নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠী ও প্রচার মাধ্যমের যৌথ প্রযোজনায় যে নাটক চলছে তাকে আমি গোড়া থেকেই মেকী ও অন্তঃসারশূন্য বলে আসছি। আমার এহেন অনুমান পোক্ত হয়েছে গতকালের একটা খবরে। এতে দেখা যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল হান্নান খান দাবী করেছেন যে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হকের বাবা এ কে এম জহিরুল হক ১৯৭১ সাল নাগাদ পূর্ব পাকিস্তান আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, যিনি সে বছরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবগঠিত রাজাকার বাহিনীতে নিযুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের আগস্ট নাগাদ চাঁদপুরের মহকুমা পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে থাকা আবদুল হান্নান খান এহেন দাবীর স্বপক্ষে সবাইকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার কতৃক জারী করা ফরমান দেখতে বলেছেন, যাতে রাজাকারের তালিকাভুক্ত সদস্য হিসেবে জহিরুল হকের নাম আছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনিসুল হকের ভাই বর্তমানে সেনাবাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিকুল হক বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
যাহোক, আমি শুরু থেকেই ধারণা করে আসছিলাম যে, ঢাকার নির্বাচনের কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হলেও আসলে তা হবেনা। অনেকগুলো কারণ ক্রিয়াশীল এর পেছনে। এসবের মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য না হয়েও আনিসুল হককে উত্তর ঢাকার মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ায় ইতোমধ্যে কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগে চাপানউতোর আরও জোরদার হয়েছে। আমার ধারণা দলের কোন সংক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কারসাজীতেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল হঠাৎ করে আনিসুল হকের রাজাকার পিতার তথ্য এনে হাজির করলো।
এটা একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, আওয়ামী লীগেরই একটি ক্ষমতাশালী অংশ চায়না আনিসুল হক জিতুন, অথবা এই মুহূর্তে ঢাকায় নির্বাচন হোক। বস্তুত, বিগত সাত বছরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দেশে যে তীব্র আদর্শিক মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও একটি ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের জন্ম হয়েছে, অন্যকে কাটার চাইতে যা আওয়ামী লীগকেই কাটছে বেশি।
ঢাকার দক্ষিণাংশেও পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয়। হাজী সেলিম ও মোহাম্মদ সাঈদের পাল্টাপাল্টি প্রার্থিতা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুড়িগঙ্গার উত্তর তীরে যে পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের নিজের জন্যই উদ্বেগের ব্যাপার। এমতাবস্থায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে যা দলটির জন্য মারাত্মক নেতিবাচক হতে পারে।
এমতাবস্থায় বিএনপির আপোষকামী ও অসৎ নেতৃত্বকে কিছুদিন নির্বাচনী মূলা ঝুলিয়ে প্ররোচিত করার চেষ্টা করা হবে। সেটা যদি বানচাল হয়ে যায়, তাহলে অন্য কোন প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটিয়ে ঢাকার নির্বাচনী হুজুগে পানি ঢালা হতে পারে...।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ++
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। পোস্টে +++।