নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
পাথরগুলো একেকটা আধমণি। আকৃতিও দানবিক। পাঁচ'ছ জন লোককে দেখলাম ওগুলো হাতে নিয়ে রক্তাক্ত লোকটাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। আর বাউণ্ডারির বাহিরে অনেক লোক জড় হয়েছে ধর্ষণকারীর শাস্তি প্রত্যক্ষ করতে।
থ্যাঁতলানো-রক্তাক্ত শরীরে লোকটা যেই দাঁড়াতে যায় ওমনি বিশালায়তনের পাথরগুলো সজোরে মারা হয় লোকটার উপর। এমনি ভাবে ক্ষত-বিক্ষত, থ্যাঁতলানো শরীর নিয়ে প্রাণবায়ু ত্যাগ করে লোকটা।
শাস্তিটার নাম রজম। শরীয়াহ আইনে বিবাহিত লোক 'যেনা' কিংবা যেকেউ 'ধর্ষণ' করলে তাকে এমনিভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ভিডিওটা দেখলাম ইয়্যুটিউবে। সম্ভবত সৌদির। আগে মনে করতাম ছোটখাট পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
এই শাস্তিটার ব্যাপারে আমি আমার পরিচিত অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছি তাদের মতামত জানতে। অধিকাংশই সমর্থন করেনা এত নির্মম শাস্তি।
বাংলাদেশ সরকারও করেনা। 'রজম' বহুদূর কিছুদিন আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছিল সেটাও বাতিল করেছে সরকার।
ফলাফল? মাইক্রোবাসে পাঁচজন মিলে এক মেয়েকে ধর্ষণ। কথাটা শুনতে খুব সহজ লাগছে। ধর্ষণই তো! মন্ত্রী মহোদয়ের ভাষায় 'দুষ্টুমি'।
ধর্ষণের পর যদি ভিকটিমকে স্বচক্ষে দেখতেন আর ভিকটিম যদি আপনার ছোটবোন, স্ত্রী বা মেয়ে হত তাহলে বোধয় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়তেন। এরপর, যদি আপনাকে 'রজম' এর ব্যাপারে মতামত দিতে বলতাম সম্ভবত আপনি বিপক্ষে বলতে পারতেন না।
শাস্তিটার প্রত্যক্ষদ্রষ্টা ধর্ষণ করা বহুদূর ধর্ষণের চিন্তা মনে আনতেও একবার হার্ট অ্যাটাক করবে।
ধর্ষণের শাস্তি চেয়ে ব্যানার-বিলবোর্ড হাতে ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে আঁইঠাকলাটাও কোনদিন হাসিল হয় নাই। ধর্ষণের হারও কমে নাই। কমবেও না।
শরীয়াহ আইন অ্যাপ্লাই করুন, ফলাফল নগদে দেখুন। মোবাইলে ড্যাটা থাকলে দেখে নিন ধর্ষণের লোয়েস্ট রেট শরীয়াহ শাসিত সৌদিতে নাকি বাহাত্তরের সংবিধান শাসিত বাংলাদেশে?
এরপরেও যদি ধর্ষণকারীকে মানুষ বিবেচনা করে আপনার মানবতা উথলে ওঠে আর শরীয়াহ আইনকে বর্বর বলে মনে হয়, then you or your sister deserves to be raped.
২| ২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
এ আর ১৫ বলেছেন: শরীয়াহ আইন অ্যাপ্লাই করুন, ফলাফল নগদে দেখুন। তাহোলে ধর্ষকের কোন দিন শাস্তি হবে না কারন ৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষী ছাড়া প্রমান করা যাবে না -- এইটাই সেই শরিয়া আইন বলে। সুতরাং কোন ধর্ষনের কেস আদালত পর্যন্ত যাবে না । ধর্ষিতা মহিলাকে ও চাবুকের বাড়ী ক্ষেতে হবে। চার জন পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষী চাই ধর্ষন প্রমানের জন্য !!!!!
When a rape-case is caught or reported, “illegal sex” is proved either by testimony of the victim or physical evidences of bodily scars/bruises, torn cloths or pregnancy. Then the Sharia laws shown bellow come into force.
1. From Pakistan Hudud Law - Ordinance 1979. (Ordinance VII of 1979 amended by
Ordinance XX of 1980). Quote- "Proof of Zina (adultery) or Zina Bil-Jabr (rape)
liable to Hadd shall be one of the following:-
(a) The accused makes confession, or
(b) At least four Muslim adult male witnesses”. - Unquote.
2. From Codified Islami Law (“BidhiBoddho Islami Ain” - Islamic foundation
Bangladesh) Volume 1:-
(A) "Proof of adultery or rape liable to Hadd shall be one of the following:-
(a) The accused makes confession, or
(b) At least four Muslim adult male witnesses – Law#133.
1
(B) If force is proved, the rapist will be punished – Law#134.
(C) “Punishment will take place when zena or rape will be proved by witness” –
Law#135.
Sharia needs only one thing to punish the rapist, - eyewitness of four adult Muslim men.
Unbelievable it may seem, women’s witness is rejected, as in the references bellow:-
1. Hanafi Law-Page 353.
2. Shafi’i Law- page 638 Law#o.24.9
3. Criminal Law in Islam and the Muslim World –page 251
4. Tafsir of Translation of the Qura’an by Muhiuddin Khan pages 239 and 928.
5. Penal Law of Islam – Kazi Publications Lahore- page 44 – 45 – Quote - “The
evidence required in a case of adultery is that of four men (adult Muslims) and the testimony of a woman is such a case is not permitted………the evidence of women is originally inadmissible on account of their weakness of understanding, want of memory and incapacity of governing” – Unquote. Effort of addressing this embarrassment is in Codified Islamic Law (Bidhiboddho Islami Ain - Islamic foundation Bangladesh) Volume 1 page 311 with reference to Ata Ibn Yasar (RA), Hammad (RA) and Imam Hazm, a Spanish Palace-c of 15th century, - by allowing women-witness as half of men’s
৩| ২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: শরীয়া আইন কি বলে?
৪| ২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: ব্যাভিচার আর ধর্ষন কি এক জিনিস ? স্বেচ্ছা যখন নারি পুরুষ অবৈধ্য ভাবে মেলামেশা করে তাকে বলে ব্যাভিচার আর নারির সম্মতি ছাড়া জোর করে নারির সাথে যৌন মিলন করাকে বলে ধর্ষন । এই দুটোকি এক জিনিস ? কোরানে ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য চার জন পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষির কথা বলা হ্য়েছে -- নিসা-র ১৫ নম্বর আয়াত : − “ব্যাভিচারিণী নারীদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষকে সাক্ষী হিসাবে তলব কর।” ----- এটা হোল ধর্ষন মামলায় চার জন পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষি রাখার পটভুমি যার ফলাফল হয়েছে কোন ধর্ষন প্রমান করা যায় না এবং কোন মেয়ে যদি চার জন পুরুষের স্বাক্ষি আনতে না পারে তখন তাকে ব্যাভিচারের অভিযোগে চাবুক মারা হয় কারন তার ধর্ষন হওয়াটাকে তার যৌন মিলনের স্বীকারুক্তি হিসাবে ধরা হয় যা ব্যাভিচারের পর্যায় পরে তাই তাকে চাবুক খেতে হয়( এখানে ৪ জন পুরুষের স্বাক্ষির প্রয়োজন হয় না কারন তার ধর্ষিতা হওয়াটার স্বীকারুক্তিকে ব্যাভিচারের স্বীকারুক্তি হিসাবে ধরা হয়। কোরানে চার জন পুরুষের শর্ত ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য বলা হয়েছে সেই চার পুরুষের শর্ত ধর্ষনের ক্ষেত্রে প্রোয়গের ফলে ধর্ষকে শাস্তি দেওয়া যায় না ধর্ষিতাকে শুধু শাস্তি পেতে হয় । সেই কারনে সৌদি আরবে আপনি ধর্ষনের কোন কেস পাবেন না । সৌদি আরবে গৃহ পরিচারিকাদের উপরে যে যৌন নির্যাতন চলে তার কাহিণি এই ব্লগে বহু পাবেন ।
৫| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২২
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ভুল বুঝলে কিছুই করার নেই
আমি ধর্ষনকে সমরথন করছি না বরং আইনকে কঠোর করার কথা বলছি
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪১
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: কুরআন শরীফে ধর্ষণের শাস্তি সংক্রান্ত কোন আয়াত নেই।