নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
মেয়েটি হঠাৎ অনুভব করল হিন্দুরা কি সুন্দর মূর্তিপুজো করে, এটা তার অনেক ভাল লাগল। ইসলামে সৃষ্টিকর্তাকে দেখা যায় না। তাই সে অনুধাবন করল যে একমাত্র সত্য ধর্ম সনাতন ধর্ম।
কি মজা না গল্পগুলো?
অফটাইমে পড়ি আর হাঁসি। মন খারাপ থাকলে বুকমার্ক দিয়ে রেখে পড়ি।
বিশ বছর পূর্বের "The Plain Truth" ম্যাগাজিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ীই ইসলাম ধর্মের বৃদ্ধিটা যেখানে ২৩৪% ছিল হিন্দুধর্ম ছিল ৮%। খ্রিষ্ট ধর্ম সেখানে ছিল ৪৭% আর বৌদ্ধ ধর্ম ২৩%। জরিপগুলো প্রতি পঞ্চাশ বছর পর পর করা হয়। এটা প্রায় বিশ বছর আগের, বর্তমানে ইসলাম আর সনাতন ধর্মের এই ফারাকটা আরও বেড়েছে।
তাই মুসলিমরা যদি সকল সাধারণ মানুষের ইসলাম গ্রহণের কেচ্ছা প্রকাশ করি তা পুরো বিশ্বকোষ হয়ে যাবে। ইতোপূর্বে মরিস বুকাইলি এবং কিথ মুরের ঘটনা বলা হয়েছে। আজ ব্যাক্ত করি বিশিষ্ট ধর্ম গবেষক ও খ্রিষ্টান জাজক গ্যারি মিলারের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা।
কানাডিয়ান নও-মুসলিম ডক্টর “ডা. গ্যারি মিলার” ছিলেন দেশটির সবচেয়ে খ্যাতনামা খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক। তিনি পবিত্র কুরআনের ভুল খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ইসলাম ও কুরআনের বিরোধী প্রচারণা চালানো সহজ হয়। কিন্তু তিনি কুর'আনের ভুল ধরতে গিয়ে কুর'আন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
প্রথমত স্বচরাচর অনুবাদ দেখে অসংখ্য ভুল পয়েন্ট আবিস্কার করেছিলেন। অতঃপর কুর'আনের আরবি ভাষা নিয়ে গবেষণা করলেন। এতে তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন ডা. মরিস বুকাইলির লেখাগুলোর যিনি দু'বছর আরবি ভাষা চর্চা করে কুর'আন পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
ডক্টর মিলার বলেন,
”কোনো একদিন কুরআন সংগ্রহ করে তা পড়া শুরু করলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম কুরআন নাজিল হয়েছিল আরবের মরুচারীদের মধ্যে, তাই এতে নিশ্চয়ই মরুভূমি সম্পর্কে কথা থাকবে। কুরআন নাজিল হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে। তাই খুব সহজেই এতে অনেক ভুল খুঁজে পাব ও এইসব ভুল মুসলমানদের সামনে তুলে ধরব বলে সংকল্প করেছিলাম। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা ধরে কুরআন পড়ার পরে বুঝলাম আমার এসব ধারণা ঠিক নয়, বরং এ মহাগ্রন্থে অনেক আকর্ষণীয় তথ্য পেলাম। বিশেষ করে সুরা নিসার ৮২ নম্বর আয়াতটি আমাকে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত করে,
"এরা কি লক্ষ্য করে না কুরআনের প্রতি? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ থেকে নাজিল হত, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরীত্য দেখতে পেতে।"
খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক গ্যারি মিলার এভাবে ইসলামের দোষ খুঁজতে গিয়ে মুসলমান হয়ে যান। তিনি বলেন,
“আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে, কুরআনে হযরত মরিয়ম(আঃ)’র নামে একটি বড় পরিপূর্ণ সূরা রয়েছে। আর এ সুরায় তাঁর এত ব্যাপক প্রশংসা ও সম্মান করা হয়েছে যে, এত প্রশংসা বাইবেলেও দেখা যায় না। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)’র নাম মাত্র ৫ বার এসেছে, কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ)’র নাম এসেছে ২৫ বার। যদি কুর'আন মুহাম্মদ(সঃ) রচিত কেতাবই হত তবে তৎকালীন আরবের প্রচলিত বৈজ্ঞানিক ভুল তো পাওয়া যেতই সেই সাথে পাওয়া যেত মুহম্মদের(সঃ) স্বীয় প্রশংসা। আর এ বিষয়টি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে আমার ওপর ব্যাপক প্রভাবে রেখেছে।”
যাকগে আবার কান্টিনিউ করি "কেন মুসলিম মেয়েটি হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছিল!"; এখন ঠাকুরমার ঝুলির দিন শেষ!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ধন্যবাদ!
লিখে যান।