নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
পবিত্র আল কোরআনের অনেকগুলো আয়াতেই মানুষকে পূর্ববর্তী সভ্যতার প্রত্নস্থলগুলো পরিদর্শন করে তার থেকে মহামহিমের পরাক্রমের শিক্ষা নেবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। কায়রো যাদুঘরে গেলে মানুষ ফেরাউন দ্বিতীয় রামিসেসের প্রায় অবিকৃত লাশটি দেখতে পায়। এই লাশ কোন রকমের মমি করার প্রযুক্তিতে সংরক্ষিত হয়নি। বরং হযরত মুসা (আঃ) এর কাছে পরাজয়ের পর নীলনদে ডুবে মারা যাবার পর সম্ভবত ১৮৯৭ সালের দিকে একদল ব্রিটিশ প্রত্ন লুটেরা নীলের তীরস্থ এক ভূগর্ভস্থ প্রকোষ্ঠ থেকে দ্বিতীয় রামিসেসের লাশ আবিস্কার করে। অথচ কোরআনে আল্লাহ আগেই বলেছিলেন, তিনি কেয়ামত পর্যন্ত দ্বিতীয় রামিসেসের মৃতদেহ সংরক্ষণ করবেন, যাতে মানুষ এই লাশ দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এর দ্বারা বুঝা যায়, ইসলামী দর্শনে পূর্ববর্তী সভ্যতার প্রত্নস্হল সংরক্ষণ ও পরিদর্শনের গুরুত্ব।
নবী হযরত সালেহ (আঃ) যে সভ্যতার প্রতি প্রবর্তিত হয়েছিলেন, তাদের জনবসতি ছিলো হালের সৌদি আরবের তাবুক প্রদেশের মাদাইন সালেহ নামক এলাকায়। তাবুকের যুদ্ধের সময় রাসুল (সাঃ) এর নেতৃত্বে মুসলিমরা যখন বাইজেন্টাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের বাহিনীর আক্রমণ ঠেকাতে তাবুকে অবস্থান নিতে যাচ্ছিলেন, তখন মুহাম্মদ (সাঃ) মাদাইন সালেহ অতিক্রম করার কালে সাহাবীদের গতি বাড়াতে বলেছিলেন, কারণ সালেহ (আঃ) এর সময় এখানে আল্লাহর গজব পতিত হয়েছিলো। কিন্তু তিনি কখনোই মাদাইন সালেহের প্রত্নস্হলে হাতুড়ি, গদা, ছেনি-বাটাল চালাবার কথা বলেননি। কারণ আল্লাহ পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষার জন্য এই প্রত্নস্থল টিকিয়ে রেখেছেন, এবং এটা আজো টিকে আছে।
রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের পর চার পূণ্যবান খলিফার শাসনামলে ইসলামী রাষ্ট্র ইরাক, পারস্য, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, লেবানন, মিশরের প্রাচীন ভূখণ্ডসমূহে বিস্তৃত হয়। আজ পর্যন্ত কোন একজন ঐতিহাসিকও এমন কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেননি যে, তাঁরা উল্লেখিত প্রাচীন ভূখণ্ডসমূহের কোন প্রত্নস্হলে ভাংচুর চালিয়েছিলেন।
অথচ আমরা দেখেছি ২০০১ সালে আফগানিস্তানের বামিয়ানের প্রাচীন বৌদ্ধ মুর্তিগুলো ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হলো, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ যাদুঘর হিসেবে পরিগণিত বাগদাদ যাদুঘর লুট করা হলো, সর্বশেষ খোদাদ্রোহী রাজা নমরূদের রাজধানীর প্রত্নসম্পদ ধ্বংস করা হলো।
সংগত কারণেই এসব যারা ধ্বংস করেছে, তারা মুসলিম হতে পারে না। আর যারা প্রাচীন প্রত্নসম্পদ ধ্বংসের সাথে কাবা শরীফে রাখা মুর্তি ধ্বংসকে এক করে দেখছেন, তারা আহাম্মক, নাকি শয়তানের স্বর্গে বাস করছেন, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।
আমি বরং এসব অমূল্য প্রত্নসম্পদ ধ্বংস বা লুণ্ঠনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে চাই। এসব ঘটনার সাথে কোন ব্যক্তি স্বার্থ বা হুজুগ নয়, বরং সুচিন্তিত কোন পরিকল্পনা কাজ করতে পারে। যার উদ্দেশ্য, প্রথমত, কোরআনে অনেকবার করে উল্লেখিত এসব প্রত্নস্থল পরিদর্শনের তাগিদ অনুসারে যাতে মুসলিমরা এসব নিদর্শন দেখে আলোকিত হতে না পারে, এবং দ্বিতীয়ত, মুসলিম ভূখণ্ডগুলো যাতে নিজেদের প্রাচীনত্ব নিয়ে গর্ব করতে না পারে, এবং এই সুযোগে অন্য কেউ যাতে মানব সভ্যতার স্থায়ী মালিক-মোখতার হয়ে যেতে পারে।
একটি জাতির জন্য তার ইতিহাসের চেয়ে দামী সম্পদ আর কিছু হতে পারেনা। মুসলিমদের সাথে শত্রু শত্রু খেলতে গিয়ে মানব সভ্যতার জন্য অমূল্য এসব প্রত্নসম্পদ ধ্বংস করে মানব সভ্যতার অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে। ইরাকের এই অমূল্য ইতিহাস ধ্বংসে কাদের লাভ হতে পারে, তা চিন্তাশীল মাত্রই অনুধাবনে সক্ষম বলে আমার বিশ্বাস! যে নমরূদ নিজেকে আল্লাহ ঘোষণা দিয়ে আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়েছিলো, সেই নমরূদের শহর, যা মুসলিম জাতির জনক হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর পূণ্য স্মৃতি বিজড়িতও, সেটিকে আর যাই হোক মুসলিমরা ধ্বংস করতে পারেনা। এই শহরটিকে ইসলামের প্রচারের স্বার্থেই টিকিয়ে রাখা কর্তব্যসিদ্ধ হতো। আর যদি এসকল প্রত্নসম্পদ ধ্বংস বৈধই হতো, তাহলে এই কাজ খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলেই সম্পাদিত হতো, যখন এসব অঞ্চলে ইসলামের পদার্পন ঘটেছিলো...।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:২৭
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে অদ্ভূত, ভৌতিক, অতিলৌকিক ও অমীমাংসিত রহস্য হচ্ছে মানুষের আত্মা...
মানুষের আবার মৃত্যু বলে কিছু আছে নাকি ? সবই শুধু প্রকৃতি নিয়মানুযায়ী এক রুপ থেকে আরেক রুপে বিবর্তিত হয় মাত্র । কাজেই অভিজিত মরেনি । ও নিয়মানুযায়ী একরুপ হতে আরেক রুপে বিবর্তিত হয়েছে । এক্ষেত্রে আসিফদের অভিজিত হত্যার বিচার চাওয়া অভিজিতের বিবর্তনের বিশ্বাসকে আঘাত করার শামিল বৈ-কি !! ।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৯
ফা হিম বলেছেন: বাংলাদেশেও এক শ্রেণীর লোক ততপর ছিল যারা ভাস্কর্য ইত্যাদি ভাঙ্গাভাঙ্গির আওয়াজ তুলে। এই ঘটনায় উনারা জোস পেয়ে গিয়ে আবার ভাংচুর চালানোর চেষ্টা করে কি না কে জানে?
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
এনামুল রেজা বলেছেন: মন খারাপ লাগে এসব শুনলে।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৪
নতুন বলেছেন: কায়রো যাদুঘরে গেলে মানুষ ফেরাউন দ্বিতীয় রামিসেসের প্রায় অবিকৃত লাশটি দেখতে পায়। এই লাশ কোন রকমের মমি করার প্রযুক্তিতে সংরক্ষিত হয়নি।
রামসিস ২ এর মমি.... এটা প্রায় অবিকৃত লাশ নয়... এটা মমি কৃত..
রামসিস প্রায় ৮০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলো বলে ধারনা করা হয়... তার আথাইটিস ছিলো...এবং দাতের ইনফেনস ছিলো যা থেকেও তিনি মারা যাতে পারেন বলে ধারনা করে থাকে...
মুসা আ: এর কাহিনি ইহুদীরা প্রমানের চেস্টা করবে কিন্তু রামসিস ২ যে মুসা আ: এর সময়ের ফেরাউন ছিলো তার ঐতিহাসিক প্রমানিত না...
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৭
আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ধর্মের নামে যা হচ্ছে তার বেশীরভাগ ভুল পথে হচ্ছে।
খারাপ লাগে যখন এসব শুনি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসা নবী ও ফেরাউনের যুদ্ধের গল্প ইহুদীর লোক গল্প; সম্ভবত তা ঘটেনি।
পিরামিডে কোথায়ও তা লেখা নেই।
গল্পের সময় অনুসারে, তা ঘটার কথা ফেরাউন থুটমোসেস-৩'এর সময়, ফেরাউন দ্বিতীয় রামিসেসের সময়ে নয়।
সব মমি রক্ষণের জন্য হার্বাল ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল।