নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের রাজনৈতিক ময়দান বর্তমান সময়ে আলোচনা সমালোচনা আর উৎকন্ঠা আর শংকা নিয়েই অতিক্রম করছে । দেশবাসীর মনে এক অজানা ভয় দেশে কি জানি হয় ? কি ভাবে কাটবে এই রাজনীতিক জটিলতা তা নিয়ে সবাই এক অজানা ভয়ের ও চিন্তার ভিতর আছে গত সপ্তাহে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া তার ভাষনে আগামী নির্বাচন কালীন সরকারের একটি রুপরেখা দিয়েছেলেন যদি ও তা আওয়ামী সমর্থকদের কাছে ছিল গ্রহন অতি গ্রহন যোগ্য কিন্ত তা মোটে ও বিরোধীদের কাছে গ্রহনীয় হয় নি আমাদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতার একটা ই দাবি আর যাই ই হোক বর্তমান প্রধান মন্ত্রী কে নির্বাচন কানিন সরকারের সরকার প্রধান রেখে কোন ভাবেই নির্বাচনে যাওয়া যাবেন বা সেই নির্বাচন কোন ভাবেই সুষ্ঠ হবে না । এর ই মধ্যে মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক দল জাতিয় পার্টির প্রধান হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ তার দলবল নিয়ে গত ২০ অক্টেবর রাতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক নৈশ ভোজে গনভবনে শরিক হন । তা নিয়ে গত কাল হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা মোটেও আওয়ামীলিগ তথা বর্তমান সরকারের জন্য সুখকর নয় । আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সম্পর্কে হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ যা বলেছেন তা যদি সত্য হয় তা হলে এটা আমাদের জাতির জন্য একটা চরম হতাশা আর দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না। সর্বশেষ কথা হলো গত কাল সারা দিন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতার সংবাদ সম্মেলনের জন্য হয়তো তার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতি আশংকা মুক্ত হবে । তার নির্বাচন কালিন সরকারের র্ফমুলা জাতি কে বর্তমান সংকট সমাধানের একটা গ্রহন যোগ্য পথ বের করে দিতে পারবেন । গতকাল মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা আগামী নির্বাচন কালীন সরকারের যে র্ফমুলা দিয়েছেন তৎক্ষনাত তা আমার কাছে অনেকটাই গ্রহনযোগ্য বলে মনে হয়েছিল অনেকটা ই আশার আলো দেখেছিলাম। পরে দেখলাম সত্যিকার অর্থে সঙ্কট সমাধানে আশাবাদী হওয়ার তেমন কোনো উপাদান এই র্ফমুলা ভিতর নাই । কেন জানি মনে হচ্ছে অনেক কিছুই না ভেবে চিন্তে ই মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী তার আগামী নির্বাচন কালীন সরকারে র্ফমুলা জাতির নিকট পেশ করেছেন । মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী তার আগামী নির্বাচন কালীন সরকারে র্ফমুলা ছিল ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের এই দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টা থেকে সরকারি দলকে ৫ জন এবং বিরোধী দলগুলো থেকে ৫ জনকে নিয়ে এই নির্দলীয় সরকার গঠন । সত্যিকার অর্থে বাস্তবে কি তা করা সম্ভব ? বিগত ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের এই দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ও সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দু জনই ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তাহলে এই দুই আমলে মোট আঠার জন ব্যক্তি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালান করেন ।এই আঠার জন উপদেষ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ , সেগুফতা বখত চৌধুরী, অধ্যাপক শামসুল হক, মে. জে. (অব) আব্দুর রহমান খান, বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরী, মে. জে. (অব) মইনুল হোসেন চৌধুরী তারা কেউ আজ আর ইহজগতে নেই । অবশিষ্ট তের জন উপদেষ্টার মধ্যে চার জন গুরুতর অসুস্হ্য হওয়ায় তাদের পক্ষে এই গুরু দায়িত্ব পালন করা মোটেও সম্ভব নয় । বাকী নয় জনের ভিতর চার জন ইতোমধ্যে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন আর ১৯৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে বেশ বিতর্কিত অবস্থায় রয়েছেন তার সাথে বর্তমান সরকারে সম্পর্ক প্রায় দা-মাছেরর মত । অবশিষ্ট ছয় জন দিয়ে কখনোই মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর র্ফমুলা পূর্ণ হবে না । এবার আশা যাক কে হবেন নির্দলীয় সরকারের প্রধান ? মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতার র্ফমুলা অনুযায়ী " সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন হবেন নির্দলীয় সরকারের প্রধান " আর তার জন্য দরকার সংবিধান সংশোধন ।আমার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন আদৌ কি কোন সংঘাতময় প্রস্তুতি ছাড়া আওয়ামী সরকার কি সংবিধান সংশোধন করবে ? গত রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমনে মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীকে পুলিশ যে হেনেস্ত করেছে তাতে মনের ভিতর লুকিয়ে থেকা অজানা ভয় কেন জানি আরো গভীর হলেও আজকের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোন আলাপ কিছুটা হলে ও মনের ভিতর স্বস্তি ফিরে পেয়েছি ।
©somewhere in net ltd.