নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়েছে। মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় দু'পক্ষ আজ (মঙ্গলবার) এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করার পর ফিলিস্তিনিরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছেন। তারা চুক্তি সইয়ের ঘটনাকে প্রতিরোধ আন্দোলনের বিজয় বলে আখ্যায়িত করছেন। গ্রিনিচমান সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ইসরাইলও যুদ্ধবিরতির কথা স্বীকার করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানান, “মিশরের প্রস্তাবনায় আমরা নিঃশর্তভাবে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিয়েছি।” অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া এবং গাজাবাসীর দাবিগুলো পূরণের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এদিকে, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সিনিয়র নেতা মুসা আবু মারজুক বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হচ্ছে হামাসের বিজয়ের প্রমাণ। হামাসের শর্ত মেনে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় অনির্দিষ্টকালের জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করায় ৫০ দিনের অসম যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর বিজয় হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। হামাসের প্রধান দাবি ছিল, গাজার ওপর থেকে আট বছরের অবরোধ তুলে নিতে হবে। এছাড়া, গাজায় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর চালু অধিকার দিতে হবে বলেও হামাস জানিয়েছে। এগুলোকে যুদ্ধবিরতির শর্ত নয় বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার বলে উল্লেখ করেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশআল। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও মিশরের প্রস্তাবে গাজার প্রধান ক্রসিং পয়েন্টগুলো খুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। ইসরাইলের পক্ষ থেকে এসব ক্রসিং খুলে দেয়ার অর্থ গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার খবর গাজা উপত্যকায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করছেন। অনেকে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। গাজা উপত্যকার খান ইউনুস, জাবালিয়া ও রাফাহসহ সব শহরের রাস্তায় ফিলিস্তিনিদেরকে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। বিভিন্ন শহরের মসজিদ থেকে মাইকে 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি দিয়ে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানানো হয়। গত ৮ জুলাই ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজার ওপর বর্বর আগ্রাসন শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাদের হাতে শহীদ হয়েছেন ২,১৩৭ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া, আহত হয়েছেন ১১,০০০ মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলের ভাষ্যমতে অন্তত ৭০ জন সেনা নিহত হয়েছে। তবে হামাস বলছে, ইসরাইলি নিহত সেনার সংখ্যা দেড়শ’র বেশি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বিজয় তখনই হবে যখন ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। তার আগে হামাস আর ফাতাহ'র একমত হওয়া জরুরী। এই দুটি দল পৃথকভাবে পূর্বতীর আর গাজা শাসন করে চলছে...এদের আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেও ভিন্নতা আছে।
কাজেই, এখানে বিজয়ের কিছু নাই, উল্লাসেরও কিছু নাই...এটা কেবল সাময়িক হত্যা বিরতি।