নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
আজকের খেলা হোক বা না হোক , জেতা হোক বা হোক , গতকাল জিতে গেছি বিশাল ব্যবধানে । পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পী দল বৈঠকী বাংলায় অনেক গান গেয়েছেন । অনেক জ্ঞান দিয়েছেন । আমাদের শিল্পীরাও ছিলেন সেখানে । মুখ্যমন্ত্রী মমতার স্নেহধন্য কোন এক দলকানা ইন্দ্রনীল সেনকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য ডাকা হলে সে শুরু করে মাঝখান থেকে । কী আশ্চর্য একটি দেশের জাতীয় সংগীত কি ছেলেখেলা? কোন বি গ্রেড মুভির গরম মসলা গান যে যেভাবে খুশি গাইবে ? শিল্পী হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও কি সম্মান জানাবে না রাজনৈতিক শিল্পী?
আমার জয়টা হয়েছে যখন এর প্রতিবাদে এক লাইন গাওয়ার পর পর ফুঁসে উঠেছে বাংলার শিল্পীরা, থামিয়ে দিয়েছেন সেই ইন্দ্রনীল সেনকে । আমার জয়টা সেখানেই যে সেই একই মঞ্চে বাংলার শিল্পীরাই গেয়েছেন বাংলার জাতীয় সংগীত । কবির সুমন বলেছেন, ছি:ছি: ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে বাঙালী হিসাবে এ যেন আমারও পরাজয় । শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ওরা যেভাবে জাতীয় সংগীত গান ঠিক সেভাবেই গাওয়া উচিত ছিল ।
এই আমার জয় । আজকের ম্যাচের জয় পরাজয় নিয়ে ভাবছি না । শুধু ভাবছি দেশের এতগুলো তথাকথিত সত্য বলা সংবাদপত্রের পাতার কোন এক ছোট্ট কোণায় কেন দেখলাম না এই জয় এর কাহিনী । পাকিস্থান ভারতের ক্রিকেট জয়ের কাহিনী তো বড় পোস্টার হয়ে যেতে দেখি দৈনিকের পাতায় ।
©somewhere in net ltd.