নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যুগের সিক্সটিনথ ডিভিশন

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

১৯৭১ সালে চাঁদপুরের টেকনিক্যাল স্কুলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী পদাতিক ব্রিগেড ঘাঁটি গেড়েছিলো। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে চাঁদপুরের পতন হয়। মুক্তির ঠিক আগেরদিনই 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' ধ্বনি সহযোগে বিরাট এক মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি এতোই বড় ছিলো যে, এর আগা যখন গণি স্কুলের সামনে, পাছা তখন তালতলায়! সেই মিছিল দেখে কেউ ভাবেনি পরদিনই পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্র এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবে। চাঁদপুরে কোন আত্মসমর্পণ হয়নি, কোন বিদেশি ফৌজও প্রথম প্রবেশ করেনি। পাক ফৌজের পলায়নের পর মুক্তিযোদ্ধারাই প্রথম চাঁদপুরে প্রবেশ করে।

যাহোক, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৮ তারিখ যখন মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে, তখন গতকালের পাকিস্তানপন্থী মিছিলটিতে যোগ দেয়ারাই রাস্তায় উল্লাস করা শুরু করে। লাঠি হাতে, কেউ বা কোন পুরানো গাদা বন্দুক, এয়ার গান বা থ্রি নট থ্রি জোগাড় করে জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে মিছিল করতে থাকে। সে মিছিলও গতকালের মিছিলের মতোই বড় হলো।

এদেরকেই পরবর্তীতে সিক্সটিনথ ডিভিশন ফ্রিডম ফাইটার নামে অভিহিত করা হয়। কয়েক বছর আগে বিচারপতি মুহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, "দেশ আজ বাজিকরদের খপ্পরে।" এই বাজিকররাই এ যুগের সিক্সটিনথ ডিভিশন! অবশ্য ৭১ সালের সিক্সটিনথ ডিভিশনের অনেক বীর যোদ্ধাও এখন চেটেপুটে নিচ্ছেন। আর ধুঁকে ধুঁকে মরছেন জানবিবির সেই রিকশাওয়ালা মামা, নিজেকে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বলতে এখন যিনি অাগে সাতপ্যাঁচ ভেবে নেন। অথবা বীরশ্রেষ্ঠ মুনশী আবদুর রউফের পরিবার, যার ছোট ছেলে এখন চায়ের টং চালিয়ে সংসার চালায়।

এরপরও আমি আশাবাদী। এসব সিক্সটিনথ ডিভিশনের আসলে কোন বল নেই। আচমকা দমকা হাওয়া বইলেই তারা মাথা নামাতে শুরু করে। আর এই বাংলায় পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ সবখান থেকেই দমকা হাওয়া বয়...!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার এ সকল মেকি কান্না সবাই বুঝে কেন আপনি আমাদের গর্বের স্বাধীনতার ইতিহাস কে ছোট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন.... আপনার কেন লাগে?? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা তো ভালোই আছেন (কিছু সংখ্যক ছাড়া-দুঃখজনক ভাবে)

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৭

আলাপচারী বলেছেন: এইসব গুরুত্বর্পূণ বিষয়ে আমরা যত সচেতন হবো তত দেশের মঙ্গল।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালারা এই সব নিয়ে আন্দোলন করতে প্রে না?
আজ আবার দেখলাম মুক্তিযুদ্ধের সারক আত্মসমর্পণ দলিলই বাংলাদেশে নাই।সরকার ও এই ব্যপারে জানেই না।
চেতনা ধারীরা এই ব্যপারে মুখ খুলেনা কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.