নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
মানুষ জন্ম থেকেই স্বাধীনভাবে জন্মে এবং স্বাধীনভাবেই তার জীবন পরিচালনা করবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যে একটা সমস্যা এসে দাড়ায় , আর তা হল ধর্ম। আসলে স্বাধীনতা বলতে আমরা কি বুঝি?
আমরা যা করতে চাই তা করাকেই আমরা স্বাধীনতা বলি। কিন্তু বর্তমানে এই স্বাধীনতার সংঙ্গা বদলানো হয়েছে, এখন আমরা যা খুশি তা করতে পারব যতক্ষন না পর্যন্ত অন্যের ক্ষতি হতে পারে।কিন্তু আমি পরিপূর্নভাবে স্বাধীন হব তখনই যখন আমি যাখুশি তা ই করতে পারব। আর সকল ধর্মই মানুষকে যা খুশি তা করা থেকে বিরত থাকতে বলছে। মানে ধার্মীক মানুষেরা সবদিক দিয়ে স্বাধীন নয়, কারন তারা চাইলেই সব কিছু করতে পারে না।
আসলে মানুষ যখন বড় হতে থাকে, তখন সে দেখতে পায় যে, বিভিন্ন ধর্মীয় কারনে, এটা করা নিষেধ , ওটা করা নিষেধ, ইত্যাদি ইত্যাদি…… ফলে তার হাতে দুটি পথ খোলা থাকে,
এক,তাকে এগুলো মেনে নিতে হবে, দুই, সে এগুলোকে বর্জন করে নিজের মত করে নতুন কিছু তৈরি করবে, আর তখন সে কি তৈরি করবে? তখন সে বলবে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই, আর তখন সে নিজের ভেতর একটা মানসিক স্বাধীনতা অনুভব করে, কারন তখন তার মধ্যে কোন ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থাকে না, যা তাকে আনন্দ দেয়। আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে কিছু নাস্তিকদের।
আর বর্তমানে যে সকল নাস্তিকদের আমরা দেখে থাকি,তাদের বেশিরভাগই হুজুগে নাস্তিক, তারা কেন নাস্তিক তারা নিজেরাও জানে না, তাদেরকি যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কেন নাস্তিক তারা কোন যুক্তিসংগত উত্তর দিতে পারে না। তারা নাস্তিক হয় সবার চেয়ে আলাদা হওয়ার জন্য, অন্যদের বলার জন্য, যে দেখ, আমি তোমাদের চেয়ে আলাদা, তোমরা এনশিয়েন্ট, একঈশ্বরে বিশ্বাস করো, আমি দেখ কত আধুনিক আমি ইশ্বর এ মানিনা। আর এক শ্রেনীর নাস্তিক আছে,যারা বিভিন্ন বই পরে নাস্তিক হয়, তারা ঐ বইয়ের লেখককেই মনে করে সর্বজ্ঞানী, তাদের বইয়ে কিংবা তাদের মতবাদে কোন ভুল থাকতে পারে তারা এটা ভুলেও কল্পনা করতে পারেন না। তারা শুধু একটা ডাইমেনশন দিয়ে কল্পনা করেন, অন্য ডাইমেনশনগুল ভুলে যেন। তারা আগেই ধরে নেয় যে ইশ্বর নেই, কিন্তু তারা একবারো ঈশ্বর আছে- এটা বিশ্বাস করে এগোতে পারে না।
অন্য দিক দিয়ে যখন কিছু মানুষ দেখল যে, শুধু মাত্র ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কিংবা সমাজের সকল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন সে হল নাস্তিক, আর দিল তার নিজের মতবাদ। এর পেছনে ছিল ধর্মের ব্যর্থতা, কিন্তু যখন ইসলাম আসল, তখন এটি নিয়ে এল এক পূর্নাঙ্গ এক ব্যবস্থা, যেখনে আপনি সমাজের সকল সমস্যা, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি সব সমাধান করতে পারবেন। মুহাম্মদ(স ই একমাত্র ব্যাক্তি, যিনি একটি মতবাদ দিয়ে এটি পূর্নাঙ্গভাবে প্রতিষ্টিত করে গেছেন। আর সবাই ব্যর্থ হয়েছে। যারা সমাজব্যাবস্থা দিয়ে গেছে, তারা তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে নি। যেমন, কার্ল মার্ক্স যে ব্যবস্থা দিয়ে গিয়েছিল, লেনিন তা সংশোধন করে তারপর তা প্রতিষ্টিত করেছিল এবং তা যে টেকে নি তাও আমরা জানি।
আর একবার ইসলামের দিকে তাকান, ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকান।
” এবং বল, ‘ সত্য আসিয়াছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়াছে; মিথ্যা তো বিলুপ্ত হবারই । (১৭;৮১)
আমিন
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: নজরুল ও লেখক এরাও লেখক!!!!
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১০
সানোয়ারুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লেখা,অনেক অনেক ধন্যবাদ। নাস্তিকদের ( যেমনঃ আসিফ মহিউদ্দিনের) লেখালেখি পড়লে আমার ক্রোধের বদলে হাসি পায়,তাচ্ছিল্যের হাসি....কতটা দূর্ভাগা, মূর্খ আর অকৃতজ্ঞ দুনিয়ার লোভী হলে মানুষ এমন হয় তা ভেবে পাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
মীর সজিব বলেছেন: আর তারা মনে করে নাস্তিক হলেই বুঝি উন্নতজাতের গাভী মার্কা ব্লগার হতে পারে।