নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে জাসদ এখন ছাগলের বাছুর তিন নম্বরটার ভূমিকায় অবতীর্ণ। এক সময় আওয়ামীলীগের প্রচন্ড প্রতিদ্বন্ধী হলেও এখন ক্ষমতা ভোগী আর লুটপাটের অংশীদারিত্ব নিয়ে বাঘ-সিংহ যেন এখন এক ঘাটে পানি খায়। যদিও এতে বামদের অপরাংশ বেজায় এতে নারাজ। অপরদিকে মহাজোট সরকারের বাম নির্ভরতার খবর প্রায় অনেকদিন থেকে আলোচিত হয়ে আসছে এবং এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের অনেকেই আকারে ইঙ্গিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ইনু সাহেবের উদ্ভট মন্তব্যের দায় আওয়ামীলীগকেই নিতে হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। সম্প্রতি ১৪দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাসদ কার্যকর সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল ২০ দলের অরোধ কর্মসূচী সম্পর্কে বলেন ”আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে তাদের লাঠি দিয়ে মোকাবেলা করবে পরে পায়ে গুলি করবে, পায়ে গুলিতে কাজ না হলে পরিস্থিতি বুঝে বুকে গুলি করবে” ( ১৪/০১/২০১৫ সুত্র:মানব জমিন) বাদল সাহেবেরে এই বক্তব্য কতটুকু গনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক তা তিনিই ভালো জানেন। একজন সাংসদ এক বক্তব্য দিতে পারেন কি? আজ ২০ দলের এ আন্দোলন বাদল সাহেবদের কাছে অগণতান্ত্রিক হলে তাহলে আসলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন কোনটি? বাদল সাহেবেরা এখন ক্ষমতা, আর হালুয়া-রুটির ভাগ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলবেন? তাহলে এক সময় ইনু-বাদল-মেনন সাহেবদের সশস্ত্র বিপ্লব, লাল বাহিনীর বিপ্লব কতটুকু গনতান্ত্রিক ছিল? ইনু-মেনন আর বাদল সাহেবরা ৩০ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তের সাথে বেঈমানী করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টাভূগী হয়ে যেন সব ভুলে গেলেন? কারণ গলাবাজি, দম্ভক্তি করে আওয়ামীলীগের দালালী করলে ভোট ছাড়াই এমপি, মন্ত্রী হওয়া যায়। ইনু-মেনন আর বাদল সাহেবরা জানেন জনগনের ভোটে তারা জীবনেও এমপি, মন্ত্রী হতে পারবেনা। তাই কি এমন দালালী আর দম্ভোক্তি? রাজনৈতিক এতিমদের জন্য ক্ষমতায় থাকার এটাই সহজ পদ্ধতি?
শেখ মুজিবুর রহমানকে এই শ্রেণীর বামরাই প্রলুদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করিয়ে ছিলেন যদিও আজ ইতিহাসের বিচারে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ পল্টন ময়দানে আওয়ামীলীগ লগি-বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্য মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নাচানাচি করে উল্লাস প্রকাশ করেছে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকেই মনে করছে ১/১১-এর আগে ও পরে নেপথ্যে বাংলাদেশের বামবুদ্বিজীবী ও রাজনীতিবিদদের ভূমিকা আওয়ামীলীগকে সবচেয়ে বেশি বিপথগামী করেছে। একথা সবারই জানা, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির জন্য বামরাই দায়ী, এখন আবার বামপন্থীরা কু-বুদ্ধি আর উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
আবু-এস বলেছেন: বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে জাসদ এখন ছাগলের
বাছুর তিন নম্বরটার ভূমিকায় অবতীর্ণ।
একমত
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৯
আমার পথ চলা ১ বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে বাম রাজনীতি খুবই খারাপ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: এইসব বামধারার রাজনৈতিকদের জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই বদলে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
আবু-এস বলেছেন: বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে জাসদ এখন ছাগলের
বাছুর তিন নম্বরটার ভূমিকায় অবতীর্ণ।
একমত