নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
একজন দরিদ্র গার্মেন্টস শ্রমিকের পক্ষে বারো লক্ষ টাকা যোগাড় করা অসম্ভব, অনন্ত জলিল সাহেবও সম্ভবত পারবেন না। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন এক গার্মেন্টস এর ডিএমডি।
গাজীপুরে সেই ফ্যাক্টরির এক শ্রমিকের কঠিন অসুখ ধরা পড়ল। চিকিৎসার ব্যায় লাগবে প্রায় বারো লক্ষ টাকা। ছয় হাজার টাকা বেতনের শ্রমিকের পক্ষে এই টাকা যোগাড় করা অসম্ভব। ফ্যাক্টরির মালিকের কাছে আবেদন জানানো হল কিছু সাহায্য করার জন্য, মালিক পক্ষ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষনা আসল। বাকী রইল সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা। সবাই যখন টাকা নিয়ে চিন্তিত তখন প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি, যিনি একজন রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার, তিনি এগিয়ে এলেন। ঐ শ্রমিকের কলিগদের ডাকা হল।
ডিএমডি সাহেব বললেন “আমরা চাইলেই তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারি”
শ্রমিক “কীভাবে?”
ডিএমডি সাহেব “পকেট থেকে মাত্র ১০০ টাকা বের করলেই হবে!”
শ্রমিকরা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল “বুঝলাম না!”
ডিএমডি সাহেব বললেন “আমাদের ফ্যাক্টরিতে প্রায় ১২০০০ (বারো হাজার) শ্রমিক রয়েছে। প্রত্যেকে যদি ১০ টাকা করে দেয় তাহলে হয় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা আর প্রত্যেকে যদি ১০০ টাকা করে দেয় তাহলে হয় ১২ লক্ষ টাকা! তার মানে প্রত্যেক শ্রমিকের অল্প অল্প সাহায্যে একজন দূরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্থ শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
পরদিন থেকে ফ্যাক্টরির সকল শ্রমিকের কাছে ঘোষনা দেয়া হল “তোমাদের এক ভাই টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে দাও। চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”
পরের দিনই বেশিরভাগ শ্রমিক ১০০ টাকা নিয়ে হাজির হল। অনেকে ২০০, অনেকে ৫০০ দিল। অফিসাররা কেউ ৫০০, কেউ ১০০০ কেউ বেশি দিল। এক সপ্তাহেই ১৩ লক্ষ টাকা উঠে গেল। ঐ ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়ে গেল গেল।
উপরের লেখাটি পড়ে অনেকে ঐ শ্রমিকদের বাহবা দিবেন, অনেকে আফসোস করবেন ঈশ! আমি কেন এরকম কারো উপকার করতে পারলাম না।
আপনাদের জন্যেও সুযোগ আছে।
কয়েকদিন আগে ফখরুল ইসলাম ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "আমি যদি কারো জীবন বাঁচাতে আপনাদের কাছে ১০০ টাকা করে চাই তাহলে দিবেন?" আপনাদের অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। অনেকে তাঁকে ইনবক্সে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন।
এখন আসল ঘটনা খুলে বলি।
সামহোয়ারইন ব্লগের প্রখ্যাত ব্লগার বিবাহিত ব্যাচেলর ওরফে ‘রহমান হাবিব’। আপনারা যারা ওনার ফেইসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন তারা ভাল করেই জানেন যে উনি কিডনী রোগে আক্রান্ত। আম জনতার ভাষায়ই বলি- ওনার কিডনী বদলাতে হবে। এখন ডায়ালাইসিস করে কোন মতে টিকে আছেন। এভাবে আর কয়দিন টিকবেন আল্লাহই জানেন। দ্রুত অপারেশন না করলে বিপদ হয়ে যেতে পারে। অপারেশন এবং অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মোট ২৭ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। জায়গা জমি বেঁচে এই পর্যন্ত ১৭ লক্ষ টাকার যোগাড় হয়েছে। এই হিসাবে আরো ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু যাঁদের এমন অপারেশনের অভিজ্ঞতা আছে, তারা জানেন বাস্তবে বাজেটের চাইতে বেশি টাকা লাগে। সে জন্য আরো দুই লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হল। অর্থাৎ ওনার এখন ১২ লক্ষ টাকার কম আছে। এই টাকার ব্যবস্থা হলে উনি অপারেশন করবেন।
অনেকেই বিদেশ থাকেন। এই প্রবাসী লোকজনের জন্য দশ ডলার কিছুই না। যদি প্রবাসী ১০০০ (এক হাজার) ভাই দশ ডলার করে সাহায্য করেন তাহলে সাহায্যের পরিমান দাঁড়ায় ১০০০০ (দশ হাজার) ডলার যার পরিমান প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা!
অনেক ধনী ভাই বোন রয়েছেন যাদের এক বেলার নাস্তার পিছনে তিন চারশ টাকা চলে যায়। শখ করে বাইরে লাঞ্চ বা ডিনারের পিছনে হাজার খানেক টাকা চলে যায়। ওনারা যদি এই এক হাজার টাকা দান করেন তাহলে ভাল এমাউন্ট আসে। এরকম যদি ৫০০ লোকও এগিয়ে আসেন, তাহলে এমাউন্ট দাঁড়ায় ২৫০০০০ (আড়াই লক্ষ) টাকা।
আমার ধারনা এমন কেউ নেই, যিনি ১০০ টাকা করে দিতে পারবেন না। শুধু প্রত্যেকে যদি ১০০ টাকা করে দিতে পারেন তাহলে দশ লক্ষ টাকা যোগাড় করা খুব সহজেই সম্ভব! ১০০ টাকা দিয়ে আজকাল ফুটপাথের ছালা দিয়া রেস্টুরেন্টেও ঠিক মত খাওয়া যায় না। তেমন কিছু কেনা যায় না। এই টাকায় যদি আপনার এক ভাইয়ের চিকিৎসা হয় তাহলে নিশ্চয়ই আপনি খুশি হবেন।
ওনাকে সাহায্য পাঠাবার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক দনিয়া, ঢাকার একটা একাউন্ট নম্বর দিলাম.
Habibullah A/c no: 1191525804।
তাছাড়া ডাচ বাংলা মোবাইল একাউন্ট নাম্বার ০১৬১২৮৫৮৫৪৩৯; এটা হাবিবুল্লাহ ভাইয়ের ছোট ভাইয়ের একাউন্ট।
আজ প্রায় সব এলাকায় ডাচ বাংলার বুথ আছে। এটিএম কার্ড থাকলে যেকোন মুহুর্তে টাকা পাঠানো সম্ভব। ডাচ বাংলার কার্ড নেই? ব্যাংকের ব্রাঞ্চ দূরে? তাহলে বিকাশ একাউন্টও আছে। দেশের এমন কোন গলি কিংবা গ্রাম নেই যেখানে বিকাশ এজেন্ট নেই। আপনারা ইচ্ছা করলে বিকাশেও টাকা দিতে পারেন।
এজেন্ট নম্বর 01910859201 মফিজ ভাই।
উনি রহমান হাবিব ভাইয়ের কাজিন।
আরেকটা বিকাশ নম্বর 01612858543 কেফায়েত।
উনি রহমান হাবিব ভাইয়ের ছোটভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩১
ফারুক আহমেদ ফারুক বলেছেন: ঠিকই, অনেকে মিলে অকাজ করার চেয়ে মিলিত হয়ে এমন কিছুই করা ভালো। পরিশ্রম কম, দুশ্চিন্তাও কম কিন্তু প্রাপ্তিটুকু অনেক বড়। ভাই ভালো জিনিস তুলে ধরেছেন।