্তি দিতেন তবে ভূপৃষ্ঠে কোনো জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাহাদিগকে অবকাশ দিয়া থাকেন। অতঃপর যখন তাহাদিগের সময় আসে তখন তাহারা মুহূর্তকাল বিলম্ব অথবা ত্বরা করিতে পারে না।”আর কতো দিন সহ্য! আর কতো কাল ধৈর্য!! ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা ও ব্রিটেনে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এছাড়া তুরস্ক, ইয়ামেন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া, লন্ডনসহ বাংলাদেশও ও ফুঁসে উঠেছে গণহত্যার প্রতিবাদে। তবুও ইসরাইল হামলাকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্তে অটল। অথচ পবিত্র কোরআনে সূরা লুকমানের ১৮নং আয়াতে বলা হয়েছে “অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করিও না এবং পৃথিবীতে ঔদ্ধত্যভাবে বিচরণ করিও না; কারণ আল্লাহ কোনো ঔদ্ধত্য অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের এই কমান্ড হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে ২০১২ সালের চেয়ে এবারের উত্তেজনাটা একটু বেশি ভয়ংকর। যার পেছনে পরোক্ষ ইন্ধন যোগাচ্ছে মানব সভ্যতার দাবিদার পশ্চিমা বিশ্বের জাদুকররা। ইসরাইলের তিন কিশোর (?) অপহরণের পর হত্যার প্রতিশোধে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার জের ধরে এ সহিংসতার সূত্রপাত হয় এবং পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। জমাটবদ্ধ সন্দেহের অক্টোপাসে তিন কিশোরের পরিবর্তে শত শত মুসলিমকে শেষ করে দিচ্ছে। আল্লাহ প্রকাশ্য এবং গোপন সব কিছুই দেখেন। পবিত্র কোরআনের সূরা হুজুরাতের ১৮নং আয়াতে বলা হয়েছে “আল্লাহ আকাশম-লী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন। তোমরা যাহা কর আল্লাহ তাহা দেখেন।”   ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের এই ভয়াবহ হামলা মানবিক দিক থেকে কতোটুকু বিবেক সমর্থিত এবং সভ্যতার দিক থেকে কতোটুকু সমর্থনযোগ্য সেটাই বিবেচনার বিষয়। যারা জীব হত্যাকে মহাপাপ মনে করে তারা কীভাবে এ হত্যাকা- ঘটায়! বিশ্বের সব মুসলিম আমাদের ধর্মের ভাই। কেউ কোথাও আক্রান্ত হলে শিরায় শিরায় তার জ্বলন একজন মুসলমান সর্বপ্রথম অনুভব করে থাকে। যখন অনুভবের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ধৈর্যের সীমা লংঘন হয়ে যায়, তখন বসে থাকা দায় হয়ে যায়। সর্বোপরি এ পরিস্থিতিতে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এমন কোনো আত্মঘাতী সিদ্ধান্তও ইতিবাচক নয় যা দ্বারা ফিলিস্তিনের বর্তমান বৈরী পরিবেশ শান্ত হবে। এটা আমাদের পাপ কর্মেরই বিষফল। যার প্রতিক্রিয়া আমাদের ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ থাকা মজলুম ফিলিস্তিনের ওপর সংক্রমিত হয়েছে। কারণ পবিত্র কোরআনের সূরা রোমের ৪১নং আয়াতে বলা হয়েছে, “মানুষের কৃতকর্মের দরুন সমুদ্রে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে, যাহার ফলে উহাদিগকে কোনো কোনো কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।” এ জন্য পরিস্থিতি শান্ত করার মানসে নামাজি ব্যক্তি মসজিদে বসে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। রোজাদার ইফতারের আগে হাত তুলে মদদ চাইবে। মুসাফির চলতি পথে যান-বাহনে বা মুসাফিরখানায়। শ্রমজীবী তার কর্মস্থানে বসে, সর্বোপরি সবাই তার নিজ জাতির হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে। সুতরাং গোত্র, বর্ণ, শ্রেণীভেদে আল্লাহর দরবারে আমাদের সাহায্য কামনাকে আরও ব্যাপক করা বাঞ্ছনীয়। এটা সকলের ঈমানী দায়িত্ব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.