নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদলে গেছে গনতন্ত্রের মূলমন্ত্র আর মানবাধিকার আজ লুন্ঠিত

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১২

এ্যাডলফ হিটলার তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে কাল্পনিক শত্রুর সৃষ্টি করতে হবে। তা করে দেখাতে হবে যে দেশ বিপদাপন্ন। এতে জনসাধারণ ভীত হয়ে পড়বে। জনগণ ভীত হলেই তাদেরকে দাসত্বে পরিণত করা সহজ।” আমাদের অনেক সমস্যা এতই নগণ্য তা সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু, রাজনীতিবিদগণ সমাধান দিতে চায় না, কারণ, সমস্যা জটিল করার মধ্যে তাদের ক্ষমতা নির্ভর করে। জনগণের দুর্ভোগ যত বেশি হবে, ততই রাজনীতিবিদগণ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য শক্তিশালী হবে। স্যার অর্নেস্ট বেন তাই বলেছেন-“বিপদ অন্বেষণ করার কৌশলই হচ্ছে রাজনীতি। বিপদ থাকুক আর নাই থাকুক। বর্তমানে অসুস্থ রাজনীতি গোটা জাতির জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে।

আজ জাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা অনৈক্য আর বিভেদ। আমাদের জাতীয় জীবনে কালো মেঘের আনাগোনা এখন প্রকট। এই অশুভ বৃষ্টি বর্ষিত হলে আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, ও সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে। অসুস্থ রাজনীতি আর ক্ষমতার মোহের কুঠুরীতে বন্দী নাগরিক, খাদের কিনারায় দন্ডায়মান। আমাদের বড় দু’দল আর জোটের মধ্যে বিভেদের প্রাচীর এখন অনেক উঁচু। তার সমাধান না হলে পরিণতি হবে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভয়াবহ। দেশের জনগন ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচন দেখেছে। তরুন প্রজন্ম শুনেছে বাকশালের অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতার কাহিনী। দেখেছে স্বৈরাচারের দীর্ঘ শাসন আর শোষণ। তবুও এগিয়ে যাবার স্বপ্ন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য -ইতিহাস থেকে রাজনীতিবিদরা শিক্ষা না নেবার কারণে বারবার চরম মূল্য দিচ্ছে এ জাতি। কিন্তু কেন? অথচ এইতো সেদিন। ১/১১ মহাপ্রলয় থেকে রেহাই পাননি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, রাজনিিতবীদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, ছাত্র-শিক্ষক ও দেশের জনসাধারণ। তাহলে আমরা কি আবার দেশকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছি? না তার থেকে ভয়াবহ অন্য কোন দিকে!! আমরা কি আর এক ২৮ অক্টোবর কিংবা তার থেকে বড় রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছি? আমরা কি বারবার মীমাংসিত ইস্যু গুলো জাগিয়ে জাতিকে বিভেদ আর বিভক্তির দিকে ঠেলে দিব? কারণ আজকের সংকটের অন্যতম কারণ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার বাতিল। আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের নামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। অথচ এ দুটিই মীমাংসিত ইস্যু। দেশের সকল বিরোধী দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আদালত এমনকি সরকারদলীয় ব্যক্তিদের মতকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। এ রাজনৈতিক খেলা জাতী বিনাশী আর আতœঘাতি!গণতন্ত্র আমাদের সংবিধানে খচিত হলেও দেশ পরিচালিত হয়েছে কখনও একনায়কতন্ত্র তথা বাকশাল, কখনো সামরিকজান্তা, আবার কখনো স্বৈরশাসনের অধীনে। অনেক আন্দোলনের পর ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসনের অবসান হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলেও জনগণের চাহিদার সত্যিকারের প্রতিফলন এখনো ঘটেনি। গণতন্ত্র শাসনের এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কে শাসন করবে এবং কি উদ্দেশ্যে শাসন করবে এ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মীমাংসা হয়। গণতন্ত্র এমন একটি অধিযন্ত্রবাদ যা নিশ্চিত করে মর্যাদাযোগ্য সরকার পাওয়া যায়। কিন্তু ৫ জানুয়ারি ভোটার বিহীন একতরফা নির্বাচন সেই সংজ্ঞাকেও পাল্টে দিয়েছে। তাই একবার এক সাহসী যুবক একটি সভায় এক শঠ রাজনীতিবিদকে প্রশ্ন করে জর্জরিত করছিল। অবশেষে রাজনীতিবিদ যুবকটিকে এড়াতে পারলেন না। তিনি বললেন, “আমার সাথে আপনার যে অমিল তা কি শ্রোতাম-লীকে বলবেন? নাগরিকের কি উপকার আপনি করছেন?” যুবকটি দাঁড়িয়ে বলল, “গত নির্বাচনে আমি আপনার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি।” সেই প্রতিবাদের সুযোগও আজ এখানে অনুপস্থিত। তাই কার্ল পপার বলেছেন-“কে শাসন করবে এ প্রশ্ন করা সঠিক নয়। কু-সরকারকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বের করতে হবে এ প্রশ্নই প্রধান। ইহাই গণতন্ত্র।” দেশ এখন সন্ত্রাস, দূর্নীতি, খুন আর গুমের রাজনীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাই অন্যায়, দারিদ্রতা এবং অজ্ঞতা নিরাময়ের জন্য রাষ্ট্রকে হয় সংস্কার পন্থা অবলম্বন করতে হবে, নয় তো বিপ্লবের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প আছে কি?

যেখানে আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে দুর্নীতি জীবনের উপায়ে পরিণত হয়। থাকে না মানুষের মৌলিক অধিকার। আমরা এখন এমন দেশেরই নাগরিক। অথচ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সময় মানবাধিকারের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার-সম্পর্কিত ঘোষণা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতারক্ষার্থে ইউরোপীয় কনভেশন। মানবাধিকার রক্ষার জন্য মানবাধিকার-সম্পর্কিত ইউরোপীয় আদালত গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানেও নাগরিক অধিকারের নীতি খচিত। কিন্তু এদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন শুন্যের কোঠায়। দেশি-বিদেশি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থাগুলো বাংঊলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরছে প্রতিদিন। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। অথচ সাধারণভাবে, কথা বলার স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, পারিবারিক জীবনের অধিকার, ফৌজদারি মামলাও সুবিচার পাওয়ার অধিকার, অমানবিক শাস্তি থেকে নিষ্কৃতির নিশ্চয়তা, রাজনৈতিক কর্মকা-ের স্বাধীনতা ইত্যাদিই মানবাধিকারের পর্যায়ভুক্ত। অনুন্নত, একনায়ক বা স্বৈরাচারশাসিত এবং গোঁড়া কমিউনিস্ট দেশেই মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন তারই অন্তর্ভূক্ত। সারা বিশ্বে এখন বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে এখন আলোচনা সমালোচনা চলছে। যা দেশের জন্য মর্যাদা হানিকর। আর এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স অর্জনকারী বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকরা।
আইনের শাসন বা -এর মূল কথা হল :
১. কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দ্বারা নয় বরং সুনির্দিষ্ট ও ধারাবাহিক আইনের দ্বারাই রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হবে;
২. আইনের চোখে সকল নাগরিকের অধিকার সমান হবে;
৩. বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন ও সরকারে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রভাবমুক্ত হবে এবং রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তা ও নাগরিক আদালতের কাছে দায়ী থাকবেন
৪. সংবিধানই জনগণের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করবে এবং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের ইচ্ছামাফিক সংবিধান বাতিল, স্থগিত বা পরিবর্তন করা যাবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে তার সম্পূর্ণ বিপরিত শাসন ব্যাবস্থা। আমরা যদি এই চারটি নীতি বাক্য, মৌলিক আইন কিংবা ধারনাকে উল্টিয়ে বলি তাহলে আওয়ামী শাসনামলের পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করা যায়।

শাসকগোষ্ঠী যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আর সামাল দিতে পারে না, তখনই এই পথের আশ্রয় নেয়। ফ্যাসিবাদীরা আঘাত হানে প্রধানত প্রগতিশীল শক্তি, প্রতিবাদী কন্ঠ ও শ্রমিকশ্রেণীর ওপর। সর্বপ্রথম (১৯২২ সালে) ইতালিতেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর এর গোড়াপত্তন হয় জার্মানিতে (১৯৩৩)। ফ্যাসিবাদের দুই প্রধান মহানায়ক ছিলেন ইতালির বেনিটো মুসোলিনি এবং জার্মানির এডলফ্ হিটলার। তাই সা¤্রাজ্যবাদী স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আধাকাঁচড়া ও কমবেশি মুৎসুদ্দি চরিত্রসম্পন্ন পুঁজির স্বার্থকে রক্ষার করার উদ্দেশ্যে এবং শোষিত শ্রেণীর আন্দোলন ও ক্ষমতা দখলকে ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই অনুন্নত দেশসমূহের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীও ক্ষেত্রবিশেষে ফ্যাসিবাদের আশ্রয় নেয়।
আমাদের পাল্টাতে হবে বিভেদের রাজনীতি। গড়ে তুলতে হবে জাতীয় ঐক্য। চিত্রাঙ্কন করতে হবে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী একটি বাংলাদেশের। আমাদের রাজনীতি এখন কুলুষিত। আমাদের দেশের সংসদ এখন কারো গুণকীর্তণ আর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষেদাগারের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে। অথচ গরীবের টাকায় পরিচালিত এই সংসদ তাদের ভাগ্যে উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা পালন করতে পারছে। আজ আমাদের জাগতেই হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে দূর্বার প্রতিরোধ। কারণ তরুণ প্রজন্ম এবং জনগণ পরাজিত আর পরাভূত হতে জানেনা। এ জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, আর ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামে নতি শিকার করেনি। এবারও করবে না, ইনশাল্লাহ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করার মধ্যেই দেশের উন্নতি নির্ভর করে। যারা দেশের কারণে জীবন উৎস্বর্গ করেন, তারা জীবন্ত লোকের মধ্যে জীবনের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিয়ে হয়ে থাকেন চির অমর। ইতিমধ্যেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইসলাম আর গনতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের আন্দোলনে শত শত বীরেরা তাদের জীবন দিয়ে নাম লিখিয়েছে শহীদি খাতায়। আল্লাহ তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করন।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি। কোন স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি । তবে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রুপ নিতে আর কত রক্তের সাগর পারি দিতে হবে তা আল্লাহ ভালো জানেন। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার এহেন হীন ও জঘন্য কাজ করতেও দ্বিধা করে না। তাই সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকে। তাইতো চার্লস মরিস বলেছেন- “কুশাসন থেকে উৎসারিত অন্যায় বিচার, কলুষিতা এবং অত্যাচরকে সহ্য না করার অস্বীকৃতি নীতিবান নাগরিকদেরকে মর্যাদা এবং উন্নতির পর্যায়ে পৌঁছে দেয়।” তাই আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করে, নেতৃত্ব কতটা সাহসী, দক্ষ ও কৌশলী ভূমিকা রাখতে পারে তার ওপর। আর এর মূল চালিকা শক্তি হিসাবেই ভূমিকা রাখে জনগণ। দেশের জনগণ এই সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে অনেক আগেই বিষ্ফোরণমুখ ধারণ করে আছে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব আন্দোলনকে তার মূল লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এবার বিজয় ছিনিয়ে আনতে কতটুকু দূর্বার ও অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে এ আন্দোলনকে আবির্ভূত করা যায়,তাই এখন দেখবার ব্যাপার। কারণ যোদ্ধার ভাষায়-”সিংহ কর্তৃক পরিচালিত একশত মেষের একটি সেনাবাহিনীকে আমি যত ভয় পাই, মেষ কর্তৃক পরিচালিত একশত সিংহকে তত ভয় পাই না।” মহাকবি ইকবাল কর্তৃক রচিত নিচে ছন্দগুলো সময়োজিত সতর্কতার সংকেত দিয়েছেন এভাবে-”হে! বোকা মানুষ! নিজের দেশকে নিয়ে ভাব, বিপদ সময় দিক চক্রবাল সংকেত স্পষ্ট, মনোযোগ দিয়ে না শুনলে ধ্বংস অনিবার্য।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



এটা সত্য দেশে এখন একটা গনতন্ত্রের নামে একটা অগনতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে। কিন্তু একটা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা খুব প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক অবস্থা তাতে দেশের প্রয়োজনে একটা গণতান্ত্রিক সরকার আনার জন্য জনগনের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। কেননা কাকে আমরা ক্ষমতায় বসাবো সেটা একটা প্রশ্ন। যেসব রাজনৈতিক দল এখন বাংলাদেশে আছে যারা ক্ষমতা আসতে পারে তারা কেউ কি বর্তমান সরকার থেকে সাধারন নাগরিকদের জন্য বেশী বা ভালো কিছু করবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারে? আমার মনে হয় পারে না বলেই হয়ত জনগণ সব জেনে আর বুঝেও নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে আছে।

আপনার বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মন্দের ভাল বলে একটা কথা আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.