নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধুবাদ জানাই বাংলাদেশের আগ্রাসী প্রতিরক্ষা নীতির

২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নয়া বিশ্বব্যবস্হায় নিয়ন্ত্রণ অটুট রাখার জন্য পরাশক্তিদের প্ররোচনায় একটা নতুন তত্ত্ব ওঠে যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য সামরিক বাহিনী একটি অনুৎপাদনশীল খাত, এবং এ খাতে টাকা খরচ করা অর্থহীন। বহুদিন বিশ্বের অনেক ব্যক্তির মনে এই তত্ত্বটি ঠাঁই করতে সক্ষম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এসে এই তত্ত্ব বেশ বড় হোঁচট খেয়েছে। জাপানের মতো দেশ এখন সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়ে আগ্রাসী প্রতিরক্ষানীতি গ্রহণ করে দেশটির হীনবল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শক্তশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই কথা মালয়েশিয়া, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে।
তবে নীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় নজির বোধহয় আমাদের বাংলাই! স্বাধীনতার পরই এদেশের সামরিক উচ্চাভিলাষ নাকচ করা হয়। সামরিক বাহিনীর জন্য সময়ে সময়ে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হলেও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতিকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রক্ষণাত্মক বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। এদেশকে 'প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড' বানানোর স্বপ্নের কথা আউড়ে অনেকে সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের বিরোধিতা করেছেন। যদিও সুইজারল্যান্ডের কেবল একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীই নয়, বরং দেশটির সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যকতাও আছে!
যাহোক, বাংলাদেশের পূর্বেকার প্রতিরক্ষা দর্শন দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বাংলাদেশ যে এখন আর নেহায়েত বহিঃশত্রুর হামলা ঠেকিয়েই খালাস হবার নীতিতে নেই, তার প্রমাণ বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বিস্তারের জন্য নৌশক্তি বাড়াতে সরকারের ঘোষণা। নীতির পরিবর্তনটি আরো খোলাসা হয়, যখন দেখি নিজস্ব অস্ত্র নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে ভালো করেই। এখন সরকারের সাথে সামরিক বাহিনীর কোন বৈঠক হলেই তাতে সব পক্ষ থেকে জলদী নিজেদের অস্ত্র নির্মাণ শিল্প সমৃদ্ধ করার তাগাদা আসে।
বস্তুত, এই ব্যাপারটা দ্ব্যর্থহীনভাবে সাধুবাদ পাবার যোগ্য। তবে অস্ত্র নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলা ও তার উৎকর্ষতা ধরে রাখা সহজ কাজ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই শিল্প হরদম গবেষণা ছাড়া টিকতে পারেনা। আমার মতে, এখন সময় অস্ত্র নির্মাণ শিল্পতে পুরোদমে নজর দেয়া। আর এর জন্য পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো করা দরকার।
সেমতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সমরাস্ত্র শিল্পের বিকাশ, এবং সামরিক প্রযুক্তির আধুনিকায়নের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণার পথ সুগম করতে রণসজ্জা বিভাগ তথা Armament Division নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করতে হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে Ministry of Defence and Armament নাম দেয়া যায়। এই Armament Division এর কাজ হবে সামরিক প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করা ও দেশের অস্ত্র নির্মাণ শিল্পকে বিকশিত করতে গৃহীতব্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের তালাশ করা। এই বিভাগকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে এতে উচ্চপদস্হ কর্মকর্তার অধীন স্বতন্ত্র লোকবল দেয়া যেতে পারে...।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

জেকলেট বলেছেন: সবার আগে দরকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাইম মিনিস্টারের আওতা থেকে বের করে স্বতন্ত্র মন্ত্রীর অধীনে নিয়ে আসা। তাহলে ঐ মন্ত্রী সার্বক্ষনিক এই মন্ত্রলায়ের দেখভাল করতে পারবেন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: সবার আগে দরকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাইম মিনিস্টারের আওতা থেকে বের করে স্বতন্ত্র মন্ত্রীর অধীনে নিয়ে আসা। তাহলে ঐ মন্ত্রী সার্বক্ষনিক এই মন্ত্রলায়ের দেখভাল করতে পারবেন।

মন্তব্যের সাথে একমত, আপনার পোস্টের সাথেও।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মনতব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.