নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চলমান দিল্লী সফরকে বিশ্লেষণ করতে হলে সাম্প্রতিকতম প্রেক্ষাপট ধরে বিশ্লেষণ করতে হবে। কারণ গত বছরের ঠিক এই সময়টায় আমেরিকায় কর্মরত দেবযানী খোবড়াগারে নামের এক নারী কূটনীতিককে হেনস্থা করার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লী ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে বেশ শীতলতা এসেছিলো। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লীস্থ মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলো ভারত। এই ডামাডোলের মধ্যে ভারতীয় প্রচারমাধ্যম দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বললো, এই টানাপোড়েনের পেছনে অন্যতম কারণ বাংলাদেশের সরকার প্রশ্নে দুই দেশের মধ্যকার সিরিয়াস মতপার্থক্য।
বারাক ওবামার চলতি ভারত সফরকে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের এই প্রেক্ষাপটের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে হবে। শরীরীভাষা অবশ্যই ভাব বিচ্ছূরণের একটি প্রভাবশালী মাধ্যম। গতকাল থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি ভারতের দক্ষিণপন্থী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আচরণে যে আন্তরিক উষ্ণতা দেখা গেছে, তাতে রাষ্ট্রাচার বা আইনানুগ প্রটোকলের কোন বালাই ছিলোনা। মোদী ও ওবামা স্পষ্টতই রাষ্ট্রাচারের গাম্ভীর্য সচেতন বা অসচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন। মনে হয়, আমেরিকা ও ভারত নিজেদের মধ্যকার তাবৎ মতপার্থক্যের ফারাক কমিয়ে আনছে।
তবে উপমহাদেশে অবশ্যই দিল্লী ও ওয়াশিংটনের কিছু পরস্পরবিরোধী স্বার্থ আছে। দুই পক্ষ সক্রিয় থাকলে একদিন না একদিন এখানে স্বার্থের সংঘাত বাঁধবেই। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে বঙ্গোপসাগর, আর আরেকটি হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মঙ্গলয়েড জাতিগোষ্ঠী অধ্যূষিত মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম।
যাহোক, এসব হিসাবনিকাশ আরো পরের ব্যাপার, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপমহাদেশে পদার্পণ তাৎক্ষণিকভাবে কি ফল বয়ে আনে, সেদিকেই আমাদের দৃষ্টিপাত করতে হবে।
ভারতের ব্যাপারে তার কোন পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন প্রতিবেশী রাষ্ট্রই আস্থাশীল নয়। তবে যখন ভারতে কোন অকংগ্রেসি হুকুমত থাকে তখন প্রতিবেশীরা কিছুটা হলেও কম ভ্রুকুঞ্চনে থাকে। আর এই সিলসিলা মোরারজি দেশাই, চরণ সিং, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, এইচ ডি দেবগৌড়, ইন্দর কুমার গুজরাল, এমনকি অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে দেখা গেছে; যদিও শেষোক্ত জনের আমলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে ভারতের পৃথক পৃথক রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘাতে জড়াতে হয়েছিলো।
যা ঘটে তার সবটাই সময়ের প্রয়োজনে ঘটে। সেজন্যই আমাদের যাবতীয় ঘটনাবলীর প্রতি টিনের চশমা খুলে নজর রাখতে হবে...!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: আরও অধিক অর্থাৎ বিস্তারিতভাবে জানতে চাই, আপনার বিশ্লেষনগুলি ভালো লাগে।
আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে মার্কিনিদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাই এমনকি ভারতেরও। উভয়ের উদ্দেশ্য যদি এক হয়?