নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
"আন্দোলন হচ্ছে বিছুটী আর প্রশাসন হচ্ছে ছাগল। গায়ে বিছুটী লাগলে ছাগল যেমন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়ায়, তেমনি আন্দোলনের ছোঁয়া পেলে প্রশাসনও দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়ায়।" ~ কাজী নজরুল ইসলাম
এই বস পাবলিকটাকে কি বিশেষণে ভূষিত করা যায় তাই ভাবছি! কি ছিলেন না তিনি। ৮০/৯০ বছর আগে কবি, সাংবাদিক, দার্শনিক, বিপ্লবী হিসেবে বলে যাওয়া তাঁর প্রত্যেকটি বাণী আজো শেলের মতো হৃদয়স্পর্শী...। তিনি সাহিত্য ও শান্তি উভয় ক্ষেত্রেই নোবেল পাওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা রাখতেন। অথচ পরিহাস ও পরিতাপের বিষয়, নোবেল দূরে থাক তিনি একমাত্র বাংলাদেশে সর্বোচ্চ্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক ছাড়া বিশ্ববাসীর কাছ থেকে আর কোন সর্বোচ্চ্য মর্যাদাবান পদক পাননি...। নিজেকে তিনি নেহায়েত সাধারণ মানুষ মনে করতেন যার কাজ যুগে যুগে বিপ্লবীদের উৎসাহ দেয়া আর তাদের জয়ভেরী গাওয়া। অথচ এই মহান মানুষটিকে নিজের দুর্ভাগ্য আর অবহেলার সাথে সংগ্রাম করেই ধরাধাম ত্যাগ করতে হল।
গুণী সাহিত্য সমালোচক ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যোগ নিয়েছিলেন নজরুল সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ করে তাঁর অসামান্য কূটনৈতিক যোগাযোগ ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কবির জন্য নোবেল পুরস্কার আনতে। কিন্তু কাজ শুরু হতেই নজরুল সবাইকে ছেড়ে চলে যান অসীম যাত্রায়। এ যেন আমাদের প্রতি নীরব কিন্তু তীব্র এক অভিমানের বহিঃপ্রকাশ...।
©somewhere in net ltd.