নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
যুদ্ধে জয়লাভও অনেক সময় ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটেন প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় মহাযুদ্ধেই বিজয়ী হয়েছিলো। কিন্তু জয়ী হলেও যুদ্ধের যে ধকল দেশটির উপর পতিত হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে ১৯৩৮ সালে জার্মানির মিউনিখে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানির এক শীর্ষ বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলিন ব্রিটেনের পক্ষে যোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি হলেও তার প্রভাবে অর্থনৈতিক দুর্দশায় পতিত হয়ে ব্রিটেন ছিল কাহিল। অনেক গবেষকের মতে হিটলারের প্রতি চেম্বারলিন অহেতুক নম্রতা দেখানোর জন্যই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ের ধকলেই ব্রিটেনকে নরম হতে বাধ্য করেছিলো। ব্রিটেন কোন না কোনভাবে আরেকটি যুদ্ধ এড়াতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলো। ফলে হিটলারকে তার দাবী অনুযায়ী জমি ছেড়ে দিতে তারা আপত্তি করেনি।
এরপর ১৯৫৬ সালের শেষের দিকে অ্যান্থনি ইডেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের আমলে সুয়েজ যুদ্ধে মিশরের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে ব্রিটেনের চিরসমাপ্তি ঘটে। ১৯৮২ সালে মার্গারেট থ্যাচারের প্রধানমন্ত্রীত্বের আমলে ফকল্যান্ডস যুদ্ধে জয়লাভ ও ২০০২ টনি ব্লেয়ারের প্রধানমন্ত্রীত্বের কালে ইরাক দখলে আমেরিকার মোসাহেবি করেও দেশটি আর হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে পারেনি।
আমার খুব জোর সন্দেহ হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান গৃহদাহের বিজয়ী পক্ষটির ভাগ্যেও এমনই হতে যাচ্ছে। পরস্পরকে কাটাকাটির এই বিনাশী গৃহদাহে উভয় পক্ষই সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও হবে। যখন এই গৃহবিবাদ শেষ হবে তখন বিজয়ী পক্ষ থাকবে চরমভাবে রণক্লান্ত। তখনই এদেশে গজিয়ে উঠতে পারে তৃতীয় কোন গোষ্ঠী। হয়তো এজন্যই এখনও চলমান সংকটের কোন হিল্লা হবার দৃশ্যমান লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা।
তবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়েই এখন অবক্ষয়ের কাল অতিক্রম করছে। তাই সময়ের প্রয়োজনেই এদেশে তৃতীয় একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী গড়ে উঠবে। হয়তো এখনও এমন কোন গোষ্ঠী গোচরীভূত হচ্ছে না, তবে আমার মনে হয় তেমনই কোন গোষ্ঠী ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছে, যেন দুই দল পরস্পর কামড়াকামড়ি করে শক্তিক্ষয় করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, যাতে তাদের ক্ষমতারোহণ নির্বিঘ্নেই সংঘটিত হতে পারে। কে জানে, তারা এই মুহূর্তে চলনান অন্তহীন সংঘাতে উস্কানিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে কী না...!
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: রানা@ অনেকটাই সঠিক। আসলে পশ্চিমা বিশ্ব গনতন্ত্রের নামে আমাদের মুলা দেখাচ্ছে।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২
ইমরান আশফাক বলেছেন: যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন।
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৭
তীর্থক বলেছেন: অসাধারণ! খুবই ভালো লেগেছে? তৃতীয় শক্তি না আসলে এই সমস্যার সমাধান হবেনা এব্যাপারে আমি অন্তত নিশ্চিত ।।।।।।।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
মাসুদুর রহমান রানা বলেছেন: উস্কানি হোক আর নাই হোক। অতীতের রেকর্ড কারো ই ভালো নয়। তাই তৃতীয় শক্তি ই এদেশে কাম্য। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আর যাই হোক সন্ত্রাস, দূর্নীতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দেশের মানুষ এর প্রানের নিরাপত্তা ছিল।