নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
এদেশে মেধার মূল্যায়ন না হবার সিলসিলা অনেক প্রাচীন। তবে মাকসুদুল আলমের ব্যাপারে প্রশাসন নয়, দেশের মানুষই ঔদাসীন্য দেখিয়েছে। যেখানে কোন তৃতীয় শ্রেণীর ব্যক্তির মৃত্যুতে মাছের মায়েরা পুত্রশোকের ফল্গুধারা ছোটায়, তারা আজ এদেশের এই মহান সন্তানের মৃত্যুতে ভাবলেশহীন।
বিশ্বে এখন কৃত্রিম তন্তুর বদলে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের চল আবার বেড়েছে। প্রাকৃতিক তন্তুর প্রধান উৎস পাটের ভৌগলিক মালিকানাসত্ত্ব যে ব্যক্তি বিনা পারিশ্রমিকে আমাদের এনে দিলেন, তাঁর মৃত্যুতে ফেবুর হোমপেজকে ভাবলেশহীন দেখে আমার উপলব্ধি হলো, এদেশের মানুষের পেটে ঘি সইবে না কখনো।
গতকালকের ডেইলি স্টারেই দেখলাম, আমেরিকাভিত্তিক প্রখ্যাত গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক গবেষণার দ্বারা দেখিয়েছে, বাংলাদেশীরা রাজনীতির দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে সক্রিয়। রাজনীতি সচেতনতা একটি বহুমাত্রিক বিষয়, যাতে রাষ্ট্রচিন্তার সমুদয় বিষয় জড়িত থাকে। এদেশের মানুষ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর রাখে, প্রণব মুখার্জি বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি প্রোফাইল ছবিতে সংযুক্ত করে, মালালা ইউসুফজাই থেকে শুরু করে সানি লিয়ন পর্যন্ত সবার গর্বে গর্ভবতী হতে পারে, কিন্তু মাকসুদুল আলমরা সে তুলনায় তাদের কাছে গুরুত্বহীন।
কারো লেখনী এই কৃষকায় ও কৃষ্ণকায় বঙ্গসন্তানের জন্য আবেগ বর্ষণ করেনা। মোমবাতি আর বেলুনেরা থমকে যায়, ফেসবুকে খ্যাতি লাভ করা রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা চালানোর পেজগুলো থাকে নিরুত্তাপ। এহেন রাজনীতি সচেতনতার মুখে থুতু মারি আমি!
মানুষ মাকসুদুল আলমের ফয়সালা আল্লাহর হাতে; আমি এদেশের হাওয়া-পানি খেয়ে বেড়ে ওঠার তৃপ্তিতে, বছরে মাত্র ১২০ টাকা বেতন দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ হয়ে বাংলার বরেণ্য সন্তান বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার দেশের মানুষ ভুলো যাবে, কিন্তু আমি ভুলবো না, এই ব্যক্তি পাট গবেষণায় পারিশ্রমিক হিসেবে একটি পয়সাও গ্রহণ করেননি।
মাকসুদুল আলমের কথা ভেবে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের নিয়ে রচিত একটা দেশাত্মবোধক গানের কয়েক পংক্তি মনে বেশ ধাক্কা মারছে-
"... যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন-মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয়লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে"
মাকসুদুল আলমরাও বিপ্লবী, একটি স্বাধীন দেশকে মর্যাদাশীল করার বিপ্লবের বিপ্লবী...!
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২১
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সব ব্যপারে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নাই।
ভিন্নমত না থাকলে ভুলত্রুটি চোখে পড়বে না।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩১
রাজিব বলেছেন: মাকসুদুল আলমের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এমন দেশ প্রেমিক প্রতি দিন না হলেও প্রতি বছর যেন একজন করে বাংলাদেশে জন্মান সেই প্রার্থনা করি আল্লাহ্র কাছে।
আমাদের ব্লগঃ http://blog.e-cab.net/
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: মাকসুদুল আলমের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: এদেশে মেধার মূল্যায়ন না হবার সিলসিলা অনেক প্রাচীন...... (সহমত)
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং শেষ লাইনে চরমভাবে একাত্মতা জানাই!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: "সবার গর্বে গর্ভবতী হতে পারে, কিন্তু মাকসুদুল আলমরা সে তুলনায় তাদের কাছে গুরুত্বহীন।"
স হ মত (এই প্রথম আপনার সাথে)