নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
প্রথমজনঃ “তুমি কি ডেলিভারির পরের জীবন বিশ্বাস করো ?”
দ্বিতীয়জনঃ “কেন নয় ? অবশ্যই করি। ডেলিভারির পর কিছু একটা অবশ্যই হবে। হয়তোবা আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য এখানেই প্রস্তুত হচ্ছি।”
প্রথমজনঃ “বাজে কথা। শোন, ডেলিভারির পর কোন জীবনই নেই। সেই জীবন আবার কি হতে পারে ?”
দ্বিতীয়জনঃ “আমি তা জানি না, তবে সেখানে নিশ্চয়ই এখান (গর্ভ) থেকে বেশী আলো থাকবে। হয়তো আমরা আমাদের পা দিয়ে হাঁটবো আর মুখ দিয়ে খাবো।”
প্রথমজনঃ “কি সব অযৌক্তিক কথাবার্তা বলছো তুমি ? হাটা তো পুরোই অসম্ভব। আর আমরা আমাদের এই মুখ দিয়ে খাবো ? হাস্যকর ব্যাপার। আমাদের Umbilical cord খাবার সরবরাহ করে। ডেলিভারির পড়ে তো তা কেটে ফেলা হবে।”
দ্বিতীয়জনঃ “আমার মনে হয় যে এটা থেকে ভিন্ন কিছু একটা থাকবে।”
প্রথমজনঃ “ডেলিভারির পর কেউই এখানে (গর্ভে) ফিরে আসেনি। ডেলিভারি হওয়ার মাধ্যমেই আমাদের এই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।”
দ্বিতীয়জনঃ “আমি সেটা জানি না, তবে নিশ্চয়ই আমরা আমাদের মা কে দেখতে পাবো আর তিনি আমাদের দেখাশোনা করবেন।”
প্রথমজনঃ “কি বললে ??? মা !!!! আরে তুমি মাকে বিশ্বাস করো ??? তাহলে বল যে সে এখন কোথায় ?”
দ্বিতীয়জনঃ “তিনি তো আমাদের সবদিকেই আছেন। আমরা তো তার ভিতরেই বাস করছি। তিনি না থাকলে তো আমরা আমাদের এই জগতে অস্তিত্ব লাভ করতে পারতাম না।”
প্রথমজনঃ “কই, আমি তো তাকে দেখছি না। তাই এটা যৌক্তিক যে তার কোন অস্তিত্বই নেই।”
দ্বিতীয়জনঃ “তুমি যখন নীরব থাকো, তখন তাকে শুনতে পাবে, উপলব্ধি করতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি যে, ডেলিভারি হওয়ার পর অবশ্যই একটা বাস্তবতা আছে এবং আমরা এই বাস্তবতার জন্যই এখানে প্রস্তুত হচ্ছি।”
“তিনি মানুষকে নুৎফা থেকে সৃষ্টি করেছেন, এরপর দেখ, সে হল প্রকাশ্যে বিতন্ডকারী।” {সূরাহ আন-নাহল, ১৬ : ৪}
“আর মানুষ বলে, ‘আমার মৃত্যুর পর কি আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো ?’ মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না ?” {সূরাহ মারইয়াম, ১৯ : ৬৬-৬৭}
“হে মানবজাতি, যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহে থাকো, তবে (চিন্তা করে দেখো যে) নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, এরপর নুৎফাহ থেকে, এরপর ‘আলাকা থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মুদ্গাহ থেকে, যেন তোমাদের কাছে (আল্লাহ’র শক্তি) পরিস্কার করতে পারি। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি, এরপর তোমরা শারীরিক পূর্ণতায় পৌঁছ। এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যাও আর কাওকে সবচেয়ে নীচ বয়স পর্যন্ত পৌঁছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও,অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি,তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।” {সূরাহ আল-হাজ্জ, ২২ : ৫}
এর পরও কেউ যদি অস্বীকার কর পরকালকে তবে বলতেই হয় চোখ থাকিতে অন্ধ তোমরা। না হয় বুজেও না বুজার ভান করছ।
মনে রেখো আল্লাহ ছিলেন আছেন থাকবেন।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
খুব সুন্দর একটা উদাহরন অনেছেন।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
ধন্যবাদ!
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
কাঠ পাতা বলেছেন: যুক্তিসংগত উদাহারন। ধন্যবাদ আপনাকে।