নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক বিদ্রুপ সাময়িকী শার্লি এবদোতে হামলার পর দেশটিতে ইসলামী বইয়ের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়েছে। ইসলাম নিয়ে প্রচলিত চিন্তাগুলোকে যাচাই করতেই বইগুলো কিনছেন ফরাসিরা। এ নিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলাম নিয়ে ফ্রান্সের সাময়িকী ‘ফিলোসফি’র সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংখ্যা দেদার বিক্রি হয়েছে। সাময়িকীর পরিচালক ফ্যাব্রিস গারশেল বলেন, ‘ফরাসিরা নতুন নতুন প্রশ্ন করছেন, বিভিন্ন প্রশ্নের (ইসলামসংক্রান্ত) গণমাধ্যম থেকে পাওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।’
ফ্রান্সের জাতীয় বইবিপণি ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে ইসলামী বইয়ের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
ধর্মভিত্তিক বইয়ের অন্যতম প্রকাশক প্রতিষ্ঠান লা প্রকিউর এর কর্তাব্যক্তি মাতিলদে মাহিউক্স বলেন, ইসলামপন্থী বর্বর গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) যেভাবে ধর্মকে উপস্থাপন করতে চাইছে, তার চেয়ে ভালোভাবে ধর্মকে বুঝতে চায় লোকজন, যাতে করে তারা বিষয়টি আত্মস্থ করতে পারে।
শার্লি এবদো সাময়িকী ও ইহুদিদের সুপার মার্কেটে জিহাদিদের হামলার পর অনেক অমুসলিমই ইসলাম সম্বন্ধে বহু জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজতে থাকেন। এ বিষয়ে পশ্চিম ফ্রান্সের নন্তে এলাকার একটি বইয়ের দোকানের কর্তা ইয়োভন জিলাবার্ত বলেন, ‘একজন অতি ক্যাথলিক ভদ্রমহিলা কোরআনের একটি কপি কিনতে এসেছেন। কারণ তিনি বুঝতে চান ইসলাম সংঘাতপ্রবণ ধর্ম কি না।’
ওই নারীর মতো অন্য অনেকে ইসলামের চরমপন্থী ব্যাখ্যাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে চান। এ নিয়ে প্যারিসের একটি ধর্মবিষয়ক বইবিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ক্রেতা প্যাট্রিস বাসনার্ড বলেন, ‘আমি মনে করি ধর্ম কী দিচ্ছে এটা দেখার আগে আমাদের দেখতে হবে মৌলবাদ কী।’
ফ্রান্সের শিক্ষকদের মধ্যেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার আগ্রহ বেড়েছে। প্যারিসের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান কলেজ দ্যা ফ্রান্সের একটি চেয়ারে গত বৃহস্পতিবার স্টাডি অব দ্য কোরআন (কোরআন শিক্ষা) নামে একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে।
ফ্রান্সের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষকের শিক্ষক জ্যঁ রনি এ বছর মুসলামনদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পড়তে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সাধারণ সংস্কৃতি ক্লাসে ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর পাঠ যোগ করেছি।’
ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বইয়ের দোকান আল বোরাকের পরিচালক মনসুর বলেন, তাঁর বিক্রি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল।’
মনসুর বলেন, এ প্রবণতা চলতে থাকবে। কারণ ইসলাম প্রতিনিয়তই একটি ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হতে থাকবে।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: একটা ব্যাপার মাথায় আসেনা - নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর আমেরিকায় ইসলাম গ্রহণের হার ৩০% বেড়ে যায়। শার্লি এবদোতে হামলার পর দেশটিতে ইসলামী বইয়ের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশে থাবা বাবা, অভিজিৎ আর ওয়াশিকুরকে কোপানোর পরেও নাস্তিকদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়েনা কেন?
জবাব চাই।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০০
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: কারন সবাই জানে পরিচয়হীনরা বেওয়ারিশ।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০১
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: ইসলামের উপর যতই আঘাত আসে ইসলাম ততই শক্তিশালী হচ্ছে দেখছি
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: হুম ভাল বলেছেন ।