নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা সিটিকর্পোরেশন নির্বাচন : কিছু বিশ্লেষণ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

তথ্যটা কেবল আম্মার কাছেই শুনেছি বেশ কয়েকবার। আর তা হচ্ছে, নামজাদা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও হালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাবিত নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক নাকি বিটিভির সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৮১ সালের জুনের প্রথমার্ধে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজার নামাজের লাইভ ধারাভাষ্যের দলে নাকি তিনিও ছিলেন। সেদিন তিনি অত্যন্ত হূদয়গ্রাহী ভাষায়, এবং আম্মার বয়ানে কেঁদেকেটে আকুল হয়ে নাকি ধারাভাষ্য প্রদান করেছিলেন। আম্মার দৃঢ় বিশ্বাস, আনিসুল হকের সেদিনের হূদয়বিদারী কান্না নাকি মেকী ছিলোনা।

ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ ওরফে সাঈদ খোকনকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ হানিফ পুরানো আওয়ামী লীগার। তিনি কথাবার্তায় কখনোই অভদ্র বা অমার্জিত ছিলেন বলে আমার মনে পড়েনা। অধিকিন্তু ঢাকার মেয়র থাকাকালীন ঢাকার নগর প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন এনে নগর সরকার নামে আরো ক্ষমতাধর ও আরো দায়িত্বের অধিকারী একটি নগর প্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার এই দাবী পূর্ণ হয়নি। উল্টো তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। যার জন্য নিজের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দলের অসহযোগিতার জন্য পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপির সাদেক হোসেনকে তিনি ময়দান ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

হানিফের ছেলে সাঈদ ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের সংস্কারবাদী অংশের অন্যতম সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার পিতার প্রতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কথিত বেইনসাফির কথা তখনো বাতাসে ভাসতো, এবং সম্ভবত সে কারণেই তিনি সংস্কারবাদী হয়ে ফেরদৌস আহমদ কুরাইশীর সাথে কিছুদিন ভিড়েছিলেন।

দক্ষিণে আরেক প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের বহুল আলোচিত সাবেক এমপি গোলাম মাওলা। বিএনপির বহিস্কৃত নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামানও উত্তরে ভোটে দাঁড়াতে চান।

যাহোক, আমার মনে হয় প্রস্তাবিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবেনা। বিএনপির বিরোধিতার জন্য নয়, আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্যই এই নির্বাচন সম্পন্ন করা মুশকিল। দলের অনেক পুরানো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাদ দিয়ে প্রায় অজ্ঞাতকুলশীল আনিসুল হক ও সংস্কারপন্থীর তকমা লাগা মোহাম্মদ সাঈদের মেয়র পদে মনোনয়ন দলের মধ্যেই অস্থিরতার জন্ম দেবে। তাছাড়া ইদানিং প্রায় প্রতিটি সপ্তাহেই আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গোলাগুলিতে প্রাণহানী ঘটছে। কামাল মজুমদার, এখলাস মোল্লা, অথবা হাজী সেলিমদের মতো ঘাঘুদের বাদ দিয়ে এই দুই 'মুই কার খালুরে' মেয়র হতে গেলে তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভের কোন অবকাশ অাছে বলে মনে হয়না।

সর্বোপরি, আওয়ামী লীগের পতনের জন্য চলমান বেসামরিক অভ্যুত্থানে এখন যখন বিদেশীরা বেশ ভালোমতো জড়িয়ে পড়েছে, সেমতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বেশ বড়সড় একটা টুইস্ট আনতেই মূলত বিভক্ত ঢাকার নির্বাচনের তোড়জোড়। আনিসুল হক, মোহাম্মদ সাঈদকে আমি আপাতত সেই শিখণ্ডী নির্বাচনের শিখণ্ডী প্রার্থী হিসেবেই দেখছি।

তবে বিশেষত আনিসুল হকের মতো দৃশ্যত অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে দৃশ্যপটে আনার ব্যাপারটা একদমই তাৎপর্যহীন নয়। সেটা কী, তা নিজের মতো করে আন্দাজ করাই যায়। তবে আপাতত তার চেয়ে ঘটনার রোখ কোন দিশায় যায়, তার জন্য অপেক্ষা করাই দুরুস্ত হবে...!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

খোচা বাবা বলেছেন: হাম্বালিগ নির্বাচন দিবে না, কয়েক বছর ধরেই তারা নাটক করছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.