নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন : কিছু বিশ্লেষণ

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১৪

কয়েক বছর আগেই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের সময় বিশ্বের সবার নজর থাকতো ইউরোপের সবচেয়ে আলোচিত দ্বীপটিতে। কিন্তু এবার আর তা দেখা যাচ্ছেনা। এর কারণ বোধকরি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবের দিক থেকে ব্রিটেনের ক্রম অবনতি।

এজন্যই আগামীকালকের নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশিত হৈচৈ দেখছি না। দেশটিতে চালানো নির্বাচনপূর্ব জনমত জরিপসমূহ বলছে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের রক্ষণশীল দল ও এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডের শ্রমিক দলের কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেনা। অর্থাৎ ব্রিটিশ হাউস অভ কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ৩২৫ আসন টোরি বা লেবারের কেউ পাবেনা।

এমন পরিস্থিতিতে গত নির্বাচনের মতো এবারও ঝুলন্ত আইনসভা হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের কিছু আঞ্চলিক দল এবং দক্ষিণপন্থী কিছু দলের দিকে সবার নজর পড়েছে। বলা হচ্ছে এরা এবার বেশ কিছু ভোট বাগাতে পারবে। এদের মধ্যে কিছু দল আবার বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শের।

রক্ষণশীলদের গতবারের জোটসঙ্গী উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের উদার গণতন্ত্রী দল এবার নাকি আর গতবারের মতো আসন পাবেনা। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। গত বছর পূর্ণ স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে অল্প ব্যবধানে হেরে দলের নেতৃত্ব ও স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টারের পদ ছাড়েন অ্যালেক্স স্যামন্ড। তার স্থলাভিষিক্ত হন নিকোলা স্টার্জন নামের এক নারী। ব্যাপক নেতৃত্বগুণ ও সম্মোহনী ক্ষমতার দ্বারা তিনি গণভোটে পরাজিত দলকে কেবল উজ্জীবিতই করেন নি, স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিতও করতে পেরেছেন। ফলে অনেক গবেষকের মতে, নিকোলা স্টার্জনের এসএনপি এবার মহারাণীর রাজত্বের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে নিক ক্লেগের লিবডেমের স্হলাভিষিক্ত হবে।

ফলে ধারণা করছি, ডেভিড ক্যামেরন বা এড মিলিব্যান্ডের মধ্যে যেই পরবর্তী ব্রিটিশ সরকার গঠন করেন না কেন, তাকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্কটিশ জাতীয়তাবাদী নেত্রী নিকোলা স্টার্জনকে নিযুক্ত করতে হবে। আর যদি ক্যামেরন ও মিলিব্যান্ড প্রত্যাশার চেয়েও খারাপ ফল করেন, তবে বলা যায়না, ভোটে সম্মিলিতভাবে অধিক আসন পাওয়া স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের স্বাধীনতাকামী দলগুলোর সাথে ইংল্যান্ডের ডানপন্থী দলগুলো মিলে স্টার্জনের প্রধানমন্ত্রিত্বে গঠিত হতে পারে একটা জোট সরকার।

আমার তো ভাবতেই পুলক লাগছে, তেমনটা হলে ইউরোপে কি হাউকাউটাই না বেঁধে যাবে! আমার মনে আছে, ২০০২ সালে ফরাসী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের বিপক্ষে প্রধান প্রার্থী ছিলেন জ্য মরি লে পেন। নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলো ভোটে অত্যন্ত কট্টরপন্থী লে পেনের ভালো অবস্থার পূর্বাভাষ করতেই সবাই যেন পাগল হয়ে গেলো! বলা হচ্ছিলো লে পেন জিতলে ইউরোপের স্হিতাবস্থা ভূলুণ্ঠিত হবে, ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হবে। কেবল জ্যাক শিরাকের জয়ের পরই সেবার সকলের জ্বর ঘাম দিয়ে ছেড়েছিলো।

আমি মজাই পেতাম, যদি কট্টরপন্থী ও স্বাধীনতাকামী দলগুলো মিলে এবার রাণীর সরকার গড়তে পারতো। তবে সম্ভবত তা আমার এক অগম্য হসরত হিসেবেই রয়ে যাবে। জনপ্রিয়তা কমলেও প্রধানমন্ত্রী হবেন ক্যামেরন বা মিলিব্যান্ডের মধ্যে কেউ। তবে স্কটিশদের মধ্যে স্বাধীনতার মোহ জাগানো স্কটিশ জাতীয়তাবাদী দল এবার ভালো করবে। হয়তো নিকোলা স্টার্জন এবার উপপ্রধানমন্ত্রী, বা নিদেনপক্ষে কোন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ বাগিয়ে নিতে যাচ্ছেন...!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.