নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বহির্বিশ্বের নগ্ন হস্তক্ষেপ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২০

ক্রিকেট নিয়ে জাতি যখন বুঁদ, তখন গৃহদাহ আক্রান্ত রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিদেশী তৎপরতার বেশ কয়টি তাৎপর্যপূর্ণ নমুনা দেখা গেলো।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, আওয়ামী লীগেরর অন্যতম উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দীনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা বিদেশীদের বোঝালেন, রাজধানী ইতোমধ্যের দেশের বৃহদাংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ঢাকাস্থ অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার গ্রেগ উইলককের গুলশানের বাসায় জরুরী বৈঠক সেরেছেন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, তুরস্ক, স্পেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূতেরা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বললেন, বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদকে চিঠি লিখে সংলাপের আয়োজন করার আহবান জানিয়েছেন। বিএনপি খালেদা জিয়ার প্রতি লিখিত জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠির ব্যাপারে এখন কুলুপ এঁটে বসে আছে। এদিকে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো একজন রহস্যপুরুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। সবাই তার সক্রিয়তার কথা বললেও দৃশ্যত তিনি নিজে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি কথাও এখনো বলেননি। বিশেষ কয়েকটি ফোনকল ছাড়া তারানকোর আর কি উদ্যোগ মাঠে গড়িয়েছে, তা দৃশ্যমান নয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের জানুয়ারীতেও এদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় ও কানাডীয় দূতের তৎপরতায় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিলো। সেসময় যতোদূর মনে করে ডগলাম ফসকেট নামের এক ব্যক্তি ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার ছিলেন।

উপরিউক্ত ঘটনাগুলো হয়তো ঘটনা হিসেবে তেমন শক্তিশালী নয়, তবে এটা অবশ্যই ইঙ্গিত দেয় যে আওয়ামী লীগের পতনের যাবতীয় বিষয়বস্তু এখন বিএনপির হাত থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। এখন বাংলাদেশের ভাগ্য পুরোপুরিই পশ্চিমের হাতে চলে গেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারনে বেগম জিয়া বা বিএনপি বা তারেক রহমান এখন পশ্চিমের কাছে পুরোপুরি ম্রিয়মান...!
খবরে প্রকাশ, চীন বাংলাকে বিভিন্ন বৃহৎ অবকাঠামোগত উন্নয়নের খাতে এক লাখ কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এসবের মধ্যে আছে পায়রা বন্দর, জাজিরা থেকে যশোর ও দোহাজারি থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ, কর্ণফুলীর তলদেশে সুরঙ্গপথ নির্মাণের মতো বৃহৎ প্রকল্প। তবে মনে হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ ব্যাপারে এখনো দ্বিধায় আছে।

এদেশের এহেন পরিস্থিতিতে চীনের এমন বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব তাৎপর্যহীন নয়, যেখানে চীনও সংলাপের বীণা বাজিয়ে চলেছে। সম্ভবত চীন এই প্রস্তাবনা পাঠিয়ে ক্ষমতার রাজনীতিতে যুযুধান দুই পক্ষের সাথে দরকষাকষি করতে চাইছে।

তবে এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে পায়রা বন্দরের উল্লেখ দেখে মনে একটি নতুন সম্ভাবনা ঝিলিক মেরেছে। এটা বহু পুরানো কথা যে, চীন সোনাদিয়া দ্বীপে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ পাবার জন্য কতোটা লালায়িত। তবে এককভাবে কাজটি পাবার ক্ষেত্রে তারা এখনো নিশ্চিত নয়। এমতাবস্থায় তারা পায়রা বন্দরের কাজটি বাগিয়ে নিতে চাচ্ছে। সোনাদিয়া বা পায়রা, চীন এসে যেখানেই বসুক না কেন, এতে তার ভূরাজনৈতিক উপকার একই থাকবে। বৃহৎ পরিমণ্ডলে হিন্দ মহাসাগরীয় অঞ্চলে কতৃত কায়েমে কোন পরাশক্তি চট্টগ্রামে বসে যে ফায়দা পাবে, পটুয়াখালীতে বসেও একই ফায়দা পাবে।

তাছাড়া এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে পেশ করা হলো, যখন ভারত হিন্দ মহাসাগরে আমেরিকার ভূরাজনৈতিক স্বার্থের ব্যাপারে নমনীয় হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকলেও এখন মোদ্দা কথা হচ্ছে, হিন্দ মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক কৌশলে ভারত আমেরিকার ছায়া হয়েছে। এমন সময় সম্ভাব্য ইন্দো-মার্কিন অক্ষকে মোকাবিলার উদ্দেশ্যে যে চীন বাংলাদেশে এক লাখ কোটি টাকার মহা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে, এটা বলাই যেতে পারে...!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক লাখ কোটী টাকার প্রজেক্ট?
খালেদা জিয়া টাকসালের ভেতর ঘুমাবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.