নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
‘রাষ্ট্রের ভিতর রাষ্ট্র’ কথাটি এদেশের প্রথম আলো পত্রিকার জন্য পুরোপুরিই প্রযোজ্য। তা না হলে কী তাদের পত্রিকাতে এটি বলা সম্ভব,
//সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষায় ‘উপজাতি’, ‘আমাদের’ ভাষায় আদিবাসী//
এখানে ‘আমাদের’ বলতে কি বোঝাচ্ছে প্রথম আলো? তারা কী রাষ্ট্রীয় নির্দেশেরও উর্ধে? আজকে প্রথম আলোতে মেসবাহ কামাল ও রোবায়েত ফেরদৌসদের মতো চিহ্নিত রাষ্ট্রদ্রোহী গোষ্ঠীর লেখা “বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমূলক নির্দেশনা’-তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে-
//বিজিবির একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ জানুয়ারি ২০১৫ পার্বত্য চুক্তি–পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ৫ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘কোন দেশি-বিদেশি ব্যক্তি/সংস্থা কর্তৃক পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয়দের সাথে সাক্ষাৎ কিংবা বৈঠক করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী/বিজিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে’...এটা তো অ্যাডলফ হিটলারের সিদ্ধান্তের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে কোনো ইহুদি কোনো জার্মানের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন না। কতটা সাম্প্রদায়িক হলে এ রকম নির্লজ্জ একটা নির্দেশনা আসতে পারে।//
কীসের মধ্যে কী, পান্তাভাতে ঘি! সরকার উক্ত নির্দেশ জারি করেছে, কারণ বিভিন্ন বিদেশী কুটনীতিক ও এনজিও অবাধে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে সেখানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উস্কানী দিয়ে আসছে বহুদিন যাবত। এর সাথে হিটলারের আমলে ইহুদিদের সাথে জার্মানদের মেলামেশায় নিষেধ করার কোন মিল নেই। কারণ জার্মানরা জার্মানিতে বিদেশী নয়, কিন্তু সিএইচটি কমিশন, ইউপিডিএফ সহ যেসব সংগঠন ও এনজিও পাহাড়ে উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, সেগুলোর সব কয়েকটিই বিদেশীদের অর্থে চালিত।
অযৌক্তিকভাবে ‘হিটলার’ বলার পরও সরকার এখনো এই রোবায়েত ফেরদৌস, মেসবাহ কামাল গংদের গ্রেফতার করছে না কেন? নাকি আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছে, “ভারতে তো চলে যাবোই, যাওয়ার আগে টাকাপয়সা কত কামানো যায় সেটা নিয়েই মাথা ঘামাই। দেশ গোল্লায় যাক, তা নিয়ে আমার চিন্তা করে লাভ নেই!”
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
সোহানী বলেছেন: অত গভীর জ্ঞান আমার নেই তবে এটুকু বুঝি যে উপজাতি ও আদিবাসী দু'টি সম্পূর্ন ভিন্ন শব্দ হলে ও একটি রাস্ট্রের জন্য অনেক গভিরতম অর্থবোধক শব্দ। কারন যে কেউ উপজাতি হতে পারে কিন্তু আদিবাসী সবাই হতে পারে না। শুধুমাত্র যারা এদেশে আদিকাল হতে বসবাস করে আসছে তারাই আদিবাসী। এখন প্রশ্ন, পাহাড়ী অঞ্চলের বাসিন্দারা কি আদতে এদেশের জন্মলগ্ন থেকে আছে নাকি সময়ের স্রোতে এসেছে? এ'টির উত্তর পেলেই নামকরনের বিতর্কের অবসান হতে পারে।