নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন নিজের সাথে দেখা হয়

প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবারহলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই।

যখন নিজের সাথে দেখা হয়

প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবার হলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই। হয়তো কেউ পড়ে। কেউ পড়ে না। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি লিখেই শান্তি পাই। কখনো কখনো লিখতে লিখতেই নিজের নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই।।

যখন নিজের সাথে দেখা হয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুর নামায পড়ে কী হয়?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

খুব ছোট বেলায় এলাকার মসজিদের এক ইমাম আমাকে পড়াতেন। আমার জীবনের দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক মানুষ। খুব ভোরে ফজরের নামাযের পর চলে আসতেন বাসায়। আমাকে কোরান ও নামায শিক্ষার জন্য কোনো অর্থ তিনি গ্রহন করেন নাই। প্রতিদিন সকালে হুজুর আর আমি একসাথে নাস্তা করতাম। ইসলামের প্রতিটি আদব কায়দা আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি। ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। নামায পড়তাম না। পেছনের কাতারে দাড়াতাম। সবাই যখন সেজদায় যেত আমি পালাতাম। নামায শেষে হুজুর দেখতেন আমি নাই। হুজুরকে জিজ্ঞেস করতাম, নামায পড়ে কী হয়?

হুজুর বলতেন, নামাযের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহকে স্মরন করে। তার সৃষ্টিকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরন করে। শুকরিয়া করে। আমি কিছুই বুঝতাম না। হুজুর বলতেন, লিখে রাখ। একদিন বুঝবা।



আজ দীর্ঘ ৯ বছর পর হুজুরের সাথে শ্যমলীতে দেখা হয়ে গেলো। প্রথমে হুজুর আমাকে চিনতে পারেন নাই। নিজের পরিচয় দেয়ার পর চিনলেন। হুজুরকে একরকম জোর করেই বাসায় নিয়ে আসলাম। অনেক আদর আপ্যায়ন করলাম। অনেক গল্প করলাম। একসাথে নামায পড়লাম এলাকার মসজিদে। নামায শেষে হুজুরকে বললাম, হুজুর আপনার মনে আছে আমাকে বুঝিয়েছিলেন নামায পড়ে কী হয়? হুজুর বললেন, মনে নাই। আমি হুজুরকে মনে করিয়ে দিলাম। হুজুর একটু হাসলেন। বললেন, এখন বুঝো? আমি হেসে মাথা ঝাকিয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলাম।



জীবনে ধর্ম শিক্ষার কোনো অভাব নাই। ধর্ম শিক্ষা গ্রহনের উপকরনেরও কোনো অভাব নাই। অভাব যেটার সেটা হচ্ছে উপলব্ধির। যখন খুব বিপদে পড়ি মসজিদে ছুটে যাই। জানি সাথে সাথে আসমান থেকে কোনো সমাধান আসবে না। কিন্তু যেটা আসবে সেটা আরও বেশী শক্তিশালী। নিজের মনের ভেতরের একটা অদ্ভুত শক্তি। জানি আমার সাথে আল্লাহ আছেন। আমি পারবোই। যেকোনো বিপদ মোকাবেলায় সর্বপ্রথম যে হাতিয়ারটা লাগে তা হচ্ছে মানসিক শক্তি। জীবনের প্রতিটা বিপদে আমি এই শক্তি পেয়েছি মসজিদে গিয়ে। নামাযের মাধ্যমে। আল্লাহকে স্মরনের মধ্য দিয়ে। একে অস্বীকার করার ধৃষ্ঠতা আমার নাই।



কৃতজ্ঞতাভরে সালাম জানাই আমার জীবনের প্রথম ও শেষ ধর্মশিক্ষক ইমাম ছানাউল্লাহ সাহেবকে। হুজুর আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি করুক। আপনার মতো কিছু ভালো মানুষদের জন্যই পৃথিবী এখনো টিকে আছে। অনেক সুখে শান্তিতে আপনি আপনার এই পবিত্র জীবন কাটিয়ে দিন।আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনাই করি।



''নামাযের মাধ্যমে মানুষ তার নিজের শরীরকে অতিক্রম করে বিশ্বজগতের সাথে একাকার হয়ে যায়, যেখানে ধনী-দরিদ্রের, বয়সের, জাতির, ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নাই" (কাহলিল জীব্রান) (ইমাম ছানাঊল্লাহর কাছ থেকে আমার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

আহলান বলেছেন: ভালো লাগলো .... .... ধন্যবাদ

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৮

আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পড়ে খুব ভালো লাগলো।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৯

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.