নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ভোরের নতুনসূর্যে সাঈদীর প্রতিচ্ছিবি দেখতে ভুলেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা !

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪২

আজ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায় শোনার পর তাৎখনিক প্রতিক্রিয়ার পোষ্টে লিখেছিলাম " গত রাতের ক্ষয় চাঁদে সাঈদীর প্রতিচ্ছবি তার ভক্তরা না দেখলে ও আজ ভোরের সূর্যের মাঝে হয়তো সাঈদীর প্রতিচ্ছবি দেখেছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ! " কথাটা শুনতে হয়তো কারো কারো কাছে উদ্ভট মনে হলেও কেন যানি আমার কাছে এটাই বাস্তব ও সত্য বলে মনে হয়েছে ।

তার কারণ বলতে গেলে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় । এ রায়ের পর চাঁদ সূর্যের যে খেলা হয়েছে তা আমি পরে বলি । তার আগে বলতে হয় কাদের মোল্লার কথা গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন সেই রায়ের প্রতিবাদে সমগ্র জাতি তখন প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে তার ই ফলশ্রুতিতে জন্ম নেয় বির্তকিত গণজাগরণ মঞ্চের । যে খানে আমরা দেখেছি তোফায়েল আহম্মেদের মত বর্ষিয়ান বাজনীতি বিদ ও নতজানু হয়ে গেছেন জাতিয় সংসদে প্রধান মন্ত্রীকে ও বলতে শুনেছি যে তার শারীর টা শুধু সংসদে আছে আর পুরো মনাটই নাকি পরেছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে । আজ সাঈদীর রায়ের পর আমারা দেখেছি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই প্রাণ প্রিয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতা কর্মীদের কি করুণ দশা । গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসের পর মাস যখন শাহবাগের মত একটি ব্যস্ত এলাকা প্রজন্ম চত্বর মান করে পুলিশ পাহারায় গণজাগরণ মঞ্চের নেতা কর্মীদের দখলে থাকলো তখন কোন জন ভোগান্তির সৃষ্টি হয় নাই কিন্তু আজ মাত্র কিছুক্ষনের জন্য সাঈদীর বিচারের রায়ের প্রতিবাদে সেই গণজাগরণ মঞ্চের নেতা কর্মীরা শাহবাগে জরো হলো তাতেই নাকি মহা জন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়ে গেল আর সেই ভোগান্তি দূর করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর প্রাণ প্রিয় লোক গুলির উপরে টিয়ার সেল রাবার বুলেট ও জলকামানের জল গোলা ছোরা হলো ! জানিনা কেন ? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে পরবর্তীতে কেন যাবজ্জীবন প্রাপ্ত কাদের মোল্লা রায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো ? তা হলে কাদের মোল্লা কি বলির পাঠা ? এক ই অরাধে একজনকে যাবজ্জীবন সাজা থেকে মৃত্যুদণ্ড আর এক জন কে মৃত্যুদণ্ড থেকে আজীবন জেল ? কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ) তার কার্যকর করা ছিল জামাত ই ইসলামের নেতা কর্মীদের জন্য বর্তমান সরকারের একটা সর্তক সংকেত যার মাধ্যমে জামাত ই ইসলামের নেতা কর্মীদের হুসিয়ারি করা হয়েছে যে তোমরা যদি বর্তমান সরকার ও আওয়ামীলিগের অবাধ্য হও তা হলে তোমাদের প্রত্যেক নেতাকে ই কাদের মোল্লার পরিনতি গ্রহন করতে হবে । আর সেই হুসিয়ারি ই বিএনপির মত কোমড় ছাড়া রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের পথ থেকে অনেক দুরে রেখেছে । এবার আসি চাঁদ সূর্যের কথায় গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর আমাদের মহাধর্মিক জামাত- শিবিরে নেতা কর্মীরা তাদের প্রাণ পুরুষ মেশিন বাজ সাঈদীর প্রতিচ্ছিবি নাকি পূর্ণিমার চাঁদের সাথে ভেসে উঠেছে আর সেই চাঁদের রশ্নিতের মান হয়ে জামাত- শিবিরে শকুনেরা সমগ্র দেশকে তছনছ করেছিল চরম ভাবে অবনতি হয়ে ছিল দেশের আইন সৃংখলা । আজ আবার সাঈদীর সেই বিচারের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দিয়েছে তবে এবার ক্ষয় চাঁদ থাকাতে হয়তো শকুনের চোখে চাঁদে সাঈদীর প্রতিচ্ছিবি দেখে নি কিন্তু ক্ষমতার লোভে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার অনুসারিরা আজকের ভোরের নতুন সূর্যে সাঈদীর প্রতিচ্ছিবি দেখতে ভুলেন নি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.