নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রুণবিদ্যার একজন গবেষক এবং বিখ্যাত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর "ডা. কিথ্ এল মূর" এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৬

কয়েক বছর পূর্বে সৌদি আরবের রিয়াদে কিছু লোক পবিত্র কুর'আনে ভ্রুণতত্ত্বের তথা মাতৃগর্ভে মানব জন্মের ক্রমবিকাশ সর্ম্পকে যে সব কথা আছে তা একত্রিত করেন। অতঃপর তারা প্রশ্ন রাখেন কুর'আনের এই তথ্যের সত্যতা কিভাবে যাচাই করা যায়?

ঘটনাক্রমে যাচাই এর জন্যে তারা টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রুণতত্ত্বের অমুসলিম প্রফেসার ডঃ কিথ মুরকে বেছে নেন। ডঃ মুর ভ্রণতত্ত্বের একাধিক বইয়ের লেখক এবং এ বিষয়ে তিনি একজন বিশ্ব বিশ্লেষক। তাকে রিয়াদে আমন্ত্রণ করে বলা হল কুর'আন ভ্রুণতত্ত্ব বিষয় সর্ম্পকে যা বলে তা সত্য ও সঠিক কিনা!

ডঃ মুর রিয়াদে থাকাকালীন তাঁকে কুরআনের অনুবাদসহ সবধরনের সাহায্য সহযোগিতা দেয়া হয়। ডঃ মুর যা খুঁজে পান তাতে এতটাই বিস্মিত হন যে, তিনি এম্ভ্রীয়লজি তথা ভ্রূনতত্ত্বের উপর তার লেখা পাঠ্যবইগুলি পরিবর্তন করেন।

তাঁর বইগুলির একটি হল “Before we are born” (আমাদের জন্মের আগে) এর দ্বিতীয় সংষ্করণে ভ্রুনতত্ত্বের ইতিহাস সংক্রান্ত অধ্যায়ে তিনি কিছু বিষয়ের সংযোজন করেন যা তিনি কুর'আন পড়ে খুঁজে পান এবং তা প্রথম সংষ্করণে ছিলনা। বস্তুতঃ এ ঘটনা স্পষ্টভাবে এ কথাই প্রমাণ করে যে আল কুর'আন তার সময়ের চেয়ে অগ্রগামী।

ডঃ কিথ মুর তাঁর এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ ব্যপারে সবিস্তারে স্লাইড ইত্যাদির প্রদর্শন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, মানুষের জন্ম বৃদ্ধি (মাতৃগর্ভে) ও কিছু কিছু ব্যপারে কোরআন যেভাবে তথ্য দিয়েছে যা মাত্র ত্রিশ বছর পূর্বেও জানা ছিলনা। তিনি বলেন বিশেষ করে এ ব্যাপারে কুর'আন একটি স্তরে মানুষের ভ্রুণের প্রাথমিক অবস্থা বর্ণনা করেছে “জোঁক সদৃশ জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড” (আরবী শব্দ আলাক্) হিসাবে। (সুরা আল হাজ্ব আয়াত:২২)। একই বক্তব্য আছে সূরা কুর'আন ২৩:১৪ তে।

কুর'আনে আরও আছে,

"আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি মাতৃগর্ভে তিনটি পর্দার আড়ালে।"(৩৯:৬)

আধুনিক বিজ্ঞান এই তিনটি পর্দা আবিষ্কার করেছে সম্প্রতি। এগুলো হল, ১) তলপেটের সম্মুখ প্রাচীর ২) জরায়ুর প্রাচীর ৩) ভ্রুণের পর্দা।

"মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে মিশ্রিত বিন্দু থেকে।"(৭৬:২)

এখানে মিশ্রিত দ্বারা নারী ও পুরুষের জনকোষের(শুক্রানু ও ডিম্বানু) মিশ্রনে জাইগোটের ইঙ্গিত করা হচ্ছে। অথচ সেই যুগে মানুষ ভাবত এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও ভাবত সন্তানের জন্ম হয় কেবল পুরুষের বীর্যে।

"অতঃপর জোঁকের ন্যায় মাংসপিণ্ডকে পরিণত করি চর্বিত গোশতের(মুদগাহ) আকৃতির।"(২৩:১৪)

ডা. মুর অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা ভ্রুণের এ পর্যায়ের ছবি নিয়ে প্রমাণ করেন যে এটি চর্বিত মাংসপিণ্ডের অনুরূপ। এমনকি দাঁতের কামড়ের দাগের ন্যায় চিহ্নও পরিলক্ষিত হয় ভ্রুণের এই পর্যায়ে। গুগলে এ বিষয়ে তাঁর উপস্থাপিত স্লাইডগুলো পাবেন।

এটা তার কাছে ছিল অভিনব, কিন্তু যখন তিনি তা ক্লিনিক্যালি পরখ করে দেখলেন যে তথ্য সঠিক অতঃপর তিঁনি এ তথ্য (leach like substance) তার বইয়ে সংযোজন করে নিলেন। তিঁনি বলেন “আমি এ ব্যাপারে কখনই চিন্তা করিনি”।

তিঁনি প্রানীবিদ্যা বিভাগে চলে যান এবং একটি জোঁকের ছবি চান। যখন তিঁনি দেখলেন এটা দেখতে আসলেই মানব ভ্রুণের প্রাথমিক স্তরের মতই, তখন উভয় ছবিই তার লিখিত একটি পাঠ্য বইয়ে সংযোজন করেন।

ডঃ মুর যখন টরেন্টোতে এই বই প্রকাশ করলেন তখন এ বিষয়টা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং Canada'র বিভিন্ন পত্রিকায় এ খবর ছাপা হয়। কোন কোন পত্রিকায় হেডিং বা শিরোনাম ছিল এ রকম “প্রাচীন বইয়ে বিস্ময়কর বস্তুর সন্ধান”।

এক সাংবাদিক প্রফেসার মুরকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি এটা মনে করেন না যে আরবরা আগে থেকেই এসব ব্যপারে অবশ্যই অবগত ছিল, ভ্রুণের বর্ণনা, এর আকৃতি এবং কিভাবে এটা পরিবর্তিত হয় ও বৃদ্ধি লাভ করে। তারা বৈজ্ঞানিক না হতে পারে কিন্তু হতে পারে তারা কোন অমার্জিত স্থুল পন্থায় কাটা-ছেঁড়া (crude dissections) করে (অর্থাৎ কোন মহিলার পেট কেটে কুটে) এ সব জিনিস জানতে পেরেছে!”

প্রফেসার মুর তখনই তাকে বুঝিয়ে দেন যে একটি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারা ভুলে গেছে , ভ্রুণের সকল স্লাইড যা দেখানো হয়েছিল তার সবই "অনুবীক্ষণ যন্ত্র"র সাহায্যে দেখা। নিশ্চয় দেড় হাজার বছর পূর্বে কোন মরুচারীর "অনুবীক্ষণ যন্ত্র" দিয়ে কারো নাড়ি-ভূড়ি কেটে ভ্রুণতত্ত্ব নিয়ে লেখা অসম্ভব ছিল কেননা "অনুবীক্ষণ যন্ত্র" সাম্প্রতিকতম আবিস্কার।

যাহোক, এই ছিল ডা. কিথ মুরের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা।

এ পড়ে বাঙালীর কি কাজ! বাঙালি বিজি থাকুক বেজ্ঞানী জাফর ইকবাল কিংবা বুদ্ধিজীবী হুমায়ুন আজাদের ধর্মতত্ত্বে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬

রেজওয়ান26 বলেছেন: সুন্দর তথ্য দিয়েছেন ভাই। আসলে আমরা বেশির ভাগ বাঙ্গালীই অচেতন তাই সচেতন হওয়া দরকার।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আসলে কিছু কিছু ঘটনা আমাদের অজানাই থেকে যায়।
আমাদেরই বা কি দোষ ধর্মতত্ত্বের কিছু ভুত যে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.