নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
দ্য ইলুমিনাতি একটি গুপ্ত সংগঠন
দ্য ইলুমিনাতি একটি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের ১ মে ব্যাভারিয়া তে অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট এই সংগঠন টি প্রতিষ্ঠা করেন। ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ "যারা কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবী করে" অথবা "ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কোনো দল"।
অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট একজন জেসুইট ছিলেন । পরে ব্যাভারিয়ার ইংগোল্স্তাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তার হাতেই গড়ে উঠে এই ইলুমিনাতি। অনেকেই ধারণা করে থাকে যে ইলুমিনাতি এর সৃষ্টির পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে ফ্রিম্যাসন্স রা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টান দের চোখে ইলুমিনাতিরা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিগণিত হয়। অনেকের মতে এরা নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা গড়ে তোলার নীল নকশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ড্যান ব্রাউন রচিত এঞ্জেল্স অ্যান্ড ডিমন্স উপন্যাস প্রকাশের ফলে এই সংগঠনটি আধুনিক কালে আবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।
উদ্ভব :
ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠিত হয় ১ মে,১৭৭৬ সালে ,ইঙ্গলস্তাদত(উচ্চ বাভারিয়া) এ।এটি প্রতিষ্ঠা করেন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত অ্যাডাম ওয়েইশাপুত,যিনি ছিলেন ইঙ্গলস্তাদত বিশ্ববিদ্যালয় এর "ক্যাথলিক গির্জা আইন" বিভাগের প্রথম লে(কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন) অধ্যাপক , সংগঠনটি সাজানোর মাধ্যমে।এর সর্বপ্রথম সদস্য ছিলেন ৫ জন।
ইলুমিনাতি বিশ্বময় One World Order প্রতিষ্ঠা করতে চায় । এই উদ্দেশ্যে তারা ধর্মসমূহের বিনাশ চায়, সরকারগুলির উৎখাত চায়। ইলুমিনাতির শক্তির মূলে রয়েছে অকাল্ট (গূহ্য জ্ঞান) এবং ইকোনমি (অর্থনীতি)। এই গুপ্ত গোষ্ঠটি দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক ব্যাঙ্ক, তেলব্যবসা, শিল্পকারখানা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাবানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর্ন্তজাতিক রাজনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার কে প্রভাবিত করে আসছে।
এই ইলুমিনাতি সম্পর্কে জানতে গেলে অবশ্যই জানতে হবে 'ফ্রি ম্যাসন', 'নাইট টেম্পলার' , ও 'শয়তান' সম্পর্কে।
ম্যাসন কাকে বলে?
ম্যাসন মানে রাজমিস্ত্রী, ফ্রিম্যাসন বলে এদের প্রাচীন ইউরোপে ডাকা হত কারন এদের এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে কোন পাসপোর্ট লাগত না। যাহোক, আমাদের এখন অনেক অতীতে তাকাতে হবে......... রাজা সলোমনের আমলে!
রাজা সলোমন (খ্রিস্টপূর্ব দশম শতক) যাদুবিদ্যা ও আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞার জন্য প্রখ্যাত ছিলেন। যে কারণে তাঁর পক্ষে টেম্পল অভ সলোমন-এর স্থাপত্য নকশাটি স্বয়ং ইয়াওয়ের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। যে কারণেই ওই স্বর্গীয় নকশাটি হয়ে উঠেছিল এক অতীন্দ্রিয় জ্ঞানের উৎস। সে নকশা সম্বন্ধে জানতেন হাইরাম আবিফ নামে এক মেধাবী কারিগর। ইনি ছিলেন টেম্পল অভ সলোমন- এর প্রধান স্থপতি। হিব্রু বাইবেলে টায়ার নগরের রাজা হাইরাম এর নাম থাকলেও হাইরাম আবিফ -এর নাম নেই। অবশ্য বাইবেলে হাইরাম আবিফ কে নাপ্তালি গোত্রের ‘বিধবার সন্তান’ বলা হয়েছে । হিব্রু বাইবেলের সেকেন্ড বুক অভ ক্রনিকলস-এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে সে বর্ণনা রয়েছে। রাজা সলোমন টায়ারের রাজা হিরামের কাছে দূত পাঠিয়ে জানালেন যে তিনি একটি উপাশনারয় নির্মাণের উদ্যেগ নিয়েছেন এ জন্য বিভিন্ন মালমশলা এবং কারিগর প্রয়োজন। রাজা সলোমন - এর প্রথম দাবি ছিল ...
a specially gifted craftsman. রাজা সলোমন বললেন: "Send me now a man cunning to work in gold, and in silver, and in brass, and in iron, and in purple, and crimson, and blue, and that can skill to grave with the cunning men that are with me in Judah, and in Jerusalem:" উত্তরে টায়ারের রাজা হিরাম বললেন:: "I have sent a cunning man,endued with understanding. The son of a woman of the daughters of Dan, and his father was a man of Tyre."
হাইরাম আবিফ জেরুজালেম এলেন। রাজা সলোমন তাঁর কাছে টেম্পল অভ সলোমন - এর ঐশী নকশাটি হস্তান্তর করলেন। হাইরাম আবিফ কাজ শুরু করলেন। নির্মীয়মান টেম্পল অভ সলোমন ঘিরে পাথর-কাটার মিস্ত্রিদের সংঘ বা( Masonic Guild )গড়ে উঠেছিল। প্রতিভাবান এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানসম্পন্ন হাইরাম আবিফ অনিবার্যভাবেই হয়ে উঠলেন তাদের গুরু বা (Master Mason) । তিনি প্রতিদিন তাঁর শিষ্যদের মূল দৈব নকশা (যেটি কিং সলোমন ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন) থেকে অল্প অল্প করে নির্দেশ দিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলছিলেন উপাসনালয়টি। কথা ছিল- নির্মাণকাজ শেষ হলে হাইরাম আবিফ স্থাপত্যের নিগূঢ় জ্ঞান তাঁর শিষ্যদের জানিয়ে দেবেন-যে গূহ্যজ্ঞানের অধিকারী হলে অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী হওয়া সম্ভব (... এ প্রসঙ্গে বর্তমান কালের architect দের কথা ভাবা যেতে পারে, যেন তারা অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী; বিশেষ করে তাদের বিস্ময়কর স্থাপত্যকর্ম, আর্থিক প্রতিপত্তি এবং সামাজিক মর্যাদা স্থপতিদের এক অতিপ্রাকৃত স্তরেই নিয়ে গিয়েছে) । সে যাই হোক। সংঘের কয়েকজনসংঘের কয়েকজন শিষ্য ধৈর্য হারায়। তারা স্বর্গীয় পরিকল্পনা জানার জন্য হাইরাম আবিফ কে হত্যা করতে উদ্যত হয়। এবং তাকে হত্যাও করা হয়।
চলবে .....................
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৫৯
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: উকিপিডিয়াতে কাহিনী লেখা হয় তা জানাছিল না।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তথ্যগুলো কোথা থেকে নিয়েছেন তা অনুগ্রহ করে উল্লেখ্য করে দিলে ভালো হতো।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২১
ডট কম ০০৯ বলেছেন: চলুক।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
নতুন বলেছেন: এই ঘটনায় সত্যির চেয়ে কাহিনি বেশি...