নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃশ্যপট

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

প্রথম দৃশ্যপট- ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে কারখানায় সংরক্ষিত দাহ্য রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুনে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটার পর পুরান ঢাকা তো বটেই, সারা দেশেই যেন রাতারাতি একেরপর এক দাহ্য রাসায়নিকের কারখানা গজিয়ে উঠলো। সাংবাদিকরা যেভাবে সেসবের ঝুঁকি বয়ান করা শুরু করলো, তাতে সভয়ে মনে হলো প্রাণ বাঁচাতে এখনই দেশ থেকে হিজরত করে আমেরিকা চলে যেতে হবে। কারণ প্রায় প্রতিটি আবাসিক এলাকাতেই যে দাহ্য রাসায়নিকে ভরা! তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া যে হুংকার দিলেন, তার সারমর্ম হচ্ছে, আর এক মাসের মধ্যে হয় তিনি থাকবেন, নয়তো আবাসিক এলাকায় স্থাপিত সেসব রাসায়নিক কারখানা থাকবে!

সময় গড়ালো। সেসব রাসায়নিক দাহ্যের পিঁপাগুলো যেন গোলাপজলের পিঁপায় রূপান্তরিত হলো। দিলীপ বড়ুয়াও আরো তিন বছরের বেশি সময় মন্ত্রিত্ব করলেন।

দ্বিতীয় দৃশ্যপট- ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হবার পরের সময়। চতুর্দিক থেকে পত্রিকায় খবর আসা শুরু করলো যে, অমুক স্থানে ভবনে ফাঁটল দেখা দিয়েছে, তমুক স্থানে ভবনে ফাঁটল ধরার প্রেক্ষিতে প্রশাসন সে ভবন খালি করে দিয়েছে।

এরপর সময় গড়াতে গড়াতে দেশ থেকে যেন সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাওয়া হয়ে গেলো। দেশের সকল ভবন যেন অদৃশ্য কোন সঞ্জীবনী সুধার বলে শ্বেত পাথরের ভবনের মতো মজবুত হয়ে গেলো।

তৃতীয় দৃশ্যপট- ১৪২২ সালের বর্ষবরণে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে একদল ব্যক্তির দ্বারা যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির সম্মুখীন হলেন এক মহিলা। চারিদিকে হইচই পড়ে গেলো। সাংবাদিকরা খবর দিতে লাগলো, ওমুক স্থানে বৈশাখী মেলায় বোনের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে ভাই শহীদ, তমুক স্থানে কিশোর পুত্রের সামনে বৈশাখী মেলায় মা হেনস্থা, মেলায় বেড়াতে গিয়ে শিক্ষিকা কতৃক সহকর্মীর হাতে বেইজ্জত ইত্যাদি।

কয়েকদিন পরের দৃশ্যপট- বৈশাখী মেলা বিশ্ব ইজতেমার চেয়েও পবিত্র হয়ে যাবে। ধর্ষকরা ধর্ষিতাদের ভাই না হলেও গুড ফ্রেন্ড হয়ে যাবে। বৈশাখী মেলার স্ক্যান্ডাল চাপা পড়ে যাবে। আবার মেয়েরা ছেলেদের গালাগাল বাদ দিয়ে রাস্তাঘাটে নিরাপদ বোধ করা শুরু করবে।

সারাংশ- মিডিয়া, সমাজপতিদের কাছে সাধারণ মানুষ তালি বাজানো হিজড়ার চেয়ে বেশি কিছু না, যারা যেকোন তাল তুলে দিলেই তার সাথে দম দেয়া পুতুলের মতো নিপুণভাবে নাচতে থাকে...।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.