নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
আমাদের অতীত ইতিহাস অনেক গৌরবের। আবার অনেক ঐতিহ্যমন্ডিত ও বেদনা-বিধুরও বটে। বিস্ময়কর এই সংগ্রামের
ধারাবাহিকতায় নিকট-অতীতে এখানে আর্যদের আগ্রাসন, ইংরেজদের শোষণ আর এদেশীয় মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার মোকাবিলায় তীব্রতর লড়াই হয়েছে। প্রাণ দিয়েছে বটে মান বিকিয়ে দেয়নি। এই জাতি রক্তে-মাংসে সংগ্রামী, অস্তিত্বে স্বাধীনচেতা আর মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে এক আল্লাহ্ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করে না। কিন্তু এই চেতনা ও মূল্যেবোধের উপর আঘাত হয়েছে অসংখ্যবার। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে অব্যাহতভাবে। কিন্তু বীরের এই জাতিকে বশ মানানো বড় কঠিনই। এই আঘাতের যাত্রা ১৬৩৪ সালে বাংলায় বাণিজ্য করার নামে বৃটিশ বেনিয়ারা এখানে এসে ইঙ্গ-হিন্দু মৈত্রী গড়ে তোলে। লক্ষ্য ছিল মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করা। তারই ধারাবাহিকতায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন, আর এদেশীয় মীরজাফর ও ঘষেটি বেগমদের অন্যের নিকট মাথা বিক্রি করে এই জনপদে যে বিভক্তির বীজ বপন করেছে তা আজ অঙ্কুরিত হয়ে বিভক্তির অনেক ডালপালা গজিয়েছে। সেই কালো রেখা আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাঝে বিভেদকে আজ স্পষ্টভাবে যেন টেনে দিয়েছে। এই বিভেদ একদিনে তৈরি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে অনেক ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। আজ এদেশের একশ্রেণীর এলিটরা ১৯৪৭-এর পূর্বে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আর হিন্দুদের তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থানের কথা বলতে দারুণ লজ্জাবোধ করে। অথচ রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী তার সম্পাদিত, বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ, বইতে লিখেছেন- “অনেকের মতে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের অধিকাংশ ছিল সংখ্যালঘু” আজ এদেশের কতজন যুবক জানে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে প্রচন্ড আন্দোলন গড়ে তুলেছিল? আমাদের নতুন প্রজন্ম এই দেশ ও মাতৃকার প্রকৃত ইতিহাস না জানলে এ দেশের মানচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করবে কেমন করে?
ইতিহাস থেকে জানা যায় বৃটিশ পরাধীনতার শিকল থেকে এই ভূখ-কে মুক্ত করতে বাংলাসহ সারা ভারতে মুসলমানরাই সশস্ত্র লড়াইয়ে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার জন্য বাংলায় মীর কাশিম, ফকির মজনু শাহ্ থেকে শুরু করে সৈয়দ নেসার আহমেদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহসহ হাজার-হাজার আলেম-ওলামার শাহাদাত, ত্যাগ আর প্রায় দু’শত বছরের জিহাদের সংগ্রামী ইতিহাসের উপর গোড়াপত্তন হয়েছে এই ভূখন্ডের। সেই ত্যাগের রিহার্সেল আজো চলছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজপথে জীবন বিলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। একশ্রেণীর মতলব বাজ বুদ্ধিজীবী, ইতিহাস বিকৃতিকারীরা এই জনপদেও ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে ১৯৭১-র পেছনে যেতেই চান না। বাধ্য হলে ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত। আমাদের মনে রাখতে হবে আইন করে শহীদ জিয়ার অবদানকে যেমনি মুছে ফেলা যাবে না, তেমনি শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকেও খাটো করা যাবে না। ইতিহাস প্রত্যেকের অবদানকে মূল্যায়িত করবেই।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৮
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: চিনবে কেমতে? জিয়ার শুরুতো ৭৫এর পর্। এর আগে সে এক জন সেক্টর কমান্ডার ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: জিয়া 'শহিদ' আর বংগবন্ধু শুধুই শেখ মুজিব!!!!!!!
যারা বংগবন্ধু আর মেজর জিয়াকে এক মাল্মায় মাপতে চান, তাদের কাছে বিনয়ে জিজ্ঞাসা কেন ১৯৭১ সনের বিদেশী সংবাদপত্রে, গন মাধ্যমে শুধুই বংগবন্ধুকে নিয়ে খবর হত? মেজর জিয়াকে কি চিনত না তারা?