নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। যে দেশের শতকরা ৯০% লোক মুসলমান। উচ্চবর্নের সম্ভ্রান্ত হিন্দু জমিদার এবং রাজনীতিকদের নিষ্পেষণ আর তাচ্ছিল্যের কারণে ১৯৪৭ সালে এই দেশটি ধর্মের ভিত্তিতে ভারত থেকে আলাদা হয়েছিলো, আর আঞ্চলিক ও সাংষ্কৃতিক নিষ্পেষন ও নিগ্রহের পরিনতিতে পাকিস্তান থেকে ১৯৭১ সালে আলাদা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরীর আকাঙ্খায়।
সুতরাং এই দেশে পুলিশি শক্তি দিয়ে আর যাই করা সম্ভব হোক, দুইটা জিনিস কখনোই করা সম্ভব নয়-
১. ইসলাম ধর্মকে মুছে ফেলা;
২. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে মুছে ফেলা।
যারা এই দুই শক্তিকে মোছার ধারণা পোষন করছেন, তাদের নিজেদের অস্তিত্ব কেবলমাত্র সামাজিক আর গণমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। এবং তাদের অস্তিত্বকেই বরং উপরের দুই শক্তি মুছে দিতে পারবে (যদি তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা করতে চায়)।
বাংলাদেশের আজকের অবস্থা নব্বই দশকের রুয়ান্ডার মত। সেখানে হুতুরা ছিলো সংখ্যাগরিষ্ট, কিন্তু সংখ্যালঘু তুতসিরা ছিলো সামরিক ও প্রশাসনিক শক্তিতে বলীয়ান। সংখ্যালঘু তুতসিদের ক্রমাগত অত্যাচার সহ্য করতে করতে এক পর্যায়ে সংখ্যাগুরু হুতুরা বিদ্রোহ ঘোষনা করে বসে। শুরু হয় উন্নত সামরিক শক্তির অধিকারী তুতসিদের বিরুদ্ধে জনসংখ্যার দিক থেকে শক্তিশালী হুতুদের লড়াই। তুতসিদের ধারণা ছিলো অস্ত্রের জোরে তারা হুতুদের ঠণ্ডা করে দেবে। শুরুতে হুতুরাই বেশি মার খাচ্ছিলো। কিন্তু যে দেশের ৮৪% জনগণ হুতু, সেখানে ১৫% তুতসিদের জন্য কেবলমাত্র অস্ত্রের জোরে পেরে ওঠা সম্ভব ছিলো না। মাত্র ১০০ দিনের সেই গৃহযুদ্ধে ১০লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো (দিনে ১০হাজার, ঘন্টায় ৪০০ আর মিনিটে ৭জন), যার ৯০%ই ছিলো তুতসি।
তুতসিদের অস্ত্র ছিলো, লেখাপড়া ছিলো, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছিলো... কিন্তু তারপরও রুয়ান্ডা থেকে তাদের আক্ষরিক অর্থেই মুছে ফেলা হয়েছিলো ঐ ১০০দিনের যুদ্ধে। যে নীরব গণহত্যা তুতসীরা দীর্ঘদিন চালিয়েছে হুতুদের বিরুদ্ধে, সেটার জবাব হুতুরা দিয়েছিলো একটি প্রকাশ্য গণহত্যা চালিয়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে প্রত্যাঘাতের ফল কী হয় তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ ছিলো ঐ রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধ।
বাংলাদেশের একটি জনসমর্থনহীন সংখ্যালঘু রাজনৈতিক শক্তিকে যে বিদেশীরা ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে এবং সেই বিদেশীদের সমর্থন পেয়ে আজ যারা সংখ্যাগরিষ্টদের ওপর নীরব গণহত্যা চালাচ্ছে, তারা যেন ভুলে না যায় এমন নীরব গণহত্যার পরিনতি কী হতে পারে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে জুলুম করা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: বাংলাদেশের একটি জনসমর্থনহীন সংখ্যালঘু রাজনৈতিক শক্তিকে যে বিদেশীরা ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে এবং সেই বিদেশীদের সমর্থন পেয়ে আজ যারা সংখ্যাগরিষ্টদের ওপর নীরব গণহত্যা চালাচ্ছে, তারা যেন ভুলে না যায় এমন নীরব গণহত্যার পরিনতি কী হতে পারে।
সেটি হলে সংখ্যালঘুরা নিঃশ্চিহ্ণ হবে তবে ফলাফল সংখ্যাগরিষ্টদের জন্যও খুবই ভয়াবহ হবে.
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আমিন।