নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
আধুনিক বিজ্ঞান আল কুরআনের বিপক্ষে নয় বরং পক্ষে পেশ করেছে-করছে বহু প্রমাণ যা বিশ্বাসীদের দাঁড়াবার ভূমিকে করে দিচ্ছে আরো মজবুত-দৃঢ়। যারা আল-কোরআনকে অস্বীকার করো অথবা আল-কুরাআন নিয়ে যাদের সন্দেহ আছে, তারা কি কখনো কি আল-কুরআন খুলে দেখেছে ? আল-কুরআনের আয়াতগুলো কি কখনো অনুধাবন করার চেষ্টা করেছে ?
কুরআন বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নয়। কুরআন এবং বিজ্ঞানকে আলাদা করার কিছু নেই। আল-কুরআনে ছয় হাজারেরও বেশি নিদর্শনস্বরুপ আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যার মধ্যে এক হাজারেরও বেশি আয়াত বিজ্ঞানের বিষয়বস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করে নাযিল হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি যা জানতে পেরেছে সেসব কথা আরো ১৪০০ আগেই কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানের অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়। কুরআনের যেসব আয়াতের বৈজ্ঞানিক সত্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অবশ্যই একদিন তা সত্য বলে প্রমানিত হবে।
বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত আল কুরআনের কয়েকটি আয়াতসমূহের কিছু নিন্মে উল্লেখ করা হলো।
দিন ও রাত্রির বিবর্তন সম্পর্কে:
“তুমি কী দেখো না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন।” (লুকমান: ২৯)
পৃথীবির আকৃতি সম্পর্কে:
“এবং আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন” (আন-নাবিয়াত: ৩০)
বিশ্বের উত্পত্তি ও বিগ ব্যাঙ সম্পর্কে:
“কাফেররা কী দেখে না যে, আকালমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল (সৃষ্টির একটা অংশ হিসেবে) অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম।” (আম্বিয়া: ৩০)
“তারপর তিনি আকাশের দিকে মনযোগ দিলেন যা ছিল ধূমপুঞ্জ, তিনি তাকে এবং পৃথিবীকে বললেন, তোমরা আস ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় এলাম।” (হামীম মাজদাহ: ১১)
সূর্য ও চাঁদের আলোর পার্থক্য সম্পর্কে:
“কল্যানময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চঁন্দ্র।” (আল-ফুরকান: ৬১)
“তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চাঁদকে স্নিগ্ধ আলো বিতরনকারীরুপে। (ইউনুস-৫)
সূর্যের ও পৃথীবির আবর্তন সম্পর্কে:
“তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (আম্বিয়া-৩৩)
“সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি আগে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে প্রদক্ষিন করে।” (ইয়াসিন:৩৩)
“সূর্য আবর্তন করে তার নির্দিষ্ট অবস্থানে। এটা পরাক্রমশীশ সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রনে।”
মহাবিশ্বের সম্প্রসারন সম্পর্কে:
“আমি নিজ হাত দ্বারা আকাশ নির্মান করেছি এবং আমিই এর সম্প্রসারনকারী” (যারিয়াত: ৪৭)
এখানে উল্লেখ করা দরকার, খ্যাতনামা বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার ‘সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ (A Brief History Of Time) নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে”।
পানি বাষ্পে পরিনত হওয়া সম্পর্কে:
“আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি, অতঃপর আকাশ থেকে পানি বর্ষন করি, অতঃপর তোমাদেরকে তা পান করাই।” (হিজর: ২২)
পানি, বৃষ্টি ও বায়ু সম্পর্কে:
“তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে
স্তরে রাখেন; অতঃপর তুমি দেখ যে, তা হতে বৃষ্টিনারা নির্গত করেন।” (আন-নূর: ৪৩)
এজাড়াও সুরা ত্বারিক ১১, রাদ ১৭, ফুরকান ৪৮,৪৯, ফাতির ৯, আরাফ ৫৭, ইয়াসীন ৩৪, জামিয়া ৫, কাফ ৯,১০,১১, ওয়াক্বিয়া ১৯ উল্লেখযোগ্য।
পাহাড় পর্বতের পেরেক সাদৃশতা সম্পর্কে:
“আমি কি ভূমিকে বিছানা করিনি, এবং পর্বতমালাকে পেরেক তৈরি করিনি” (নাবা: ৬-৭)
“আমি পৃথিবীতে ভারি বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে।” (আম্বিয়া: ৩১)
সুমুদ্র, মিষ্টি ও লবনাক্ত পানি সম্পর্কে:
“তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন, উভয়ের মাঝখানে রয়েছে অন্তরাল, যা কখনো অতিক্রম করে না।” (আর রাহমান: ১৯-২০)
“তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র করেছেন, এটি মিষ্ট তৃষ্ঞা নিবারক ও এটি লোনা বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল।” (ফুরক্বান: ৫৩)
সব কিছুর জোড়ায় জোড়াস সৃষ্টি সম্পর্কে:
“আমি প্রত্যেক জিনিসকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহন কর।” (অয-যারিয়াত: ৪৯)
“আর আকাশ থেকে তিনি পানি বর্ষন করেন, তা দিয়ে বিভিন্ন লতা-যুগল উত্পন্ন করেন, যার একেকটি অন্যটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।” (ত্ব-হা: ৫৩ )
পানি দ্বারা প্রাণী সৃষ্টি সম্পর্কে:
“আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।” (আন-নূর: ৪৫)
মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে:
“পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।” ( আলক্ব: ১,২ )
আমি এখানে বৈজ্ঞানিক সত্য স্বল্প সংখ্যক আয়াত উল্লেখ করলাম। আপনার নিশ্চই স্বীকার করবেন, আরো ১৪০০ বছর আগে কোনো মানুষের পক্ষে এরকম বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষনমূলক সত্য জানা সম্ভব নয়। তার মানে, আল-কুরাআন যে আল্লাহর কালাম তাতে কোনো সন্দেহ নই।
যদি তারপরেও কেউ অবিশ্বাস করেন তাকে আমার কিছু বলার নেই। আল-কুরআনে আল্লাহ নিজেই উল্লেখ করেছেন,
“তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।” (বাকারাহ: ১৮)
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
রাঘব বোয়াল বলেছেন: পোস্টে +
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্কুল কলেজে অংক, বাইওলোজী, রসায়ন, পদার্থ বিদ্যার ক্লাশে কুরান পড়ানো শুরু হোক।