নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
একের পর এক হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুন-গুম, অন্তর্ঘাতের সংঘর্ষ ও আধিপত্যের লড়াইয়ে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে উত্তপ্ত পার্বত্য রাজনীতিতে নতুন করে শুরু হয়েছে ধর্মের ব্যবহার। দেশের সব জেলাতেই রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার থাকলেও পাহাড়ের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রায় এবং ভিন্ন আঙ্গিকে। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতির এই নতুন মাত্রা পাহাড়ের ওয়াকিবহাল মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।মূলত সহজ সরল পাহাড়ি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে তাদের রাজনীতির বেড়াজালে আবদ্ধ করে এখানকার পরিবেশ উত্তপ্ত করার পাঁয়তারা করছে একটি মহল। আর এ ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হচ্ছে রিজার্ভ ফরেস্টের জায়গা, বিভিন্ন সরকারি খাস জমি এবং পাহাড়বাসির দখলসত্ত্ব জমিসমূহ।এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক বিতর্কিত জায়গা দখল করে ভাবনা কেন্দ্র ও বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে বিভিন্ন দিকে। সাধারণ পাহাড়ি নারী-পুরুষদের সামনে এগিয়ে দিয়ে পেছন থেকে কল-কাঠি নাড়ছে এখানকার প্রভাবশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই দলগুলোকে নীরবে এবং সরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দেশের কিছু স্বার্থন্বেষী মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও।এসব সংগঠনই অন্তত এক দশক ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, পাহাড়ে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর আস্তানা গড়ে উঠেছে এবং এই অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এই অঞ্চলের বাস্তবতা একবারেই ভিন্ন।পাহাড়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে এখন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে এখানকার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেদের টিকে থাকার সস্তা কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে ধর্মকে। আর সাধারণ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।তবে এসব রাজনৈতিক দলগুলো এসব ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছে।সাম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার বেশ কটি উপজেলায় উপসনালয় গড়ার নাম করে প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ পাহাড়িদের মুখোমুখি হবার কয়েকটি উদাহরণ পাওয়া গেল।রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বড় ঘটনাটি ঘটে গত ১ মে বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন বঙ্গলতলী ইউপি’র দুইটিলা এলাকায়। এখানে বন ভাবনা কেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনা নিরসনে প্রশাসন একাধিকবার আলোচনা ও উপজেলা প্রশাসন বৈঠক করেও কোনো প্রকার সমাধানে পৌঁছুতে না পারায় উত্তেজনা প্রশমনে দুইটিলা নামক স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।এদিকে একই ধরনের আরো একটি ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়, রাঙামাটি শহরের মানিকছড়ি এলাকায়। এখানেও একই ধরনের পরিস্থিতি’র দিকে পরস্পরবিরোধী দুইটি পক্ষ এগুতে থাকলে জেলা প্রশাসন এখানেও ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপর আবার নতুন করে সাজেকের গঙ্গারাম মুখে বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয়।বাঘাইছড়ির গঙ্গারামের উজোবাজার এলাকায় ২২শে জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজাতীয়রা বৌদ্ব মূর্তি স্থাপনের চেষ্টা করা হলে প্রশাসনের সঙ্গে উপজাতীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।প্রশাসন উত্তেজনা ঠেকাতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৌদ্ধ মুর্তি স্থাপনে বাধা দিলে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সাজেক শাখার উদ্দেগ্যে উজোবাজারে মিছিল ও সমাবেশ করেন নেতারা। পরে সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা দেয়া হয়। অতি সম্প্রতি স্থাপিত উজো বাজারটিতে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক দোকান ঘর। যার প্রত্যেকটি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের। তাই তারা এখানে প্রার্থনা করার লক্ষ্যে একটি বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপন করতে কাজ করছেন।কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে মুর্তি নির্মাণ করা যাবে না। কারণ এখানে বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।কিন্তু এলাকাবাসী মনে করে,এটি পাহাড়িদের ধর্ম পালন ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর চরম আঘাত এবং জায়গা-জমি বেদখলের গভীর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু ঘটনার একটু গভীরে গিয়ে জানা গেল সম্প্রতি বিজিবি জোন স্থাপন করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতেই তাদের এই মূর্তি স্থাপনের আন্দোলন। আর এই আন্দোলনে পূর্ণাঙ্গ সার্পোট দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে একটি আঞ্চলিক সংগঠন।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫০
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: উপর থেকে আমরা বিষয়টি যত সহজ ভাবে দেখছি আসলে ঠিক তা নয়। এই চক্রান্তর বিজ অনেক আগেই রোপন করা হয়েছে। সরকারের উদাসীনতায় তা এখন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। অতিসত্বর এর মূল উতখাত করতে পারলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
অরণ্যতা বলেছেন: এই চক্রান্তর বিজ অনেক আগেই রোপন করা হয়েছে। সরকারের উদাসীনতায় তা এখন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। অতিসত্বর এর মূল উতখাত করতে পারলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
Western world is behind this situation. We do not see another South Sudan or Timur in Bangladesh.
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৬
বিশালবাংলা বলেছেন: আজকে এই কালকে সেই এরকম ফন্দিবাজি করে তো পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম গিলে খেয়েছ। আর কিছু দিন পরে সাধারণ পাহাড়িদের ঘর বাড়ি করার জায়গা তো পাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: কঠা সইত্যা!