নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
সীমান্ত চুক্তি ভারতে লোকসভা রাজ্য সভায় অনুমোদন লাভ করায় কোন কোন মহল বাধ ভাংগা আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন। ব্যক্তি বিশেষকে এর সাফল্যের নায়ক বানিয়ে বন্দনা আর জয়গাঁথা শুরু করেছেন।
নুন নেহেরু যে চুক্তি করে গিয়েছিলেন ৬৩ বছর আগে সেই চুক্তি কে সফলতার দুয়ারে পৌঁছাতে ভারতই নানা অজুহাত আর বাহানা দেখিয়ে এতকাল বিলম্বিত করে আসছে। যদিও ৭৪ সালে বংগবন্ধু ইন্দিরা চুক্তির মাধ্যমে ভাবা হয়েছিল, পাকিস্তানী আমলে যা সম্ভব হয়নি তা মুজিব চুক্তির মাধ্যমে সফল করে ফেলেছেন। তখনও এই ভাবে সফলতাকে নিয়ে অনেক বন্দনা এবং স্তুতি গান শুনা গিয়েছিলো। বাংলাদেশ বেরুবাড়ি হস্তান্তর করলেও অংগরপোতা দহগ্রাম ভারত হস্তান্তর করেনি।
ভারত নানা রাজনীতির খেলা খেলে এইটিকে ২০১৫ সালে এসে আইনি জটিলতার সমাধান করে। কিন্তু সেখানেও চিচিংফাঁক এর মত একটি সন্দেহজনক সমস্যা থেকে গেল! এই সংবিধান সংশোধনীয় হবে ১৩০০তম কিন্তু পাসের সময় অন্য সংখ্যা বসিয়ে দেয়া হয়। যদিও বলা হচ্ছে এইটি অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঘটেছে, তবুও অতীতে দই ভেবে চুন খেয়ে মুখ পুড়া বাংলাদেশীদের মনে সংশয় থেকেই যাচ্ছে, কই আমাদের সাথে নতুন কোন নাটক করা হচ্ছেনা না তো!
এই বিয়ে বাংগাল কে হাইকোর্ট দেখানো হবেনা না তো?
বেক্কল পাবলিক যারা আকদ হওয়া মানে স্বামী স্ত্রীর মিলন ভেবে বগল বাজাতে শুরু করেছেন তাদেরকে বলছি, এত তাড়া হুড়ি করছেন কেন? একটু অপেক্ষা করেন। দুনিয়াটা দেয়া নেয়া সম্পর্কের উপরে প্রতিষ্ঠিত। ভারত যা ৬২ বছরে দিতে গড়িমসি করেছে, তাদের এই দেয়ার পিছনে অন্য কোন মতলব যে নেই সে আশংকা কেন আসবেনা?
নেকড়ে আর খরগোসের স্ট্রাটেজির ভিন্নতা বজায় রাখতে হবে। কারণ নেকড়ের স্ট্রাটেজি হবে কি ভাবে খরগোসকে বাগে রাখা যায়, প্রয়োজনে গর্দান মটকিয়ে খাদ্যে পরিণত করা যায়। আর খরগোসের স্ট্র্যটেজি হবে কি ভাবে কত দুরে নেকড়ের থাবার আওতা থেকে বেচে থাকা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যারা এই অসম দুই শক্তির মধ্যে বিবাহ পড়াতে উদগ্রীব তারা কি নেকড়ে আর খরগোসের স্ট্রাটেজি সম্পর্কে ধারনা রাখেন না! না ইচ্ছা করেই তা স্মরণে রাখতে চাচ্ছেন না।
আর আরেক বেক্কলকে বলি দ্বি জাতি তত্ত্ব ভুল কি শুদ্ধ তা যাচাই করতে হলে একটি নিরপেক্ষ গণভোটের ব্যবস্থা করে দেখে নিন। যদিও এই ৬০/ ৬২ বছরে আমাদের অনেক ছেলেদের মাথায় তোমাদের সাবান দ্বারা ভালো ভাবেই ধোলাই করে দিয়েছো তবুও এখনো এই দেশের বেশীর ভাগ মানুষের চেতনায় দ্বিজাতিতত্ত্ব ঠিকই ছিলো, ঠিক আছে এবং ঠিক থাকবে।
©somewhere in net ltd.