নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বাঙ্গালের স্মরণশক্তি গোল্ডফিশের সমান, এই কথাটা কতোই না শুনেছি আমরা। কিন্তু আপনি যদি তার হাতেনাতে প্রমাণ দেখতে চান তাহলে আইসিসির সভাপতির পদ থেকে মুস্তফা কামালের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে হোমপেজে তার পক্ষে গাওয়া বাঙ্গালের প্রশস্তিগাঁথাগুলো দেখতে পারেন!
লোটাস কামালের রাজনীতি বা শেয়ার বাজারের উন্নয়নে রাখা ভূমিকার কথা আমরা বাদই দেই। যদি খোদ প্রসঙ্গের ভেতরেও প্রবেশ করি, তারপরও তার ইস্তিফায় বাংলাদেশের জন্য গৌরবের কিছু ছিলো না। যদি তিনি ইস্তিফা দিতেন ত্রিগুণ্ডার অভ্যুত্থানের পর, এমনকি গত মাসের ১৯ তারিখের সেই খেলা নামের প্রহসনের পরও যদি তিনি ইস্তিফা দিতেন, তাহলেও নাহয় একটা কথা ছিলো। কিন্তু তিনি নানা বাগাড়ম্বর ঝেড়েও অপেক্ষা করলেন ফাইনাল পর্যন্ত, পাছে ট্রফিটা চ্যাম্পিয়ন কাপ্তেনের হাতে তুলে দিতে পারেন! কিন্তু চোরের উপর বাটপারি করে শ্রীনিবাসন লোটাস কামালকে 'ধরে দিবানি' করে দিলো। তারও কয়েকদিন পর ইস্তিফা দিলেন লোটাস কামাল। ইস্তিফার ইকবালনামায় তিনি কাউকে দোষারোপ করেন নি! ব্যাপারটা ঠিক যেন ছ্যাঁক খাবার পর একতরফা প্রেমিকের অরণ্যে রোদন-প্রসূত বিদায়ী প্রেমপত্র!
এদিকে, মানসম্মানবোধহীন বাঙ্গাল ভুলে গেলেও আমার মনে আছে, মুস্তফা কামাল প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পাকিস্তানের সমর্থনে। পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করার ওয়াদার পাশাপাশি আরেকটি মুচলেকা দিয়ে তিনি সভাপতি হতে পিসিবির সমর্থন বাগিয়েছিলেন। আর তা হচ্ছে, পরবর্তী আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে পাকিস্তানী প্রার্থীকে সমর্থন দেবে বাংলাদেশ।
আজ পত্রিকায় দেখলাম, লোটাস কামালের বিতাড়নের পর আইসিসির প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান নাজিম শেঠী। এদিকে পাকিস্তানও খেলতে আসছে এদেশে। এখানকার ক্রিমিনাল মিডিয়া যদিও বলছে, পাকিস্তানের শর্তের কাছে মাথা নত করেনি বিসিবি। পাকিস্তান পিছু হটেই এদেশে আসছে। কিন্তু বিদেশী প্রচারমাধ্যম বলছে, উভয় বোর্ডই নাকি কিছু ক্ষেত্রে পিছু হটেছে! কি সেসব পিছু হটা?
আমি আরো ভুলিনি, গত কোরবানির ঈদের দিন পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের সস্ত্রিক ঢাকা সফরের কথা। এদেশের গোয়েবলসীয় প্রচারমাধ্যম সে সফরের কথা গিলে ফেলেছিলো। কেন ঈদ উদযাপন ফেলে শাহরিয়ার খান ঢাকায় এসেছিলেন? সেই সফরের জন্যই কি এ মাসে পাকিস্তানের সাথে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হচ্ছে? বিসিবি ও পিসিবি কি চাণক্যনীতি গ্রহণ করছে? স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রশ্ন এসে যায়। এদের জবাব পেতে অবশ্য আরো অপেক্ষা ও পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
তবে সত্যি বলতে, এখন পরিস্থিতি পিসিবির অনুকূলে! ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারায় এদেশে নজিরবিহীনভাবে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে, আতশবাজী হয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এদেশে এসবের কিছুই হয়নি। এহেন বৈপরিত্য ঘটেছে ভারতের প্রতি সৃষ্ট তীব্র জিঘাংশা থেকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি ভালবাসার জন্য নয়। আর এদেশে এখনো রয়ে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অবস্থা তো অনেকটা ১৯৭২ সালে রাজাকারদের অবস্থার মতোই! কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়ার শাপে যে বর হলো, বিসিবি না পারলেও তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতেই পারে পিসিবি...!
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১০
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: সত্য সবসময়ই তিক্ত হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
মুহাম্মদ তৌহিদ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ আবেগ বর্জিত। আপনি একজন খারাপ মানুষ। আপনি শেয়ার বাজার নিয়ে কথা বলেন। :p