নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মদিয়ে এ কোন কর্ম ?

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

জুনায়েদ আহমেদ পলক – নাটোর শিংরা আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য । বর্তমান তরুন প্রজন্মের যত জন মেধাবী রাজনীতি বিদ আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন । প্রায় টিভির রাজনৈতিক টকশোতে ই অংশ নিয়ে বেশ আশার বানী শোনান এই তরুন সাংসদ । আমরা ও বর্তমান তরুন রাজনীতিবিদদের মুখের পানে মাছ রাংগার মত অপেক্ষা করে আছি । কবে পাবো আমাদের সোনার বাংলায় সত্যিকার গনতন্ত্রের রাজনীতি ? কবে রাজনীতি বিদরা আমাদের এই হতঃভাগা জাতীর জন্য অন্তত্য সামান্য সময় ব্যায় করে একটু সৎ চিন্তা ভাবনা করবেন ? তার পর মাঝে মাঝে ভাবি এটা তো শুধু টকশোর জন্য তৈরি কিছু বুলি ! আসলে তারা কি পারবেন আমাদের অন্ধকার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের আলোকিত রাজনীতি বিদ হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করতে ? না হয়তো এটা মোটে ও সম্ভব নয় । আজ জাতি শুধু মাত্র ই দুই ভাগে বিভক্ত রাজনীতিতে আওয়ামীলিগ- বিএনপি , বিশ্বাসে আস্তিক-নাস্তিক, ধন-সম্পত্তি তে সাদা- কালো ইত্যাদি , ইত্যাদি । যাই হউক যে বিষয়ে আমি আজ ও মাননীয় সাংসদ জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলকে টানলাম তার কারন তিনি আজ তার ফেইস বুকে একটা স্টাটাস দিয়েছিলেন যার মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তার দলের মনোনিত মেয়রপ্রার্থী জনাব আজমত উল্লাহ্‌ খানের প্রচারনার জন্য আজমত উল্লাহ্‌ খান সাহেবের কিছু গুন-গান গাওয়া :

" আজমত উল্লাহ্‌ খান , গাজীপুরের প্রাণ ।

শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র, খুবই ধর্মপ্রাণ । "

সেই স্টাটাসে আমি ও একটা মন্তব্য করে ছিলাম :

" ভাই ইদানিং আপনারা রাজনীতি বিদরা খুবই ধর্ম প্রান হইয়া গেছেন । সব জায়গায় অযথা ধর্ম টানেন । হেফাজত ওয়ালারা আপনাগো একটা ভালই শিক্ষা দিছে । ধর্ম যার যার , রাজনীতি রাজার আর রাষ্ট্র সবার । তাই আমাসো বোকা বাংগালীরা আর ধর্মের দোহায় দিয়েন না আপনেরা ( যারা রাজনীতি করেন )। রাতে সামুতে এ বিষয়ে একটা পোষ্ট দিমু পড়ার আমন্ত্রন রহিল।"

আমার আজকের পোস্টের আলোচনার বিষয় যদি ও গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে নয় । তার পর ও দিক থেকে ই শুরু । গাজীপুর নির্বাচনের ফলাফল সে দিন ই চুরান্ত রুপ নিয়েছে যেদিন আওয়ামী বিদ্রোহি মে্যর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কে অপহরন করে তুলে এনে ভ্য়ভীতি দেখিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করনো হয়েছে । আর সবশেষ নাটক এচ এম এরশাদ এর আনেক তাল-বাহানার পর আওয়ামী প্রার্থী আজমত উল্লাহ্‌ খান কে সমর্থন । তাতে ই সাধারন জনগন প্রায় শত ভাব নিশ্চইত যে ফলাফল বি.এন.পি প্রার্থী অধ্যাপক মান্নানের পক্ষে ই । তা যাই হউক আমি যেটা বলতে চে্যেছিলাম হেফাজত ই ইসলাম এর উত্থানের পর আমাদের দেশের রাজনীতিক নেতা নেত্রী একটা বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্যনিয় যে তারা সব ক্ষেত্র ই ধর্মের ব্যভার বেশি বেশি করছেন । কিছু দিন আগে মাননীয় প্রাধন মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিত্য দিনের ইবাদতের হিসাব জাতিকে দেয়েছেন । মাশাল্লা আমরা খুব ই গর্বিত যে আমাদের দেশের প্রাধন মন্ত্রী একজন ধার্মিক মহিলা । এর পর তার পুত্র বধুর ধর্মের ও ফিরিস্তি দিয়েছেন সংসদে দারিয়ে । তবে উভ্য় ক্ষেত্রে ই তিনি বিশেষ সমালোচিত হয়েছেন জাতিয় ভাবে যা আমাদের কাম্য ছিলনা । বিশেষ করে গাজীপুরের নির্বাচন কেন জানি হেফাজত ই ইসলাম একটা বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন । উভ্য় প্রার্থী ই হেফাজত ই ইসলাম কে নিয়ে টানা হেচরা করেছেন । সবার ই দাবী হেফাজত ই ইসলাম আমার পক্ষে ? যাই হউক আমাদের রাষ্ট্র যদি ধর্মনিরপেক্ষ হয় তা হলে কেন পাঁচ সিটি নির্বাচনে হেফাজত ই ইসলাম একটা বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাড়িয়েছে ? কেন ই বা মাননীয় প্রাধন মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিত্য দিনের ইবাদতের হিসাব জাতিকে দিলেন । কেনই বা জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি আজমত উল্লাহ্‌ খান এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় আজমত উল্লাহ্‌ খান সাহেব যে একজন ধার্মিক তা প্রচারের চেষ্টা করলেন ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মদন বলেছেন: হেফাজতরে সাথে টানার কি দরকার ছিলো? ডা: ইমরান রে সাথে নিয়ে ভোটের ক্যানভাস করলেই আজমের সুনিশ্চিত জয় ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.