নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শরণার্থী সংকট নিয়ে ইন্দোনেশিয়া, শ্যামদেশ ও মালয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামীকাল বৈঠকে বসছেন। ব্রহ্মদেশ আগেই চরম নির্লজ্জতার পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা বিষয়ক যেকোন আলোচনায় তাদের নারাজির কথা জানিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই বৈঠকে বাংলার কোন স্হানই নেই। অথচ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের প্রধান ভুক্তভোগী দেশ।
একটি ভূখণ্ড থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর যে অভিযান বর্মীরা নিয়েছে, তাকে কোনভাবেই সংঘবদ্ধ যুদ্ধাপরাধের চেয়ে কম বলে বিচার করা যাবেনা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উচিত ছিলো আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি চালানো। বাংলাদেশ আসিয়ানে নেই, বার্মা আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উচিত ছিলো আসিয়ানে জোরালোভাবে তোলা যে, তাদের এক সদস্য যুদ্ধাপরাধ করছে। নিজ দেশের নাগরিককে বাংলাদেশী বলে চালিয়ে প্রকারান্তরে আরাকানে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে। এই বিষয়টি বারবার তুলে ধরে একে চাঞ্চল্যকর বিষয়ে পরিণত করা উচিত ছিলো বাংলাদেশের।
আরাকান বিষয়ে আমাদের নীতি আগাগোড়াই ভুলে ভরা। আমাদের আরো অনেক আগেই সেখানে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদের পৃষ্ঠপোষণ করা জরুরী ছিলো। আর এই মানব পাচারও শুরু হয়েছে ২০১২ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যা সংঘটনের পর থেকেই। এর আগে মানব পাচারের বিষয়টি কোনভাবেই এতো তীব্র ছিলোনা। অতএব, শরণার্থী সংকটের মূলে রোহিঙ্গাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রশ্নটি জড়িত। আর রোহিঙ্গাদের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুগছে বাংলাদেশ, এবং বাংলাদেশ সম্ভবত ভুগতেই থাকবে।
আজ রোহিঙ্গাদের যে পরিণতি, কাল তা বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রেও পরিদৃষ্ট হবেনা, এমনটা কেউ বলতে পারেনা। বাংলার অনুকূলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের দ্বিতীয় কোন উপায় নেই...!
২| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
টি এম মাজাহর বলেছেন: দেশে দেশে সব জাতিগত সংকটের কারণ ধর্ম পরিচয়! পৃথিবীর কোন ইহুদী অত্যাচারিত হয়ে ইসরায়েলে পা ফেলতে পারলে তাকে রক্ষা করা হয়, কোন খ্রীষ্টান ভ্যাটিকেনে পৌছতে পারলে তাকে রক্ষা করা হয়, ৪৬ এর পর থেকে লাখলাখ সনাতন ধর্মের লোকদের বোঝা টেনে বেড়াচ্ছে ইন্ডিয়া- এখনও পর্যন্ত তারা সেখানে আশ্রয় নিতে গেলে তাদের মুখে সোনার চামচতুলে না দিলেও অন্তত খেদিয়ে দেয় না। রোহিঙ্গাদের পরিচয়ের মূল সংকট মুসলিম বলে পৃথিবীর কোথাও তাদের স্থান নাই। ইন্দোনেশিয়া/মালয়েশিয়ার মতো বৃহত্তম মুসলিম দেশগুলোও নির্দেশ দিয়ে রেখেছে- আশ্রয় দেয়ার চেয়ে সাগরে মেরে ফেলা হোক তাদের! কেউ কেউ কোনরকমে আরব দেশে গেলেও তাদের নাগরিকত্বহীনতার সুযোগে পায়ের তলায় পিষে ফেলছে সেখানকার মুসলিম দেশগুলো। আর সেখানে থাইল্যন্ড/মিয়ানমার আরও বেশী অত্যাচার করবে, তা এমন আর বেশি কি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
টি এম মাজাহর বলেছেন: দেশে দেশে সব জাতিগত সংকটের কারণ ধর্ম পরিচয়! পৃথিবীর কোন ইহুদী অত্যাচারিত হয়ে ইসরায়েলে পা ফেলতে পারলে তাকে রক্ষা করা হয়, কোন খ্রীষ্টান ভ্যাটিকেনে পৌছতে পারলে তাকে রক্ষা করা হয়, ৪৬ এর পর থেকে লাখলাখ সনাতন ধর্মের বোঝা টেনে বেড়াচ্ছে ইন্ডিয়া- এখনও পর্যন্ত তারা সেখানে আশ্রয় নিতে গেলে তাদের সোনার চামচ মুখে তুলে না দিলেও অন্তত খেদিয়ে দেয় না। রোহিঙ্গাদের পরিচয়ের মূল সংকট মুসলিম বলে পৃথিবীর কোথাও তাদের স্থান নাই। ইন্দোনেশিয়া/মালয়েশিয়ার মতো বৃহত্তম মুসলিম দেশগুলোও নির্দেশ দিয়ে রেখেছে- আশ্রয় দেয়ার চেয়ে সাগরে মেরে ফেলা হোক তাদের! কেউ কেউ কোনরকমে আরব দেশে গেলেও তাদের নাগরিকত্বহীনতার সুযোগে পায়ের তলায় পিষে ফেলছে সেখানকার মুসলিম দেশগুলো। আর সেখানে থাইল্যন্ড/মিয়ানমার আরও বেশী অত্যাচার করবে, তা এমন আর বেশি কি?