নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো কার্যত হয়ে উঠেছিলো ব্রাত্য। এমনকি সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমেও সেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের দূরত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিলো। বলা বাহুল্য, মুসলিম জাহান সেটা ভালোভাবে নেয়নি। প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশেই বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিঘ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ দেখা গেলেও দেশগুলো এতে কঠিন সব শর্তও চাপিয়ে দিয়েছে।
এরই মধ্যে, গতকাল সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। সমস্ত সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও শোক জানাতে রিয়াদে রওয়ানা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এখানে কিছুটা বৈশাদৃশ্য দেখতে পাওয়ার অবকাশ আছে। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষ শাসনে শাসিত বাংলাদেশের কাছে তাত্বিকভাবে সৌদি আরবের ভিন্ন কোন আবেদন নেই। পঞ্চদশ সংশোধনীর দ্বারা শাসনতন্ত্র থেকে মুসলিম দেশগুলোর সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন শীর্ষক ধারাটি উচ্ছেদ করে সেই ধারণাকে একটি শক্ত ভিত্তিও দেয়া হয়েছিলো। ফলে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আজিজের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের এহেন শোকতপ্ত প্রতিক্রিয়ার পেছনে দুটি কারণের একটি ক্রিয়াশীল থাকতে পারে।
প্রথমত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হিসেবে সৌদি আরবকে তৈল মারা। যাতে বাংলাদেশের প্রতি ক্ষিপ্ত হবার নতুন কোন অনুষঙ্গ ইবনে সউদ বংশ না খুঁজে পায়, এবং ফের যেন গৃহ প্রত্যাবর্তনকারী শ্রমিকের স্রোত না বাড়তে পারে।
দ্বিতীয়ত, আদর্শিক কারণে 'পবিত্রতম মসজিদদ্বয়ের খাদেম' উপাধীর অধিকারী সৌদি সিংহাসনের প্রতি ভ্রাতৃত্বের বার্তা পৌঁছাতেও বাংলাদেশ এই উদ্যোগ নিতে পারে। বস্তুত, ভৌগলিকভাবে মুসলিম বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিটমহল বাংলাদেশের জন্য যে আগ্রাসী শত্রুর কবল থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে নিজের ইসলামী পরিচিতিকে পালন করা জরুরী; সেটা হয়তো আজকাল গুরুত্বের সাথে ভাবা হচ্ছে, অথবা তেমনটা ভাবার ভান করে মধ্যপ্রাচ্যকে কোন বার্তা দেয়া হচ্ছে!
তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাদশাহ সালমান ২০১১ সালে যুবরাজ নিযুক্ত হবার পর সর্বপ্রথম যে বিদেশী ভিআইপির সাথে বৈঠক করেন, তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া! তখন নাকি সালমান প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতিচারণ করে (সম্ভবত তখনো সালমানের আলঝেইমার রোগটি হয়নি ) তাঁকে নিজের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৮১ সালে জিয়া হত্যার পর তৎকালীন বাদশাহ খালেদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ফোন করে প্রস্তাব রেখেছিলেন, যেন বেগম জিয়াকে রিয়াদ পাঠিয়ে দেয়া হয়। রিয়াদের গভর্নর সালমান সেখানে জিয়া পরিবারের বসবাসের জন্য সব এন্তেজাম করে রেখেছেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যতোবার খালেদা জিয়া সৌদি রাজধানীতে গেছেন, ততোবার রিয়াদের বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন রিয়াদের তৎকালীন গভর্নর সালমান, বর্তমান সৌদি বাদশাহ।
বাংলাদেশ প্রশ্নে সৌদি নীতি পরিবর্তনের কোন আশা দেখিনা। সৌদি পররাষ্ট্রনীতি বড়ই একরোখা, সহজে যার পরিবর্তন হয়না। তারা আজো 'বানগালা' রাষ্ট্রে জিয়াউর রহমান ছাড়া আর তেমন কাউকে চেনেনা...!
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
এম এস এস মামুন বলেছেন: বৈদেশিক রেমিটেন্সের গুরুত্ব বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো সে রকমভাবে বুঝেনা। তাই আওয়ামী সরকার মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারের এই ব্যার্থতাকে সহজেই ঢেকে দিতে পারছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ ব্যর্থতম একটি দেশ।। যেখানে দীর্ঘ ৯ বছর মোদীকে অবাঞ্চিত করে রাখার পর,আজ তার বাড়ানো গ্রহনের জন্য পৃথিবীর শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট তার বাড়ানো হাতকে অগ্রাহ্য করতে পারছে না,সেটা কিন্তু আমরা অবহেলায় করে যাচ্ছি।।
শুধু সৌদী নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই এই অবস্থা।।