নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান শাবতাই শাবিত বলেছেন, গাজায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অপারেশন তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। তাই ইসরাইলকে অবশ্যই হামাসের সাথে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি করার জন্য কাজ করতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে দুধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ন বলে মনে করা হচ্ছে। কারন হামসের শক্তি ও কর্মকেৌশল সর্ম্পকে বিশ্বের অন্য যে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ে মোসাদের কাছে অনেক বেশি তথ্য আছে।ইসরাইলের চ্যানেল ১০কে দেয়া সাক্ষাতকারে শাবিত বলেন, চলমান সামরিক অপারেশনের ভাগ্য এবং এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সক্ষমতা নির্ধারণ করা কঠিন। তিনি উল্লেখ করেন, হামাসকে পরাজিত বা নির্মূল করাসহ চলমান অপারেশনের লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যর্থতার কথা।তিনি বলেন, ‘যারা বিশ্বাস করে যে হামাস নেতাদের হত্যা করা হলে সংগঠনটি আত্মসমর্পণ করবে, তারা ভুল করছে। হামাস আত্মসমর্পণ করবে না বা সাদা পতাকা প্রদর্শন করবে না।’সাবেক মোশাদপ্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মনের লড়াই। এই খেলার বিজয়ী হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমান।’তিনি বলেন, ‘হামাস নেতাদের নির্যাতন না করা বা হত্যার জন্য টার্গেট না করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই যুদ্ধে এটা ছিল অগ্রাধিকার। এ কারণে তাদের হত্যার কাজটি পরে করার জন্য রাখা হয়েছিল।’তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মোশাদপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের সময় যেকোনো অপরাশেন শুরু করার সাথে সাথেই হামাস নেতাদের হত্যা করা ছিল প্রধান কাজ।এর আগে মোসাদ ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে হামাসের প্রতিষ্টাতা ও আধ্যাত্নিক নেতা শেখ আহমদ ইয়াসিন। এরপর দায়িত্ব পাওয়া আব্দুল আজিজ রানতিসিকেও হত্যা করে মোসাদ। রানতিসি হত্যার পর থেকে হামাস দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নাম প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছে। গত সপ্তাহে মোসাদের তথ্যর ভিত্তিতে সামরিক শাখা প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার স্ত্রী,পুত্র ও কন্যা নিহত হয়। এরপর হত্যা করা হয় হামাসের আরো তিনজন শীর্ষ নেতাকে।এর অগে হামাসের রাজনৈতিক শাখা প্রধান খালেদ মিশালকে জর্ডানে হত্যার চেষ্টা চালায় মোসাদের এজেন্টরা। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জর্ডানে দুজন মোসাদ এজেন্ট আটক হয়। এখন পর্যন্ত বহু হামাসের নেতা ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে নিহত হলেও সংগঠনটি দূর্বল হয়নি। বরং এবারের সামরিক অভিযানে হামাসের হাতে ৬৮ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
©somewhere in net ltd.