নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড. : ভাববার আছে অনেক কিছু

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

অভিজিতের হত্যার সাথে জড়িতরা কেউ ইসলামপন্থী বা ইসলামী সংগঠনের বলে আমার মনে হয় না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হবার সম্ভাবনাই বেশি। অভিজিকে যে স্থানে খুন করা হলো সেটার নিরাপত্তা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রায় কাছাকাছি।

জায়গাটি লোকে লোকারণ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এর নিরাপত্তা ঘেরা এবং মোতায়েন ছিল প্রচুর সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। পাশাপাশি ছিল সাদা পোশাকের গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বইমেলার ভেতরে বাইরে যথেষ্ট চেকিং ছিল। হাতে বেগ থাকলেই সেই ব্যাগ চেকিং হয় বেশ কয়েকটি জায়গায়। এই অবস্থায় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ওখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। এরকম একটা নিরাপত্তাবহুল জায়গায় দুইজন নর নারীকে ৫ মিনিট ধরে কুপিয়ে একজনকে হত্যা ও আরেকজনকে জখম করে চলে গেলো অথচ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকেরা কিছুই টের পেলো না!

টিএসসি থেকে খুন করে কেউ নিশ্চয়ই তিন জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গা দিয়ে পালাতে পারবে না। পুরো এলাকাটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এর একদিকে কলাভবনের দিকের রাস্তা যেখানে আছে পুলিশ বেষ্টনী , অন্যদিকে শাহাবাগের রাস্তা সেখানেও আছে করা নিরাপত্তা। আরেক দিকে আবার দোয়েল চত্তরের রাস্তা । এমন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে এরকম প্রকাশ্যে কেউ খুন করে পালিয়ে গেল!

ব্যাপারটা সত্যিই বিস্ময়কর! তবে কি খুনিদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সরকারের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের মদত ছিল? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কেন এবং কার স্বার্থে এমন একটি হত্যাকান্ড ঘটানো হলো? এর স্বত্বভোগী কারা?

এই হত্যাকান্ডের পর একদল মুক্তমনা দ্বিগুন উৎসাহে আভিজিৎ রায়ের পথ অনুসরন করে দ্বিগুন উৎসাহে ইসলাম নিয়ে থার্ড ক্লাস ভাষায় প্রগতিশীলতার উচ্চমার্গে চড়ে বসবে। আর দেশের অধিকাংশ মুসলিম মাহমুদুর রহমানের পথ অনুসরন করে অভিজিতের ঐসব গর্হিত লেখার চুল চেরা বিশ্লেষন করে এই অন্যায় হত্যাকান্ড কে প্রতক্ষ্য পরোক্ষ নৈতিক সমর্থন দিয়ে নিজেদের মাথামোটা অবিবেচক প্রমানে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। আমরা মুসলিমরা আজ অন্যায় ভাবে নাস্তিক হত্যায় যেভাবে ফারাবিদের প্রশ্রয় দিচ্ছি আসন্ন ভবিষ্যতে এই ফারাবিরাই আমাদের মুসলমানিত্বে দৈর্ঘ্য প্রস্থ ঘনত্ব মাপা শুরু করবে এবং বাংলাদেশ কে পাকিস্তানের মত একটা অসুস্থ রাষ্ট্রের পরিনতির দিকে নিয়ে যাবে। অভিজিতদের নোংরামির বিরোধীতার জন্য যদি এই অন্যায় হত্যাকান্ডকে সমর্থন করতে হয় তাহলে ইনসাফ ন্যায়বিচার এই শব্দ গুলোর আর কোন মূল্য থাকে না। একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবা উচিত ইসলাম বিরোধীদের এভাবে ব্যাক্তি উদ্যোগে অন্যায় ভাবে হত্যাকরায় ইসলামের ও মুসলিমের আল্টিমেট কোন লাভ কি হচ্ছে। একটি মুসলিম দেশ হিসাবে আমরা নিজের দেশকে কি পাকিস্তানের মত ডাস্টবিনে দেখতে চাই নাকি মালয়শিয়ার মত সমৃদ্ধ দেখতে সেটা আবার ভাবতে হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ভাবার তো দরকার; কিন্তু ভাববে কি নিয়ে?

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: '' এরকম একটা নিরাপত্তাবহুল জায়গায় দুইজন নর নারীকে ৫ মিনিট ধরে কুপিয়ে একজনকে হত্যা ও আরেকজনকে জখম করে চলে গেলো অথচ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকেরা কিছুই টের পেলো না!

টিএসসি থেকে খুন করে কেউ নিশ্চয়ই তিন জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গা দিয়ে পালাতে পারবে না। পুরো এলাকাটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এর একদিকে কলাভবনের দিকের রাস্তা যেখানে আছে পুলিশ বেষ্টনী , অন্যদিকে শাহাবাগের রাস্তা সেখানেও আছে করা নিরাপত্তা। আরেক দিকে আবার দোয়েল চত্তরের রাস্তা । এমন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে এরকম প্রকাশ্যে কেউ খুন করে পালিয়ে গেল! এরকম একটা নিরাপত্তাবহুল জায়গায় দুইজন নর নারীকে ৫ মিনিট ধরে কুপিয়ে একজনকে হত্যা ও আরেকজনকে জখম করে চলে গেলো অথচ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকেরা কিছুই টের পেলো না!

টিএসসি থেকে খুন করে কেউ নিশ্চয়ই তিন জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গা দিয়ে পালাতে পারবে না। পুরো এলাকাটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এর একদিকে কলাভবনের দিকের রাস্তা যেখানে আছে পুলিশ বেষ্টনী , অন্যদিকে শাহাবাগের রাস্তা সেখানেও আছে করা নিরাপত্তা। আরেক দিকে আবার দোয়েল চত্তরের রাস্তা । এমন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে এরকম প্রকাশ্যে কেউ খুন করে পালিয়ে গেল!''----

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমিও ভেবেছি যে এত সিকিউরিটি ও জনারন্যে এটা কিভাবে সম্ভব হলো? হত্যাকারীরা জানতো যে তারা নিরাপদে বিনা চালেন্জে কাজটা করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.